somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শনিবারের চিঠি - পর্ব সাত (ধারাবাহিক সাপ্তাহিক কলাম)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শনিবারের চিঠি, পর্ব ৭
(ধারাবাহিক সাপ্তাহিক কলাম)
.
১।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে পাশ করে যারা বের হয়, তাদের সবাই সাহিত্যিক, বা সাহিত্য সমালোচক হয় না। গণিত বা তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করে সবাই গণিতবিদ, বা পদার্থবিজ্ঞানি হয় না। যারা শিক্ষকতা করে উপর্যুক্ত বিষয়গুলিতে - তাদের সবাইও যে খুব বড়মাপের বোদ্ধা গবেষক, বা সমালোচক হয়, তাও নয়।
.
একই কথা মাদ্রাসা পাশ করা ছাত্রদের ক্ষেত্রেও খাটে।
.
ছেলেবেলা মসজিদ - মাদ্রাসা অধ্যুষিত পুরান ঢাকা এলাকায় বড় হয়েছি। এই একটা কথা প্রচুর শুনেছি, আলেমে দ্বীনরা নায়েবে রাসুল (সঃ)। কেউ চাইলেই আলেম হতে পারে না, যারা আলেম হয়, তারা সিলেক্টেড ওয়ান। আসমান থেকে নির্বাচিত। তাদের অনেক উঁচু মর্যাদা। বড় সম্মান। আমার নিজের একটি গল্পও আছে এই প্রেক্ষাপটে, নির্বাচিত দেবদূত নামে।
.
কিন্তু বড় যত হয়েছি, ততই দেখেছি, কামিল - কওমি মাদ্রাসা থেকে দাখিল - ফাজিল - আলেম, অথবা দাওরা হাদিস পাশ করে বের হওয়া সুন্নতি লেবাসধারি অনেক মাওলানা এমন অনেক কাজ করেন, এমন অনেক কথা বলেন, যা তাদের সুন্নতি লেবাস, বা দ্বীনি শিক্ষাদীক্ষার সঙ্গে যায় না।
.
বড়, আল্লাহওয়ালা, সাহেবে নিসবত বুজুর্গ আলেমদের দেখলে আপনাতেই শ্রদ্ধা জাগে। কিন্তু তাদের সংস্পর্শে থাকা, তাদের কাছে পড়াশোনা করা মাত্রই যে কেউ আলোকিত অন্তরের অধিকারী হয়ে যাবেন, আমার মনে হয় না তার নিশ্চয়তা আছে।
.
২।
.
আমাদের মহল্লার ইমামসাহেবের সঙ্গে ওদিন কথা হচ্ছিল। কি এক প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন, আমার স্ত্রী কি করে, ইত্যাদি। প্রসঙ্গটা আমার জন্যে স্বস্তিদায়ক নয়। তবুও মসজিদ স্থাপনের পর থেকেই ওনার সঙ্গে চেনাজানা, তাই এক দু' কথায় জানালাম যে আমার স্ত্রী পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। হুজুর জিজ্ঞেস করলেন, পড়াশোনা শেষে কি পরিকল্পনা। আমি জানালাম, আমার সঠিকভাবে জানা নেই। আগে পড়াশোনাটা ঠিকভাবে শেষ করুক। এমনিতে ওর নিজের একটা ব্যবসা আছে, চাইলে সেটা করবে।
.
হুজুর বললেন, আমার তো টাকাকড়ির অভাব নেই, আমি কেন আমার স্ত্রীকে বাইরে কাজ করতে দেবো।
.
হুজুর হয়তো সৎ উদ্দেশ্যে, বা আমার মঙ্গল কামনা করেই কথাটা বলেছিলেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য সাধারনভাবে পাক - ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের এজেন্সি নিয়ে আলেমওলামাদের এক বড় অংশের যে অতিরক্ষণশীল, বৈষম্যমূলক, এবং অবজ্ঞার মনোভাব, তার বহিঃপ্রকাশও বটে।
.
আমি ইমাম সাহেবকে খানিকটা প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে প্রশ্ন করলাম, রাসুল (সঃ) এর সুন্নাহ এবং হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রবক্তা মা আয়েশা (রাজিঃ)। তিনি নারী বলে কি রাসুল (সঃ) - এর হাদিস বর্ণনা করা থেকে বিরত থেকেছেন কখনো?
.
ইমাম সাহেব বললেন, সেটা পর্দাপ্রথা নাজিল হবার পূর্বে।
.
আমার কাছে ইমামসাহেবের এ বক্তব্য খুব একটা গ্রহনযোগ্য মনে হয় নি, কারন রাসুল (সঃ) এর ওফাতের পরেও মা আয়েশা (রাজিঃ) যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, আলেম হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল, রাজনীতিতেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
.
