somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমমরটাল এলিভেনঃ খালি পায়ে বাঙ্গালীদের ইংরেজ সাহেব বধের মহাকাব্য।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সময়টা বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দাস হয়েই দিনাতিপাত করছিল অখণ্ড ভারত। তখন পর্যন্ত কিছু গোরা সাহেব আর দেশীয় উচ্চ বর্ণের রাজনীতিবিদ মিলে বৈকালিক চায়ের আসরে ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ আর হিমশীতল ব্র্যান্ডির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে নি। পশ্চিম বঙ্গ আর পূর্ব বঙ্গ ( বর্তমান বাংলাদেশ ) দুই বঙ্গ তখনো একত্রিত। দুই বাংলার হিন্দু - মুসলিম, বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান সবাই মিলেই একটি বাঙালি জাতি। এই বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হয়ে " মোহন বাগান " ১৯১১ সালের ২৯ শে জুলাই গড়েছিল এক অনন্য ইতিহাস। খালি পায়ের বাংলার দামাল ছেলেরা সেদিন লিখেছিল গোরা সাহেবদের বধের ইতিহাস।




১৮৫০ সালের দিকে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ফুটবল খেলাটা রপ্ত করেছিল অখণ্ড ভারতবাসী। হাডুডু, ডাঙ্গুলি খেলা একটি জাতি হুট করে অন্য একটি খেলায় খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারে নি। প্রায় পাঁচ দশক লেগেছিল ফুটবল খেলাটাকে ভালো ভাবে রপ্ত করতে। ফুটবল টেকনিক এর পাশাপাশি শরীর নির্ভর একটি খেলা। তাই এই খেলায় শারীরিক সক্ষমতাও একটি জরুরি বিষয়। দীর্ঘাকার ব্রিটিশ সাহেবদের তুলনায় নেটিভ ইন্ডিয়ানরা শারীরিক সক্ষমতায় সব সময় পিছিয়েই থেকেছে। এই কারণে ব্রিটিশ সাংবাদিক G.W Steevens বলেছিলেন - ' By his legs you shall know a bangali. The Bengali's leg is either skin and bones. or else it is very fat or globular, also turning at the knees, with round thighs like woman's. The Bengali's leg is the leg of aslave.' শক্তির বিচারে পিছিয়ে থেকেও বাঙ্গালিরা ফুটবলে ভালোই চমক দেখাচ্ছিল সেই সময়ে। তবুও ইংরেজ কোন দলকে হারানোর মত সক্ষমতা ছিল না বাঙ্গালির। তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট 'ইন্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন ( আইএফএ ) চ্যালেঞ্জ শিল্ড' জয় করা তো স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না। তাই তো ১৮৯২ সালে কোলকাতা ফুটবল ক্লাব এর বাৎসরিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ওয়াটসন বলেছিলেন , ' If the Bengalees ever win this trophy - defeating all Europian teams - they may well claim to have wiped off the stain of the field of plassey.' সেই অসম্ভব কাজকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন মোহন বাগানের এগার জন অমর বাঙালি। সমগ্র বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন গর্বে মাথা উঁচু করার উপলক্ষ।

