আমরা মাঝে মাঝে অবাক হই , যখন দেখি এক শ্রেণীর মমিন যারা এতই ঈমাণদার কিন্তু সব সময়ে মুসলমান কর্তৃক যে কোন অপকর্মকে আড়াল করে , কোন নিন্দা বা প্রতিবাদ করে না কিন্তু অমুসলিম কেহ যদি কিছু একটা অপকর্ম করে ফেলে তখন তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করে । আমরা কখনো দেখিনি নীচের ইসু নিয়ে এইসব মমিনরা কোন টু শব্দ করেছে । যেমন -
১) তালেবানদের অপকর্মকে তারা নিন্দা করে না বরং আড়াল করে
২) আই এস আই এর অপকর্মকে তারা নিন্দা করে না বরং আড়াল করে
৩) ইয়েমেনে সৌদি হামলার বিরুদ্ধে এরা নিশ্চুপ
৪) মাদ্রাসায় সংগঠিত যৌন ক্যালেংকারির ব্যপারে তারা নিরব ।
আমি অনুসন্ধানে বের হলাম কেন এই ধরনের আচরন আমাদের তথা কথিত আলেম মমিনদের । তখন পেয়ে গেলাম নীচের হাদিস গুলোকে, যাহা সহি হাদিস এবং ঈমাণদার মুসলমানদের পালন করা ঈমাণী দায়িত্ব ।
(১) মুসলিম শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে বান্দা অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ পার্থিব জীবনে গোপন রাখবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। ’(১/২৪৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘দুনিয়াতে কোনো মমিন বান্দার দোষ যে গোপন রাখে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’’ (মুসলিম [1])
(২) বুখারি ও মুসলিমের অন্য জায়গায় অন্য একটি হাদিস এসেছে। হাদিসটি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আমার সব উম্মতের গুনাহ মাফ হবে। কিন্তু দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীর গুনাহ মাফ হবে না। দোষ-ত্রুটি এভাবে প্রকাশ করা হয় : কোনো ব্যক্তি রাতের বেলা কোনো কাজ করবে। অতঃপর সকাল হবে মহান আল্লাহ তার এ কাজ গোপন রাখবেন। সে (সকালবেলা) বলবে, হে অমুক! আমি গত রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে রাতযাপন করেছিল এমন অবস্থায় যে মহান আল্লাহ তার কাজগুলো গোপন রেখেছিলেন আর সকালবেলা আল্লাহর এই আড়ালকে সে সরিয়ে দিল। ’
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এবার আমরা দেখবো এই বিষয়ে পবিত্র কোরান কি বলে ।
সুরা আল বারাক আয়াত ৪২ ( ২-৪২)
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।
তাহোলে দেখা যাচ্ছে ঐ হাদিস গুলো কোরানের আয়াতের সাথে মিলে না । ২-৪২ এই আয়াত কি মানসুক হয়ে গেছে , যদি হয় কোরানের কোন আয়াত দিয়ে এই আয়াত মানসুক হয়েছে ? উপরের হাদিস গুলো দিয়েতো কোরানের আয়াত মানসুক হয় না , বরং ২-৪২ আয়াতটাই ঐ হাদিস গুলোকে মানসুক করে ভুল প্রমাণ করে ।
তাহোলে আমাদের আলেমগণ কোন পথে হাটছেন , কেউ কি জানাবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