রাসুল (সঃ) এর যুগে নারীরা পর্দার মধ্যে থাকলেও সকলরকম কাজেই কমবেশী অংশগ্রহন করতেন। রাসুল (সঃ) - এর যুগ থেকে আমরা যত সরে এসেছি, মেয়েদের ঘরের ভেতরে আটকে ফেলার প্রচেষ্টা মনে হয় তত বেড়ে গেছে। তুরস্ক, এমনকি ইরানেও ব্যাপারটা এতো তীব্র নয়, যতটা আমাদের পাক - ভারত উপমহাদেশে।
.
মসজিদগুলোর দিকে তাকালে ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়। আমার মহল্লায় মাগরিবের ওয়াক্ত হলে পুরুষরা সব মসজিদের ভেতরে গিয়ে নামাজ পড়ে, নারীরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। এদিক সেদিক হাঁটে। নামাজ কি তাদের জন্যেও ফরজ নয়? তাহলে মসজিদে তাদের নামাজের জন্য কোন জায়গাই না রাখা - এটা কেমন রীতি?
.
ইমামসাহেবকে জিজ্ঞেস করতে তিনি আমতা আমতা করেন। বলেন, যে হ্যাঁ, এমনটা তো হওয়া উচিৎ না।
.
তো সমাধান কি?
কোন সমাধান নেই তার কাছে।
.
পর্দার প্রসঙ্গটাও আলাপে উঠে বারবার আসে। ইমাম সাহেবও ওদিন এই পর্দার কথা আনছিলেন। আমি নারীদের মুখমণ্ডল যে পর্দার অধীনে নয় এই কথাটা স্মরণ করিয়ে দিতে, ইমামসাহেব অস্বীকার করে বলেন, চেহারা থেকেই সকল কামনা বাসনার শুরু। তাই চেহারাও ঢেকে রাখতে হবে।
.
আমি বললাম, পুরুষের কামনাবাসনা যে কোথা থেকে শুরু হয় না, তার লিস্ট কখনো শেষ হবে? আপনি এমতাবস্থায় নিজে দৃষ্টি সংযত না করে নিয়ম বানিয়ে মেয়েদের পুরো নেকাব পরে ঘুরতে তো বাধ্য করতে পারেন না।
.
হজ্জের মৌসুমেই বা কি করেন তবে, তারা? হজ্জে তো নারী - পুরুষ নির্বিশেষে চেহারা উন্মুক্ত রাখাই নিয়ম।
.
৩।
.
মেয়েদের ওপর আমাদের আলেম সমাজের এক বড় অংশের বৈষম্যমূলক আচরণের মূল কারন, তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা। তাদের অনেকেই যে দরিদ্র অবস্থার মধ্য থেকে বের হয়ে আসেন, সেই কায়ক্লেশ, অনিশ্চয়তার বিষবাষ্পের উদ্গিরনে তারা প্রায়ই নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন।
.
আমাদের ইমামসাহেবের ঘটনাতেই ফিরে আসি। তার মেয়ের বাচ্চা হবে বলে কিছুদিন আগে ছুটি নিলেন তিনি। ইমামসাহেবের বয়স পঞ্চাশের মতো হবে। তার মেয়ের বয়স তাহলে এখন কতো হওয়ার কথা? এরমধ্যেই সে মেয়ের বিয়ে, সন্তান নেয়া। ইমামসাহেবও আর্থিকভাবে কিছুটা অভাবগ্রস্থ। চিন্তা করছিলাম, তিনি যদি অবস্থাসম্পন্ন ঘরের কেউ হতেন, নিজের মেয়েকে নিরক্ষর রাখতেন? পড়াশোনার সুযোগ দিতেন না? নাকি তখন চাইতেন, এবং চেষ্টা চালাতেন যেন মেয়ে তার স্বামীর উপর পুরো নির্ভরশীল না হয়ে নিজে যেন উপার্জনক্ষম হতে পারে?
.
৪।
.
আমার বোন এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের চা' চক্রে আমন্ত্রন পেয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়ার জন্য। উক্ত অনুষ্ঠানে ওদের যে সুভ্যেনিয়র ম্যাগাজিন দেয়া হয়েছে, অনার্স মাস্টার্সে কৃতিত্বের অধিকারী অন্যান্য বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা সহ, তাতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া ১১২ জনই মেয়ে। ছেলের সংখ্যা তার বিপরীতে ১০০ জন। বেড়ে ওঠার একই পরিমান সুযোগ দিলে ছেলে - মেয়ের ফলাফলে যে তারতম্য হয় না, বরং মেয়েরাই প্রায় এগিয়ে যায় ছেলেদের পিছে ফেলে - এসব এখন পরীক্ষিত সত্য।
.
