এদিকে সমস্বরে আগুন আগুন বলে চিৎকার করতেছে।
দৌড়ে গিয়ে দেখলাম, তরমুজ বিক্রেতার তরমুজ লাল হয়েছে তাই!
কয়েকজন লোক দাড়িয়ে আছে জটলা করে। ঘন্টা খানেক ধরে মুভি দেখার মতো তারা তরমুজ কাটা দেখতেছে।
তাদের মধ্যে একজন তো বলেই ফেললো, রোজাতে সময় কাটে না। রোজ বেলা করে তরমুজ কাটা দেখতে দেখতে সময় চলে যায়।
আবারো কয়েক জন বলে উঠলো, ভাই আগুন । একদম পুরা আগুন। সেটা দেখার পর কয়েক জন আবেগে আপ্লুত হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। কে যেনো বলতেছে, ভাই বালিও হবে।
গতবছর বউ আমাকে ঠাইট বলে দিয়েছিলো, যে তরমুজ চিনে না সে কিভাবে মেয়েদের মন বুঝবে। তাই আমিও এই বছর রোজ করে তরমুজ কাটা দেখি।
ভাইরে ভাই! কয়েকদিন পরের কথা। আমার কেডিএস এক্সেসোরিজ অফিসের একটু সামনে বসে ভদ্রলোক তরমুজ কাটতেছে। যেটা কাটে সেটাই আগুন। একে একে সবাই নিয়ে নিচ্ছে।
আমিও পরখ করে দেখতে থাকলাম, সবই আগুন সমেত লাল। তরমুজও বিক্রী হচ্ছে দেদারছে। আর মাত্র কয়েকটা বাকী।
হঠাৎ মনে পরলো, বউ তো তরমুজ খেতে চেয়েছে। তাকিয়ে দেখলাম আর মাত্র কয়েকটা আগুনের গোলা পরে রয়েছে । সব বিক্রী শেষ প্রায়। ইফতারেরও সময় হয়ে আসতেছে । দ্রুত বললাম, শেষ আগুন দুটো আমাকে দাও। সময় নেই আমার। তাড়াতাড়ি দাও। কেটে দেখাতে হবে না। যা দেখছি সবই আগুন।
নাচতে নাচতে বাসায় আসলাম। বউ বললো, কি এনেছো বাজারের ব্যাগ ভরে। বললাম, দুটো রসগোল্লা সমেত আগুন। টাকা থাকলে সব নিয়ে আসতাম। যেটা কাটে সেটাই আগুন।
যাই হোক, ইফতারের সময় হলো। বললাম, সবার আগে আগুন দাও। তাকিয়ে দেখলাম, বউ তরমুজের বদলে ইয়া বড় বড় শসার খন্ড সাজিয়ে রেখেছে। ভ্রুকুটি করে বললো, এই নাও তোমার আগুন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৮