১৮৮৯ সালের ১৫ই আগস্ট জন্ম নেয়া মোহন বাগান ক্লাবের প্রথম কোন শিরোপা আসে ১৯০৪ সালে কোচ বিহার কাপ জয় করার মাধ্যমে। ১৯০৫ সালে মোহন বাগান গ্ল্যাডস্টোন কাপ জয় করে নেয়। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে টানা তিন বছর ১৯০৬-১৯০৮ সালের ট্রেডারস কাপ জয় করে মোহন বাগান। ধারাবাহিক ভালো খেলার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯০৯ সালে আইএফএ শিল্ড এ আমন্ত্রণ পায় মোহন বাগান। এই প্রথম বড় কোন আসর মাতাতে প্রস্তুত মোহন বাগান। অভিষেক টা খুব একটা ভালো হয় নি মোহন বাগানের জন্য। কিন্তু পরাজয়েই থেমে যায় নি বাঙ্গালির অদম্য জয়ের স্পৃহা। মোহন বাগানের তৎকালীন অধিনায়ক শিবদাস ভাদুরি আইএফএ শিল্ড জয়ের পর্বতসম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য শক্তিশালী একটি দল গঠনের দিকে মনোনিবেশ করলেন। শিব দাস ভাদুরি, বিজয় দাস ভাদুরি, হাবুল সরকার, কানু রায়, অভিলাষ ঘোষ, নীলমাধব ভট্টাচার্য, রাজেন সেনগুপ্ত, হীরালাল মুখার্জি, মনমোহন মুখার্জি, সুধীর চ্যাটার্জি এবং ভূতি সুকুলকে নিয়ে তৈরি হল একটি অদম্য দল। এদের মধ্যে তিন জন ব্রিটিশ রাজ কর্মচারী ছিলেন। শিব দাস ভাদুরি ভেটেরনারি ইন্সপেক্টর, মনমোহন মুখার্জি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, হাবুল সরকার কোলকাতা কর্পোরেশন এর ক্লার্ক, রাজেন সেনগুপ্ত, অভিলাষ ঘোষ স্কটিশ চার্চ এবং কানু রয় প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। নীল মাধব ভট্টাচার্য বেঙ্গল ন্যাশনাল ব্যাংক, হীরালাল মুখার্জি ইটের ভাটায় কাজ করত। ভুতি সুকুল এর পারিবারিক ছোট ব্যবসা এবং সুধীর চ্যাটার্জি কোলকাতা এলএমএস কলেজের শিক্ষক ছিলেন। এই অমর এগারো জনের মধ্যে দলীয় অধিনায়ক সহ মোট আটজন ছিলেন পূর্ব বঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের। একমাত্র ভূতি সুকুল ছিলেন নর্থ ইন্ডিয়ান।



১৯১১ আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টঃ

১০-০৭-১৯১১ প্রথম ম্যাচে রেঞ্জারস গ্রাউন্ডে সেন্ট জেভিয়ার্স এর মুখোমুখি বাংলার প্রতিনিধি মোহন বাগান। সুধীর চ্যাটার্জি ছুটি না পাওয়ায় ১০ জনের দল নিয়েই মাঠে নামতে হয় মোহন বাগানকে। খালি পায়ে খেলা ১০ জন বাঙ্গালির প্রতিপক্ষ সেন্ট জেভিয়ার্স মোটেই সহজ দল নয়। মোহন বাগান দলের বুট পরে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় চ্যাটার্জি অনুপস্থিত এই ম্যাচে। খালি পায়ে বুট পরা খেলোয়াড়দের সাথে লড়াই তার উপর ১১ জনের বিপরীতে ১০ জনের লড়াই, অনেকেই হয়ত মোহন বাগানের অসহায় আত্ম সমর্পণের কথাই ভেবেছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ অনেকটা হেসে খেলেই জয় করে নিল অদম্য মোহন বাগান। বিজয় দাস ভাদুরির ২ গোল এবং অভিলাষ ঘোষ এর ১ গোলে ৩-০ গোলে প্রথম ম্যাচে জয়ী মোহন বাগান।

১৪-০৭-১৯১১ কাস্টমস গ্রাউন্ড এ স্কটিশ জায়ান্ট রেঞ্জার্স এর মুখোমুখি মোহন বাগান। প্রথমার্ধেই অধিনায়ক শিব দাস ভাদুরির দুই গোলে এগিয়ে মোহন বাগান। বাঙ্গালীদের আক্রমণের মুখে দিশেহারা স্কটিশ জায়ান্টরা। ত্রাণকর্তা হিসাবে এগিয়ে এলেন ইংরেজ রেফারী। তিনটি বিতর্কিত পেনাল্টি উপহার দিলেন রেঞ্জার্সকে। পেনাল্টি উপহার স্বরূপ পেয়েও স্কোর বোর্ডে কোন পরিবর্তন হল না। গোল বারে দাড়িয়ে থাকা হীরালাল কে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ রেঞ্জার্স। অসাধারণ দক্ষতায় তিনটি পেনাল্টি রুখে দেয় হীরালাল। ম্যাচের শেষ দিকে স্কটিশ রা একটি গোল পরিশোধ করলেও ম্যাচের ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলে নি। ২-১ গোলের জয় নিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যায় মোহন বাগান।