আল্লাহ তার সৃষ্টির মধ্যে মৌলিক সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে বৈষম্য করেন, এটা আমার বিশ্বাস করতে মন চায় না। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ২০২১ সালে যে সুযোগসুবিধা একজন পুরুষ ভোগ করে, ইসলামের নাম ব্যবহার করে নারীদের সে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার মতো দুর্ভাগ্যজনক কাজ আর কি হতে পারে?
.
৫।
কিছু প্রস্তাব আছে আমার, আলোচনার শেষে।
.
এক, কোরআন, বা শরিয়ার যে ইন্টারপ্রিটেশন, তার অধিকাংশই, বা বলতে গেলে তার সবই পুরুষদের করা, এবং সেসমস্ত ম্যাস্কুলিন ইন্টারপ্রিটেশন আমাদের মা - খালাদের মুখে মুখেও ফিরছে। যদিও তার কিছু নিয়ম নীতি হয়তো এমনও, যা পুরুষ আলেমরা নিজেদের সুবিধামতো অতিরিক্ত যোগ করেছেন। যেমন মেয়েদের নেকাব ব্যবহার ফরজ বলে দাবী করা।
মসজিদে, কিছুটা ভিন্ন করে হলেও, মেয়েদের নামাজের জায়গা না রাখা - ফিতনা সৃষ্টি হবে বলে। ইত্যাদি।
.
প্রাকটিসিং মুসলিম নারীরা কোরআনের তাফসিরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে, বা কোরআন, হাদিস ইত্যাদি - নারীর দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বোঝার চেষ্টা করলে, এবং তাদের পঠন পাঠনের ফাইন্ডিংস নিজেদের লেখাপত্রের মাধ্যমে শেয়ার করা শুরু করলে হয়তো এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।
.
আর দ্বিতীয়ত, ইমাম, বা ধর্ম প্রচারক শ্রেণীর যারা আছেন, তাদের এই আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন যে - তারা যে কথায় কথায় নিজেদের নায়েবে রাসুল (সঃ) দাবী করেন, তাদের এই দাবী কি আত্মরতিমূলক, বা অহংকারপ্রসূত কিনা। এবং, রাসুল (সঃ) - এর নায়েব হবার জন্য খালি দরসে নিজামির একটা ডিগ্রি যথেষ্ট কিনা।
.
তৃতীয়ত, আমরা যারা সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত, প্র্যাকটিসিং মুসলিম, আমাদের উচিৎ না নিজেদের ধর্মপরিচয় নিয়ে লজ্জাবোধ করা। যদি আমরা সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলাম কীভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তার ব্যাপারে ক্রিটিকাল না থাকি, তাহলে ইসলাম সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে আমাদের রাজনীতিবিদ, আর এমন অনেক নামধারী আলেমদের কাছ থেকে, যারা ধর্মকে মোটামুটি ব্যবসা হিসেবেই নিয়েছেন।
.
ধর্ম ব্যবসায়ী বলতে কি বোঝাচ্ছি, তার একটা উদাহরন দিতে পারি।
.
গতকাল রাতে মুগদা এলাকা জুড়ে মাইকিং করে সুর দিয়ে ওয়াজ করার প্রেক্ষিতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। মুগদা কমিউনিটি গ্রুপে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি ওয়াজে দূর দূরান্তে মাইকের ব্যবহার বন্ধ রাখার পক্ষে মত রাখায় নিজের নামের পেছনে মুফতি টাইটেল ব্যবহারকারী এক ফেসবুক আইডি আমাকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন, যে, আমি নাকি মূলত মাইকে করে আজান প্রচারে বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডাধারী। একই সূত্রে সে পোস্টে আমাকে মাথামোটা বলে যিনি গালি দিয়েছেন, তিনি এক মসজিদের ইমাম।
.
এই হচ্ছে আমাদের ধর্মপ্রচারকদের একাংশের অবস্থা। নিজেদের ব্যবসার বিরুদ্ধে, দু'পয়সা কামানোর সোর্স হতে পারে, এমন কিছুর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই লাফিয়ে পড়ে তাকে মুসলিমদের খাতা থেকে খারিজ করার জন্য।
.

যা হোক, পুরুষ হিসেবে নয়, বরং মানুষ হিসেবে আমি অনুভব করি - কি অসাধারণ সৌন্দর্য, এবং প্রশান্তি আমার আধ্যাত্মিক জীবনাচার আমাকে দিয়েছে। যে নারী সবচে রেকলেস জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তারও আত্মা ফিরবার জন্যে একটি নীড় খুঁজছে। নারী হিসেবে নয়, বরং মানুষ হিসেবেই তার প্রতি আমার সমবেদনা। আত্মিক - আধ্যাত্মিক জীবন হয়তো আত্মার নীড় হতে পারে। সে পথ যেন কেউ ইসলামের পুরুষতান্ত্রিক ইন্টারপ্রিটেশনের নামে রুদ্ধ না করি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×