ইজ*রাইলি হামলায় গা’জা’ সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন । তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার ঘোষণা ইলন মাস্কের ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান স্টার লিংকের । অথচ মুসলিম বিশ্ব নিরব ।
মনে আছে! এক ফি*লি*স্তি*নি বলেছিলো এমন! হে বিশ্বের মুসলিমরা, তোমাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই । তোমরা কি দেখেও দেখো না!
অথচ মুসলিমরা হবে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো । দুনিয়ার যে কোন প্রান্তে তাদের উপর আঘাত আসলে নিজের শরীর মনে করে এগিয়ে আসতে তারা বাধ্য ।
সূরা আস-সফের চার নাম্বার আয়াতে আল্লাহ নিজে বলেছেন,
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে যেন তারা সীসা ঢালা প্রাচীর।’
এখন প্রশ্ন কোন **** বাচ্চাদের কারণে মুসলিমরা আজ এতো দলে বিভক্ত! এমনকি জনৈক হুজুরের বক্তব্যের কারণে যদি দুই জন মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় তাহলে সে কি এর দায় এড়াতে পারবে! যারা আমাদের ঐক্য নষ্ট করেছে তার কেন মুসলিমরূপি শয়তান হবে না? তবে কি জাহান্নামের উদ্বোধন সেই সব আলেমদের দিয়ে হবে যা হাদীসে বলা হয়েছে!
যখন পবিত্র ভূমি রক্ষার প্রশ্ন আসে তখন সুন্নি, শিয়া, ইবাদি, কুরআনবাদ, অসাম্প্রদায়িক মুসলিম, আহমদিয়া, নেশন অব ইসলাম, সুফিবাদ, ইসলামি উদারপন্থী, ইসলামি মধ্যপন্থী সবাই কি এক হয়ে একটি প্লাটফর্মে আসতে পারে না! কিসের বাঁধা তাদের?
.
আরো মজার বেপার হলো, বাংলাদেশ সরকার সমর্থিত ইসলামিক দলে রয়েছে তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মান্নান), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (বাহাদুর শাহ), বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামা (মাসউদ) ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট (মিছবাহুর) আবার অন্যদিকে সরকার বিরোধি ইসলামি দলও রয়েছে ডজন খানেক । এরা সবাই মিলে কোন বা*টা করতে পেরেছে ইসলামের খেদমতে?
বর্তমানে ইসলাম যতবার ভেঙ্গে খান খান হয়েছে ততবার বাপ্পারাজের মনও ভাঙ্গেনি সিনেমায় । কোন এলাকায় পতিতালয় হলে তার একটি ইসলামিক ভার্সন ‘হালাল পতিতালয়’ বের করা যেনো কিছু মুসলিমদের দায়িত্ব হয়ে যায় । হায়রে মুসলিম! তোমার ভাই মারা যাচ্ছে তুমি বিশ্বকাপ! মুভি! নাচ! গান! উদর ফূর্তি ইত্যাদি নিয়ে আছো । সীসা ঢালা প্রাচীর মানে বুঝো?
তুমি আবার নিজেকে পীর, আল্লামা, শাইখুল হাদীসও দাবী করো! আর আমার নামও মুহাম্মদ আবদুর দিয়ে শুরু হয়েছে । আসলে কি আমরা নিজেকে মুসলমান দাবী করার যোগ্য? ওহ্ আচ্ছা । নীচে ঐ টা কাটা আছে যখন করতেই পারি ।