'জিরো' নাম দিয়ে শুরু করা একটি ব্যান্ড পরবর্তিতে 'লিংকিং পার্ক' নামে পৃথিবীর রক ব্যান্ডের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছিলো,
.
২০০০ সালে প্রকাশিত তাদের প্রথম অ্যালবাম 'হাইব্রিড থিওরি' পরের বছরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী বিক্রী হওয়া অ্যালবামের নাম ।
.
দু দুইবার গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড জিতে নেওয়া এই ব্যান্ডের লীড্ ভোকাল চেস্টার বেনিংটন ২০১৭ সালে আত্মহত্যার পর জীবনের হিসেব নিকেশ অনেক পাল্টে গেছে,
.
২০০৮ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন তার বাল্য জীবনের কষ্ট সে এখনো ভুলতে পারছেন না যখন থেকে তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়েছিলো ।
.
কষ্টগুলো তাকে তরুণ বয়স থেকে একজন মাদকসেবী হিসেবে গড়ে তুলেছিলো,
.
চেস্টার বেনিংটন তার ব্যান্ডদলকে অনুপ্রেরণা দিতেন এই বলে যে 'আমি যখন ১৯৯৯ সালে লস এঞ্জেলসে এসেছি এবং জিরো ব্যান্ডের সাথে কাজ শুরু করছিলাম তখন আমার গাড়ির দুটো লাইট নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, টাকার অভাবে মেরামত করতে পারিনি তাই আমার গাড়ি ঘন্টায় ৩৫ মাইলের কম বেগে চলতো'
.
দারুণভাবে অনুপ্রেরণা দিতে পারা সে মানুষটাও কষ্ট ভুলতে পারতেন না! পারেননি ।
.
পৃথিবীর যাবতীয় খ্যাতি, মর্যাদা, টাকা, উন্মাদনা সব পেয়েও তার মনে হয়েছে, না না না, আমাদের সব থাকলেও প্রিয় মানুষদের অবহেলা কিংবা পাশে না থাকা সহ্য করার ক্ষমতা নেই ।
.
যার মোটিবেশনে, পৃথিবীর সেরা ব্যান্ড দল সৃষ্টি হয়েছিলো, সে ও একদিন নিঃশেষ হওয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে নিলো,
.
তার মাত্র দুই মাস আগে,
.
চেস্টারের প্রিয় বন্ধু, যুক্তরাষ্ট্রের সাউন্ডগার্ডেন ও অডিওস্লেভ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক ক্রিস কর্নেল আত্মহত্যা করেছিলেন ।
.
প্রিয় বন্ধুর অকালে চলে যাওয়া সে কখনো মেনে নিতে পারেনি! প্রচুর ভেঙ্গে পড়েছিলো,
.
বন্ধুর উদ্দশ্যে লিখেছিলেন 'তুমি যে আমাকে কতভাবে অনুপ্রাণিত করছো তা আর বলা হবে না কখনো আর ।'
.
আরো লিখেছিলেন 'তোমাকে ছাড়া এই গ্রহ আমি কল্পনায় আঁকতে পারছি না' আসলে প্রিয় মানুষগুলো এমনি,
.
দুমাস পরে, চেস্টারও বিদায় নিলেন! এমন মৃত্যু কাম্য ছিলো না কিন্তু প্রিয় মানুষগুলো ছাড়া এমন বেঁচে থাকাটাও তো বড্ড কষ্টের, বেদনার ।
.
শুনো ভাই, তুমি যখন আত্মহত্যার সিন্ধান্ত নাও তখন একটু ভেবে দেখো তোমাকে ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারবে না এমন মানুষও পৃথিবীতে বেঁচে আছে,
.
নিজে চলে গিয়ে তাদের মেরে ফেলার মতো এতো স্বার্থপর কাজ কখনো করোনা ।
.
এ জীবন শুধু তোমার একার না!