somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবা একজনই হয়

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বাবা বেঁচে থাকতে গর্ব করে বলতেন আমার ছেলে যখন মাছ খেতে বসে তখন সে আধা কেজি একাই খায় । এখন আমি এক পিছ্ মাছ দিয়ে খেয়ে উঠে যায় । কারণ বাজারটা আমিই করি ।
.
চার পাঁচটা ডিম আমি একাই খেতাম । এখন বউ অর্ধেকের বেশী ডিম দিলে রাগ হয় কারণ ডিমটা আমাকেই কিনতে হয় ।
.
বাবাকে একদিন বলেছিলাম ফার্মের মুরগী ভালো লাগে না । তারপর থেকে বাবা আমার জন্য হলেও আলাদা করে দশ কেজি সোনালী কিংবা টার্কি ফ্রিজিং করে রাখতো । দুটা মুরগীর চারটা রান আমি এক নিমিষে সাবার করতাম । আর এখন ফার্মের মুরগী কিনতে গেলে আমি দশ দোকান চেক্ করে তারপর কিনি । খায় কেবল এক টুকরোই ।
.
বাবারা এমনি! না কেবল কিছু কিছু বাবা এমন সে প্রশ্ন তুলে রাখলাম কারণ বহুদিন আপেল কিনতে গিয়েও কিনিনি । ওম্মারেম্মা কি দাম! সকাল বিকাল এমন এক ডজন আপেল আমি একাই খেয়েছি বাবা বেঁচে থাকতে ।
.
আমি এখন যে চাল খায় বাবা বেঁচে থাকতে সেই চালের দামে এগুলো দুই কেজি পাওয়া যায় । এখন আমার মনে হয় আমার বাবা কোটিপতির ছিলো । তা আমি জানতাম না ।
.
চতুর্থ কিংবা তৃতীয় শ্রেণীর একটা চাকরি করেও বাবার যে ম্যানেজমেন্ট ছিলো তা বিবিএকে ও হার মানায় । বাবা মারা যাওয়ার পর শুধু মুদির দোকানে এক লাখ টাকা বাকী রেখে যায় তা আমি বাবা না মারা গেলে কখনো জানতামও না ।
.
জীবনের শেষ রক্তবিন্দু কিংবা রক্ত বেঁচে হলেও সংসারে সবার হাসিমুখ একজন বাবাকে কতটা আনন্দিত করে তা বাবা না থাকলে তখনি কেবল উপলব্ধি করা যায় ।
.
বাবার মতো বলে পৃথিবীতে কোন শব্দ নেই । কোন শ্লার পুত যদি বলে আমি তোর বাবার মতো তারে একদম ঠাডাইয়া লাল করে দিবো আমি । বাবার মতো কেবল বাবা ই হয় ।
.
বাবা ছাড়া যাদের ছায়া ভাবেন তারা কেবল একটা ফর্মালেটি । কথার কথা । বাবার তুলনা কেবল বাবা । আবারও বলছি কেবল বাবা ই ।
.
বাবা মা বউ সন্তান কিংবা ক্লোজ বন্ধু ছাড়া দুনিয়ার বাকী সব সম্পর্ক কেবল গিভ এন্ড টেকের । অনেক চুদানীর পোয়াতো আপনি বিপদে কিংবা ঝামেলায় আছে জানলে তা আরো বাড়িয়ে দিবে । দূর থেকে বাল টাইপের অভিভাবক ফলাবে আর মাতব্বরী করবে । দিনশেষে আপনার যুদ্ধে আপনি ই একমাত্র সৈনিক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে ।
.
যদি মাথা উঁচু করে বাঁচতে আগ্রহী হোন এখুনি আপনাকে এসব বিষয়গুলো রপ্ত করতে হবে । দরকার হলে চা বিক্রী করে খাবেন কিন্তু ভুলেও কখনো অন্যের সাহায্য নিয়ে বাঁচার চিন্তাও করবেন না । কখনো না । আজ যদি কোন সাহায্য নেন কাল ঘর মোচিয়ে নিবে । চয়েজ ইজ ইয়ুরস্ ।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×