আয়নার সামনে দাঁড়ালে
লজ্জাবতীগাছ হতে ইচ্ছে করে। কেননা,
প্রতিবিম্ব হয়ে আয়নায় ভেসে আসে যে মুখ
সে নিশ্চিত আমি নই।
আমার ছেলেবেলায় হারিয়ে যাওয়া
বানরের মুখোশ। কিংবা সুন্দর আলীর দোকানে
ঝুলে থাকা প্রেমিকার তেল চটচটে লালফিতে!
তারপরও নিজেকে মুখস্থ করি
পড়ি কি সুন্দর মিথ্যার নামতা। আর
অহঙ্কারের গোপন চিঠি!
তুমি তখন আনতমুখে
আবিষ্কার করো আদিম গন্ধ! কিংবা
হাতকে বিশ্বাস করে
মুখের দিকে সড়াও সন্দেহের দৃষ্টি!
আমার মনে পড়ে আয়নায় ভেসে আসা
নিজের মুখ অথবা
প্রিয় সন্তানের গুম হওয়া শৈশব।
কোথায় মুখ ঢাকি বলো?
চারদিকে বাড়ন্ত চালের মতো বাড়ছে আগুন!
খুব ভয় হই।
হাতকে বিশ্বাস করা দায়!
চোখকে বিশ্বাস করা দায়!
এমন কি সবচেয়ে গোপনীয় অঙ্গকেও
বিশ্বাস করা দায়!
তুমি কী আমায় বিশ্বাস করো?
১০.০৬.১২
আগারগাঁও, ঢাকা