১৯-০৭-১৯১১ তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ডালহৌসি মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ রাইফেল ব্রিগেড এর বিরুদ্ধে মোহন বাগানের ম্যাচ। পর পর দু ম্যাচের অভাবনীয় এবং দৃষ্টি নন্দন পারফর্মেন্সে প্রত্যাশার পারদ বাড়ছিল মোহন বাগানের পক্ষে। শুধু মাত্র কোলকাতা নয় পুরো বঙ্গেই ছড়িয়ে পরছিল মোহন বাগানের সুনাম। সেমি ফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচে জয় লাগবেই। প্রত্যাশা আর স্বপ্ন পূরণের চাপে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক খেলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। আগের দু ম্যাচের মত জয়টা এবার সহজে এল না। হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের পর বিজয় দাস ভাদুরির একমাত্র গোলে রাইফেল ব্রিগেডের বিপক্ষে জয় পায় মোহন বাগান।

২৪-০৭-১৯১১ স্বপ্ন জয় থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে মোহন বাগান। ডালহৌসি মাঠে এবারের প্রতিপক্ষ মিডলসেক্স রেজিমেন্ট। মোহন বাগানের জনপ্রিয়তা ততদিনে আকাশচুম্বী। সেমি ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি সবাইকে অবাক করে দেয়। ফুটবল মাঠে এত দর্শক এর আগে কখনোই দেখেনি ভারতবর্ষ। সারা বাংলা থেকেই দর্শক মোহন বাগানের খেলা দেখতে ডালহৌসি মাঠে জড়ো হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মোহন বাগান এই ম্যাচেই। শুরুতেই পিছিয়ে পরে মোহন বাগান। স্বপ্নের প্রদীপটা যেন নিভু নিভু করছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দলের ত্রাণকর্তা হয়ে উঠলেন কানু রায়। কানু রায়ের গোলে সমতা ফিরলে আর কোন দলই গোল করতে না পারায় ম্যাচটি ড্র হয়। সে সময় অতিরিক্ত মিনিট এবং টাই ব্রেকার এর নিয়ম না থাকায় ফিরতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ২৫-০৭-১৯১১ ডালহৌসি মাঠেই ফিরতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। একই মাঠ , একই প্রতিপক্ষ , আগের মতোই দর্শক উপস্থিতি। শুধু একটি জিনিসের পরিবর্তন। মোহন বাগানের পারফর্মেন্স এর আমূল পরিবর্তন। প্রথম ম্যাচে মিডলসেক্স এর গোল রক্ষক বাধা হয়ে দাঁড়ালেও এই ম্যাচে বাঙ্গালীদের সামনে অসহায় আত্ম সমর্পণ করে মিডলসেক্স। কানু রায়, শিব দাস ভাদুরি, হাবুল সরকারের গোলে ৩-০ গোলের জয় পেয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয় মোহন বাগান।

২৯-০৭-১৯১১ স্বপ্নের ফাইনালে মোহন বাগান। কোলকাতা ফুটবল ক্লাব গ্রাউন্ড মাঠে প্রতিপক্ষ ইষ্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্ট। মোহন বাগানের বিজয়ের গল্প পুরো বাংলায় আলোড়ন তৈরি করে ফেলেছিল ততদিনে। সবার মুখেই মেরুন- সবুজদের জয়ধ্বনি। এই ম্যাচ দেখার জন্য বাংলার প্রতিটি প্রান্ত থেকেই দর্শক জড়ো হতে লাগল কোলকাতা ফুটবল ক্লাব গ্রাউন্ডে। ইষ্ট বেঙ্গল রেলওয়ে বিশেষ রেল সার্ভিস চালু করেছিল এই ম্যাচ উপলক্ষে। নদী পথেও ছিল যাত্রী পরিবহনের বাড়তি চাপ। সবাই যেন মাঠে উপস্থিত থেকেই প্রত্যক্ষ করতে চাইছিলেন বাঙ্গালীর জয়। অফিসিয়াল হিসাবে ম্যাচের দর্শক সংখ্যা আনুমানিক ৬০০০০ বলা হলেও, প্রকৃত পক্ষে এই ম্যাচে দর্শক ছিলেন লাখের চেয়েও বেশি। উপস্থিত সবার পক্ষে ম্যাচ দেখা সম্ভব হয় নি। এক লাখ দর্শকের খেলা উপভোগ করার মত সুবিধা তখন ছিল না। তবুও বাঙ্গালীর উৎসাহে বিন্দু মাত্র ভাঁটা পরে নি। ম্যাচের ফলাফল জানানোর অভিনব পদ্ধতিও বের করেছিল সেই ম্যাচের জন্য। ঘুড়ির মাধ্যমে মাঠের আশেপাশে থাকা দর্শক জানতে পারবে ম্যাচের ফলাফল। আকাশে কালো রঙের ঘুড়ি জানাবে ইংরেজ সাহেবদের জয়ের কথা। আর মেরুন সবুজ রঙের ঘুড়ি হবে বাঙ্গালীর বিজয়ের নিশান।

শুরু হল সেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল। মাত্র পঞ্চাশ মিনিট। পঞ্চাশ মিনিটেই লেখা হয়ে যেতে পারে বাঙ্গালীর বিজয়ের ইতিহাস। ম্যাচটা এখন আর শুধু মাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ নয়। যেন হয়ে উঠেছিল একটি জাতির সম্মানের অংশ। নিজ ভূমিতে অন্যের দাস হয়ে বেঁচে থাকা একটি জাতির সম্মানের সাথে মাথা তুলে দাঁড়াবার লড়াই। সে লড়াইয়ে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয় নি বাঙ্গালিরা। আক্রমন - পাল্টা আক্রমনে এগিয়ে চলছিল খেলা। কিন্তু প্রথমার্ধেই হোঁচট খেল মোহন বাগান। ১-০ গোলে পিছিয়ে গেল অদম্য বাঙালি। আকাশে তখন কালো ঘুড়ি। ব্রিটিশ দর্শকদের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস আর বাঙ্গালীদের যেন পিন পতন নিরাবতা। আকাশের কালো ঘুড়ি যেন ঢেকে ফেলেছে পুরো বাংলার আকাশ। শিব দাস ভাদুরি, কানু রায়, বিজয় দাস, অভিলাষদের একের পর এক আক্রমণও ব্রিটিশদের গোল লাইন অতিক্রম করতে ব্যর্থ। প্রথমার্ধ শেষ হল ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধেও বাঙ্গালীরা ব্রিটিশ দুর্গ ভাঙতে ব্যস্ত। অবশেষে খেলা শেষ হবার দশ মিনিট আগে এল সেই মহেন্দ্রক্ষন কানুর বাড়িয়ে দেয়া বল থেকে বল জালে জড়ালেন মোহন বাগান অধিনায়ক শিব দাস ভাদুরি। আকাশে কালো ঘুড়ির বদলে তখন শেষ বিকালের রোদ। মেরুন- সবুজ রঙের দোপাজ ঘুড়ি তখন বীর দর্পে আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। বাঙালি দর্শকদের উল্লাস। ম্যাচ শেষের মাত্র মিনিট দু এক বাকি থাকতে ব্রিটিশ দুর্গে শেষ আঘাত হানলেন অভিলাষ ঘোষ। ২-১ গোলে এগিয়ে বাংলার প্রতিনিধি মোহন বাগান। ম্যাচ শেষের আগেই শুরু হয়ে গেল দর্শকদের বিজয় উল্লাস। রেফারীর শেষ বাঁশি বাজানোর সাথে সাথেই রচিত হল এক বিজয়ের ইতিহাস। পুরো কোলকাতা জুড়ে আতশ বাজি আর রঙের খেলা। এটি শুধু বাঙালি কিংবা ভারতীয়ই নয়, কোনো ইউরোপীয় দলকে হারিয়ে কোনো এশিয়ান দলের প্রথম কোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট জয়।

এই ম্যাচ নিয়ে একটা মিথ প্রচলিত আছে। খেলা শেসে একজন দর্শক এসে মোহন বাগানের অধিনায়ক শিব দাসকে প্রশ্ন করেছিলেন,ফোর্ট উইলিয়ামের ওপর উড়তে থাকা ইউনিয়ন জ্যাকের দিকে আঙুল তুললেন। বললেন- ওটা নামবে কবে? শিব দাস জবাবে বলেছিলেন,' এর পর যখন মোহন বাগান আবার আইএফএ চ্যাম্পিয়ন হবেন সেই সময় ভারতীয় পতাকা উড়বে' সৌভাগ্যক্রমে মোহন বাগান ১৯৪৭ সালেই দ্বিতীয়বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং সে বছরই ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।



শিব দাস ভাদুরি


বিজয় দাস ভাদুরি


অভিলাষ ঘোষ


কানু রায়


মনমোহন


হীরালাল


নীলমাধব


রাজেন সেন গুপ্ত


সুধীর চ্যাটার্জি
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
৪৮টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×