কম্পিউটার গেম : ফার্ম ফ্রেঞ্জি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমাদের দেশে বেকারত্ব এক বিশাল সমস্যা। চাকরি খুঁজে খুঁজে অনেকেই হতাশ। আবার অনেকেই হাঁস-মুরগি বা গরু-ছাগলের খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে বেশ ভালোই দিন যাপন করছেন। ভাবছেন গেমের রিভিউতে বেকারত্বের কাহিনীর কথা আসছে কেনো? কারণ আজকের আলোচ্য গেমটির কাহিনী বেকারত্ব থেকে স্বাবলম্বী হবার কাহিনী নিয়েই বানানো। অ্যালাওয়ার মেলেস্তা নামের গেম ডেভেলপার কোম্পানির বানানো এবং অ্যালাওয়ার এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানির পাবলিশকৃত গেমগুলোর মধ্যে ফার্ম ফ্রেঞ্জি সিরিজের গেমগুলো বেশ জনপ্রিয়। গেমগুলো পয়েন্ট এন্ড ক্লিক ধাঁচের আর্কেড গেম যাতে মাউসের ব্যবহার বেশি। গেম সিরিজটির যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৭ সালে এবং একে একে এ পর্যন্ত বের হয়েছে বেশ কয়েকটি গেম। যার মধ্যে রয়েছে- ফার্ম ফ্রেঞ্জি, ফার্ম ফ্রেঞ্জি ২, ফার্ম ফ্রেঞ্জি-পিজ্জা পার্টি, ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৩, আমেরিকান পাই, আইস এজ, রাশিয়ান রাউলেট্টে, মাদাগাস্কার, গন ফিশিং ইত্যাদি। ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৪ গেমটি বের হবার অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু গেমটি মূল সিরিজের গেমপ্লে ধাঁচের মতো না করে বানানো হবে হিডেন অবজেক্ট অ্যাডভেঞ্চার গেম হিসেবে।
ফার্ম ফ্রেঞ্জি সিরিজের গেমগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে গৃহপালিত পশু-পাখি লালন পালন করা, তাদের যত্ন নেয়া এবং তাদের থেকে উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ করে তা বিক্রি করা বা তা থেকে অন্য কোনো পণ্য বানানো। যেমন- মুরগির ডিম সংগ্রহ করে তার পাউডার বানাতে হবে এবং বাজার থেকে ময়দা কিনে আনতে হবে, এরপর তা দিয়ে কেক বানিয়ে বিক্রি করতে হবে। পাখির পালক সংগ্রহ করে তা নানান রঙে রাঙাতে হবে এবং কাপড়ের ওপরে ডিজাইন করে তা দিয়ে সুন্দর পোশক বানাতে হবে। কুয়ো থেকে পানি তুলে জমিতে সেচ দিতে হবে। ফলাতে হবে ফসল এবং সেই ফসল খেতে দিতে হবে পশু-পাখিকে। পশু-পাখির উৎপাদিত পণ্য এবং নিজ কারখানায় বানানো পণ্য বাজারে পাঠানোর জন্য থাকবে গাড়ি যার ধারণক্ষমতা ধীরে ধীরে আপগ্রেড করা যাবে। বাজার থেকে পণ্য কিনে আনার জন্য থাকবে আলাদা আরেকটি বাহন। খামারে হঠাৎ করেই আক্রমণ করে বসতে পারে হায়েনা, বাঘ, ওরাংওটাং বা ভালুক। তাদের থামাতে না পরলে পুরো খামার তছনছ করে দেবে। তাই তাদের খুব দ্রুত বন্দি করতে হবে খাঁচায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে খাঁচায় পুরে তাদের বাজারে বিক্রি করে দেয়া যাবে ভালো মূল্যে। খামার পাহারা দেবার জন্য কুকুর কেনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। একেকটি গেমে একেক রকমের পশু-পাখি ও একেক রকমের কারখানা ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশের সাথে মিল রেখে গেমের অবজেক্টগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- মাদাগাস্কার গেমটিতে মাদাগাস্কারে যেসব পশু-পাখি দেখতে পাওয়া যায় তাই রাখা হয়েছে এবং একইভাবে রাশিয়ান রাউলেট্টে গেমটিতে রাশিয়ান পশু-পাখি রাখা হয়েছে।
ফার্ম ফ্রেঞ্জি ৩-এর পর থেকে গেমে বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত জরা হয়েছে যা আরো ভালো লাগবে। গেমটিতে যুক্ত করা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র যার নাম স্কারলেট। সে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায় এবং কৃষকদের কাজে সাহায্য করে। তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার প্রয়াস যোগায় এবং বিপদে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গেমে অন্যান্য ক্যারেক্টারগুলো বেশ হাস্যকর করে তোলা হয়েছে এবং গেমের গ্রাফিক্স কিছুটা রঙচঙে করে বানানো হয়েছে যাতে হাস্যরসাত্মক একটা ভাব আসে। ফার্ম ফ্রেঞ্জি শুধু পিসিতেই নয়, এটি আইফোন, অ্যান্ড্রয়িড ও নিনটেনডো ডিএস প্লাটফর্মের জন্যেও বানানো হয়েছে।
(সার্চ ইঞ্জিনে farm frenzy দিয়ে সার্চ করলে এই গেমের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাব। ভাল থাকুন,ধন্যবাদ সবাইকে)
উৎস : অনলাইন কম্পিউটার ম্যাগাজিন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।
১ম ধাপঃ
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি
গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
জানা আপুর আপডেট
জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।
বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন
বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।
এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন
অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!
দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন