নীচে যা বলা হবে তা এ টিমের অভিমত নয় একান্তও ব্যাক্তিগত মতামত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার দায়িত্ব ছাত্র এবং সিপাহী দুই দলেরই। প্রথমে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা যাক
সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি শৃন্খলা রক্ষা করা, তাদের দায়িত্ব দেশ রক্ষা করা। আর আমার মনে হয় সেনাবাহিনী সে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। যে ঘটনা ঘটেচে, অবশ্যই সে ঘটনা একটি ব্যাক্তিগত অপ-আচরনের কারনে। আমাদের সমাজে বে-সামরিক অথবা সামরিক প্রশাসনে এ ধরনের মানসিকতার লোক কম নয়। বাংলাদেশে নিজেকে বড় অথবা গুরত্বপুর্ন বোঝানোর জন্য সকল সময় অন্য কাউকে নিম্নে বোঝাতে হয়। এ সেনাবাহিনী থেকে এ ধরনের অপগন্ড বের হয় আবার হাসান মশহুদের মত নিপাট নিরস্বার্থ ভদ্রলোকও আচে। এ আচরনের জন্য সরকার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করচে, উপদেষ্ট এবং প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমা চেয়েচেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার সরকার নিজের ভুল অবস্হান বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েচেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা তাদের পুর্ববর্তি অবস্হানের কারনে একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আচে এ দেশের ইতিহাসে, তাদের মূল দায়িত্ব শিক্ষা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট দের কাচে রাজনিতীক সচেতনতা দেশ বাসী প্রত্যাশা করে। যে ঘটনা ঘটেচে, সেটা কি রাজনীতিক নয়। আবারও একটি ব্যাক্তিগত আচরন। ছাত্ররা একটি সমস্যার মুখে পড়েচে এবং সেটার সমাধান করেচে। আমাদের মনে রাকতে হবে এ বিশ্ববিদ্যালয় বসুনিয়াকে জন্ম দিয়েচে, আবার রব-শাহাজাহান সিরাহ, আর আমানের মত পথভ্রষ্টদের জন্ম দিয়েচে। ছাত্ররা আন্দোলন করেচে এবং তাদের ন্যায় সন্গত দাবী মেনে নিয়েচে। সরকারের উপদেষ্ট পরিষদ দুঃখ প্রকাশ করেচে। কিন্তু ছাত্ররা একনো সেনাবাহিনীর ক্ষমা চাওয়াকে বেসী মূল্য দিচ্ছে। এ আচরন সেনাবাহিনীকে ছাত্ররা সরকারের উপরে বসাচ্ছে যা ছাত্রদের লজ্জা জনক। দেশের অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাত আন্দোলন আমাদের সহনশীলতার অভাব। একটি সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার সমঝোতা এবং সমবায়িক ধৈর্য। দুটি দলকেই এ আচরনে ছাড় দিতে হবে। সরকার যকন তদন্তের নির্দেশ দিয়েচে আর দূঃখ প্রকাশ করেচে তকন আমাদের সচেতন ছাত্র সমাজের উচিত সরকারকে সময় দেয়া।
একটি ফুটবলের মাঠের আচরন গত ৭ মাসের প্রচুর আচরনকের মিলিয়ে দিতে পারেনা। একটি চ্যালেন্জিং সময়ে এ সরকারকে ক্ষমতা নিতে হয়েচে। প্রশাসন, বিচার ব্যবস্হা কে দলীয় করন থেকে মুক্ত করন তাদের একটি বড় সাফল্য। দ্রব্য মুল্য বৃদ্বি একটি বড় ব্যর্থতা। কিন্তু মাত্র ৬ মাসে একটি সরকারের কাচ তেকে সকল সমস্যার সমাধান চাওয়া আকাশ-কুসুম কল্পনা। আমরা বড় বেসী চাই কম সময়ে। আমাদের কে বাস্তব বুজতে হবে, সম্পদের সীমিত যোগান, একটি অনুতপাদনশীল সমাজ ব্যবস্হা। আর প্রবল দারিদ্রতা ৬ মাসে দুরিকরন সম্ভব নয়। আমাদের সহনশীলতার আর অধৈর্য আচরনের জন্য আমরা অন্যায় ভাবে জাতির পিতাকে হারিয়েচে স্বাধিনতার ৩ বছরে, বারবার গনতান্ত্রায়ন বাধা পড়েচে আর উর্দিরা ব্যারাক থেকে বের হয়েচে। এ দায়িত্ব আমাদের উপরেও পরে। গত পনের বছরের নীতিহীন রাজনীতি একটি অস্হিরতার সৃষ্টি করেচে। সে অস্হিরতার জন্য আজ জরুরি অবস্হ. ৯৬ র ফেব্রুয়ারি একই সমস্যা হয়েচিল আর তখন বে-সামরিক প্রশাসন একই দায়িত্ব পালন করেচিল। আমাদের মনে রাখতে হবে দেশটা সামরিক এবং বেসামরিক দেরও। কারো অধিকার কম নয়। তারা যদি অন্যায় ভাবে ক্ষমতা জবরদখল করে সেটার দায়িত্ব আমাদের উপরে বর্তায়। একটি অস্হিরতার জবাবে আরেকটি অস্হিরতা আর তার বদলে আরেকটি অস্হিরতা সৃষ্টি আমাদের ভবিষ্যত কে ধ্বংস করবে। আর নয় অস্হিরতা । সরকার ডিসেম্বর -০৮ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ভাবে সময় চেয়েচে। আমাদের সে সময় দেয়া উচিত, একটি ব্যাক্তিগত অপ-আচরন সারা দেশের জন্য অস্হিরতা সৃষ্টি করতে পারেনা। আমাদের এ ব্যাক্তি বেইস চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে আর তার সময় এখনই।
অস্হিরতার অপ-রাজনীতি বন্ধ হউক-আর তার সময় এখনই।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৬৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন