সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যাক্তিদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা একরকম নিশ্চিত যে, খুব শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু হতে যাচ্ছে। আর এটা হলে জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাই যে ফেঁসে যাবেন এটাও একপ্রকার নিশ্চিত। ব্যাক্তিগতভাবে আমি সবধরনের অপরাধের বিচার হোক এটা মনেপ্রাণে কামনা করি।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নিজেরা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও এটি যে জামায়াতের প্রতিষ্ঠান এতে কোন সন্দেহ নেই। এ সত্যটি দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে আসন্ন যুদ্ধাপরাধ মামলা বিষয়টিকে ঘিরে গ্রহণ করা তাদের একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে। গতকাল রাতে যখন আমার ছাত্রকে পড়াতে গেলাম তখন সে বলল, "স্যার একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য শুনবেন?" আমি কপাল কিছুটা কুঞ্চিত করে বললাম, "চাঞ্চল্যকর তথ্য?" সে বলল, হ্যাঁ স্যার, আমার এক আত্নীয়( সম্পর্কে কি হয়, তার পদবী কি সবকিছুই বলল, কৌশলগত কারণে এখানে উল্লেখ করলাম না) ইসলামী ব্যাংকে চাকুরি করেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ইসলামী ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট একটা শতকরা পরিমাণ কেটে নেয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধে জামায়াতের নেতাদেরকে জড়ানো হলে তাদের পক্ষে আইনী লড়াই চালানোর তহবিলে জমাদানের জন্য।" কেউ এতে আপত্তি জানালে বা এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করলে চাকুরী চলে যাবার সম্ভাবনা আছে। জানতে চাইলাম শতকরা কত টাকা কাটছে। সে বলল, "এটা জিজ্ঞেস করিনি"। আমি বললাম, "তোমার আত্নীয়ের কাছে একটু বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করো"। আজ হয়ত আরও অনেক কিছু জানতে পারব।
ইসলামী ব্যাংকে যারা চাকুরী করেন তাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির সমর্থক হলেও অনেক সাধারণ লোকও আছেন। জামায়াত-শিবির সমর্থকরা হয়ত তাদের বেতন থেকে টাকা কাটায় আপত্তি করবেনা। কিন্তু যারা কোন দলের সাথে জড়িত নন, শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী করেন তাদের বেতন থেকে এভাবে টাকা কেটে নেয়াটা কতটুকু ইসলামসম্মত?