যে কৌশলে ৮০ দশকে শিবির চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনে জিতেছিল , ঠিক একই কৌশলে ২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তারা জিতল ।
কি করেছিল শিবির ১৯৮০ দশকে ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহের ডাইনিং মেস প্রতিমাসে ছাত্রলীগ ,জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন সহ প্রগতিশীল সংগঠনের নেতারা পরিচালিত করতো মাসের হিসাবে, একেক মাসে একেক দলের নেতাকে ডাইনিং মেস পরিচালিত করতে দেওয়া হোত । শিবির ছিল ধিকৃত এবং তাদের কোন সমর্থন ছিল না ছাত্র সমাজে। ডাইনিং মেসের প্রতিমাসে যে ফান্ড ছিল সেটা দিয়ে খুব ভালো মানের খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব নহে ।
শিবিরের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় --- ডাইনিং মেসের ম্যানেজাররা মেসের ফান্ড থেকে টাকা পয়সা আত্মসাত করে , তাই খাবারের মান ভালো নহে । এমন প্রচার যখন তারা চালাছিল, তখন তাদের বলা হোল তোমরা কি মেস ম্যানেজার হয়ে ভালো খাবার দিতে পারবে কিনা ? তারা সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল । তারপরে দেখা গেল যে মাসে যে হলে শিবিরের নেতারা ডাইনিং মেসের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে, সেই মাসে খাদ্যের মান খুবই উন্নত হয়ে যায় এবং পরের মাসে যখন অন্য সংগঠনের নেতারা মেস পরিচালনা করে, খাবারের মান আবার খারাপ হয়ে যায় , আবার যখন শিবিরের নেতারা কোন হলের মেসের দায়িত্ব নেয় তখন আবার খাবারের মান উন্নত হয়ে যায় ।
সাধারণ ছাত্রদের এই ঘটনাটা খুবই প্রভাবিত করে , তাদের সামনে প্রমাণ শিবিরের নেতারা সৎ , তারা চুরি করে না , তাই খুব ভালো মানের খাবার তারা মেসে সরবরাহ করতে পারে কিন্তু অন্য সংগঠনের নেতারা অসৎ , টাকা পয়সা আত্মসাত করে তাই তারা যখন মেসের ম্যানেজার হয় তখন খাদ্যের মান নীচে নেমে যায় ।
যার ফলশ্রুতিতে চাকসু নির্বাচনে শিবির বিজয় অর্জন করে ।
পরে শুভংকরের ফাকিটা যখন প্রকাশ হয়ে যায় , তখন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরে দখলে চলে যায় । কি ছিল সেই ফাকি -- যে মাসে শিবিরের ছাত্ররা মেস পরিচালনা করতো , ঐ সব মাসে জামাতের পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হোত ডাইনিং এ উন্নত মানের খাবার দেওয়ার জন্য এবং এই ভাবে বিভ্রান্ত করে তারা সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন আদায় করে।
একই কৌশলে ২০২৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির নির্বাচনে শিবির দলিয় টাকা খরচ করে সাধারন ছাত্রদের আস্তা অর্জন করে ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


