somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতার্তদের আহাজারি

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বছর বছর এদেশের শত শত মানুষ শীতে প্রাণ হারাচ্ছেন। শীত জনগণের জন্য আজও এক জীবন-মরণ সংকট। জানুয়ারি, ২০০৩ এর শৈত্যপ্রবাহে ৭০০-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারান, ২০১০ এ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই মৃত্য হয় ১৭৬ জনের । এ সবই শীতে জনদুর্ভোগের খন্ডচিত্র। শৈত্যপ্রবাহ ও শীতজনিত রোগে পরোক্ষ মৃত্যু ও অর্থনৈতিকক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয় ।বস্ত্র, বাসস্থান, খাদ্য উৎপাদন ও চিকিৎসা উন্নত করে সভ্য মানুষ শীতের সমস্যা দূর করেছে অনেক দিন আগে । বরফ জমা ঠান্ডা
পরিবেশেও মানুষ বসবাস করছে । বিত্তবান ও মধ্যবিত্তের কাছে শীত উপভোগ্যও বটে । তবে ২০১০ সালে দাঁড়িয়ে কেন অসংখ্য মানুষকে শীতে
মৃত্যুর সাথে লড়তে হবে ? কারণ আজও এদেশের ২৪.২% মানুষের এক বেলা খাবারের নিশ্চয়তা নেই, দারিদ্র্যসীমার নিচে প্রায় পৌনে ৮ কোটি মানুষ, এদের মধ্যে ৪০% মানুষের কোন শীতবস্ত্র নেই, ৩০% এর নেই দুটো জামা । মোট জনসংখ্যার ৭৫% মানুষ বাস করে কাঁচাঘর ও ঝুপড়িতে, অপ...ুষ্টিতে ভুগছে ৫০% আর শিশুদের ৯২% । ফলে শীতে অন্নহীন, বস্ত্রহীন, গৃহহীন, রুগ্ন এক বিশাল জনগোষ্ঠী শীতে মৃত্যুর
ঝুঁকিতে দিন কাটায়।সত্য আড়াল করায় যাদের স্বার্থ, তারা বলে “জনসংখ্যা বাড়ছে, দেশ গরিব, সম্পদ নাই। তাই মানুষের অভাবও যায় না।” অথচ একাত্তর পরবর্তী ৩০ বছরে জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ আর মোট উৎপাদন বেড়েছে ৬০ গুণ। কিন্তু প্রতিজনের আয় ৩০ গুণ বেড়েছে কি? না, বাড়েনি। বরং আয় বৈষম্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০% ।
গত ৪০বছরে এদেশের শিল্পের ইতিহাস পুরোন ও দেশীয় শিল্প ধ্বংস করেসাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় স্বার্থে শিল্পায়নের ইতিহাস। বিদেশি বিনিয়োগের নামে গড়ে উঠছে ইপিজেড আর সেজ। সেসব জায়গায় কর্মসংস্থানের মূলো ঝুলিয়ে করা হচ্ছে গার্মেন্টস ধরনের সাম্রাজ্যবাদী মুনাফা বানানোর কারখানা। বিশ্বের সস্তাতম মজুরিতে সীমাহীন নির্যাতন নিপীড়ণ করে দেশি-বিদেশি শোষকেরা নিংড়ে নিচ্ছে আমাদের দেশের শ্রমিকদের। শুধু তাই নয়, গত ৪০ বছর ধরে এদেশের ব্যাংক, বৈদেশিক ঋণ, রাজস্ব, তেল, গ্যাস, বন্দর, বিদ্যুৎ সর্বত্র হরিলুট অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্য দিয়েই ’৭২ সালে যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন কোটিপতি ছিল, সেখানে এখন কোটিপতি আমানতকারীই রয়েছে প্রায় ২৪,০০০জন ।
একদিকে মত্যুর অপেক্ষায় প্রবল শীতে কান্নারত অসুস্থ খাদ্যহীন, বস্ত্রহীন, গৃহহীন, চিকিৎসাহীন অসংখ্য শিশু-বৃদ্ধ আর অন্যদিকে সুস্বাদু খাবারের
রেসিপি, শীতপোশাকের ফ্যাশন প্যারেড, ব্যয়বহুল হাসপাতাল ও ক্লিনিক, রিহ্যাব মেলা, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের চাকচিক্য আর শপিংমলের জৌলুস।
অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে লাখো গৃহহীন শিশুর কান্নায় রাতের আকাশ হয়ে ওঠছে ভারী ।


সারা দেশ ব্যাপি গত কিছু দিন যাবত শীত পরছে , বরাবর এর মত এবারো শীতে দরিদ্রে বেশ কষ্ঠ ভোগ করতে হচ্ছে ! অনেক অভাবগ্রস্থ
মানুষই হয়ত প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রটি কিনতে পারবে না ! শীতের তীব্রতায় প্রতিবারের মত এবারো হারিয়ে যাবে কিছু দুস্থ প্রান। আর কাঁদবে
অসহায় শীতার্ত মানুষ । শীতে ধনাঢ্যরা শীত নিবারনের জন্য সুন্দর ব্যাবস্হা থাকলেও বিপর্যয়ে পড়ে অসহায় দরিদ্র মানুষ । তীব্র শীতের
কারনে শীতকালীন অসুখ-বিষয় ,জ্বর,স্বর্দি,কাশি,নিউমোনিয়া ,ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয় এই অসহায় মানুষদের , যাদের অধিকাংশই
অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনা । সবচেয়ে কষ্টের সম্মুখীন হয় দরিদ্র শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা ।তাই আমাদের সাধ্যমত এই অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পার্শ্বে দাড়াই ।হয়ত কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো, বাঁচাতে পারে কিছু অবহেলিত অমূল্য প্রান।আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন ।


আমরা জানুয়ারী ১ তারিখে সবার কাছ থেকে নতুন অথবা ব্যবহার উপযোগী সোয়েটার,কম্বল অথবা যেকোনো শীতবস্ত্র সংগ্রহ করবো । আমরা আপনার দেওয়া অর্থ শীতবস্ত্র কেনার জন্য ব্যাবহার করব । আপনারা আপনাদের শীতবস্ত্র পাঠাতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, প্রয়োজনে আমরা আপনার বাসা থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করব ।
বিপুল পরিমান মানুষের অংশগ্রহনের মাধ্যমে আমরা সমাজের বিত্তবান মানুষ, সরকারি - বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান এর কাছে এই বার্তা পৌঁছে
দিতে চাই যে, আজও আমরা একতাবদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে পারি । আমরা তাদের কাছে আমাদের আহবান পৌঁছে দিতে চাই যে- আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই আমরা একসাথে । আমাদের এই প্রচারাভিযানকে সফল করতে ও বেগবান করতে আমাদের সাথে যোগদান
করতে সবাইকে আহবান জানাচ্ছি ।
আমাদের কার্যক্রম এর বিস্তারিত জানতে ও আমাদের সাথে যোগদান করতে আমাদের রহনপুর এর গ্রুপ এ যোগদান করতে পারেন ।
http://www.rohanpur.tk Rohanpur
কাদের কাছে আপনারা সোয়েটার, কম্বল পাঠাবেন এবং যে কোন কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন-চাইলে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে পারবেন,
এছাড়া যারা আমাদের সাথে শ্রম দিয়ে কাজ করতে চান তারাও যোগাযোগ করুন: ০১৭২২৩১৯৬৩৬, ০১৭২২৫০২৫৮৯, ০১৭৩৮১১৪১৪৭,
০১৭৩৭৮১২৬০২
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×