কেন সুপরিকল্পিত ভাবে কোরানে আয়াত ২৪-৩০ ( সুরা আল নূর আয়াত ৩০) কে উপেক্ষা করা হচ্ছে ? এই আয়াতের প্রয়োগ করা হচ্ছে না কিংবা এই আয়াতকে গোপন করা হচ্ছে , এটা পুরুষের পর্দা সংক্রান্ত আয়াত কিন্তু ইসলামিক আলেমরা শুধু নারীর পর্দার আয়াত প্রয়োগে সর্বদা নিয়োজিত ।
পুরুষ এবং নারীর পর্দার ব্যপারে কোন বিষয়টা মূলত দায়ি -- এর জন্য দায়ি কে ? অবশ্যই পুরুষ দায়ি সমস্যাটা যেহেতু পুরুষের তাই , তাই পুরুষের পর্দা করার আদেশ পুরুষের জন্য ফরজ কিন্তু পুরুষ এই আদেশ পালন করে না এবং এটার চর্চাও করে না কিন্তু কেন ?
২৪-৩০ মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
----- এই আয়াতে পুরুষের চোখ এবং যৌনানুভুতিকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হচ্ছে---- কিন্তু কোন মুসলমান পুরুষ এই নির্দেশের ধার ধারে না । পুরুষ যদি এই নির্দেশ পালন করে , তাহোলে মেয়েদের পর্দা করার কড়াকড়ির প্রয়োজন হয় না কিন্তু পুরুষকে পর্দা করার বিষয়ে আলেমরা উদাসিন অতচ এখানেই কড়াকড়ি করা উচিৎ বটে ।
ঢালাও ভাবে প্রচার করা হয় , কোন নারীকে দেখে যদি পুরুষের কামনা জাগে, তাহলে সেই নারী গুণাগার এবং দোজখে যাবে । এই দাবিকে নাচক করে দেয় ২৪-৩০ আয়াত । পুরুষের যদি কামনা জাগে এবং সে যদি নিয়ন্ত্রণে অক্ষম হয় কোন নারীকে দেখে , তাহলে দোষ পুরুষের, গুণাহ পুরুষের এবং দোজখে যাবে পুরুষ কারন সেই পুরুষ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সুরা আল নূরে ৩০ তম আয়াতের নির্দেশ পালন করে নি, যদি পালন করতো তাহোলে তারা নিয়ন্ত্রণ সক্ষম হোত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


