ইতিহাস বলে ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা শহর অর্ধেক পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো,
.
প্রতিবছর দেশে গড়ে ১৬ হাজারেরও বেশী অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০টি অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়!
.
ঢাকার চকবাজারে যে ৭৯ জন মানুষ মারা গেলো তা সংখ্যায় বেশী এবং আলোচিত ঘটনা হয়ে যাওয়ায় আমরা সবাই হায়! হায়! করছি!
.
২০১৭ সালে লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে অগ্নিকান্ডেও ৭৯ জন মানুষ মারা গিয়েছিলো কিন্তু তা আমাদের দেশের মতো দৈনন্দিন ঘটনা নহে,
.
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী অগ্নিকান্ড হয় শর্ট সার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্পোরণ থেকে এমন কি গতকালের ঘটনাটিও সেইম!
.
আমি যখন হায়! হায়! করছি তখনো আমার মাথার উপ্রে নিচে পাশে এলাকায় এলোমেলো তার ছড়িয়ে ছিলো আছে থাকবে যা জন্ম থেকে দেখে আসছি! আমি জানি আপনারও এলাকায়ও একই চিত্র....!
.
দেশে গত এক দশকে যত অগ্নিকান্ড ঘটেছে তার ৭০ ভাগ বিদ্যুতের তার থেকে সূত্রপাত, ভাবা যায়!
.
গতকালও আমি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের উপ্রে পা রেখে দিব্যি বাসায় এসেছি,
.
বাসা বাড়ির গ্যাস লাইন আর গ্যাসের চুলার অবস্থা দেখলে মনে হয় 'ছেড়ে দে মা, কাইন্দা বাঁচি অবস্থা!'
.
রান্না ঘরে গ্যাসের অগ্নিকান্ডে প্রতি বছর কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ মারা যায় তাদের অধিকাংশ আমাদের মায়েরা,
.
আর বছরে অসাবধানতাবশত আগুনে পোড়ে প্রায় ৬ লাখ মানুষ,
.
আমাদের জাতীয় স্লোগানও হলো 'জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো!'
.
আমরা আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের খোঁজ করি ততক্ষণে আগুন আমাদের খোঁজ করে ফেলে,
.
তারপর অপরিকল্পিত নগরায়ন আর যত্রতত্র ভবনের কারণে ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে ঢুকতে বাকীটা ইতিহাস হয়ে যায়,
.
বস্তিগুলোতে দুদিন পর পর অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় শত শত ঘর,
.
আর 'মাদার অব অগ্নিকান্ড' বলা হয় পুরান ঢাকার নিমতলির অগ্নিকান্ডকে যা ২০১০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো এবং প্রায় ১১৭ জন মানুষ মারা গিয়েছিলো,
.
পত্রিকায় লাশের সারি! তখন আমি চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়তাম! দেখেছি অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল সেমিনার টক শো,
.
তারপর দিন কয়েক পর সব হারিয়ে গেলো! অবস্থার কোন উন্নতি দেখলাম না!
.
আজ ২০১৯ সাল আবারও নতুন রূপে চকবাজারে নিমতলার আগমন! টক শো শুরু হয়ে গেছে! টক্ অব দি কান্ট্রি!