ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা সঙ্গত কারনেই ল্যাপটপটি সাথেই রাখতে চান। কোন অফিসিয়াল ট্যুর অথবা কোথাও বেড়াতে যাওয়া, ল্যাপটপ কাছে থাকলে অনেক কিছুই সাথে রাখা যায়। কিন্তু খুবই সাবধান !!!! যারা ল্যাপটপ নিয়ে বাসে বা ট্রেনে ভ্রমন করেন তারা মুহুর্তের জন্যও ল্যাপটপ হাত ছাড়া করবেন না।
গত মাসে বাড়ী যাচ্ছিলাম। উত্তরার আজমপুর বাস ষ্ট্যান্ড থেকে "হানিফ"-এ চড়লাম। সাথের বড় ব্যাগটি বাসের বক্সে দিলাম আর সাইড ব্যাগটা সাথে নিয়ে বসলাম। ব্যাগটা থায়ের উপরে রাখা ছাড়া উপায় নাই, আবার রাখলেও সমস্যা থাই ঘেমে যায়। তো সীটের উপরে যে তাকের মত থাকে সেখানে রাখলাম। এর পর আর ফিরে দেখিনি। রাজশাহীতে পৌছে বাস থেকে নামার সময় দেখি ব্যাগটা নাই। খোজা খুজির পর সব পেছনের সীটের উপরের তাকে চেন খোলা অবস্থায় ব্যাগটি পেলাম কিন্তু ব্যাগের ভেতরের পকেটে রাখা ৮০০০/= টাকা পাওয়া গেল না।
বিকালের আড্ডায় ঘটনাটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতেই এক বন্ধু আরেকটা এরকম ঘটনা শোনাল " কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার সময় তার এক কলিগ (নির্মানাথীন বাঘাবাড়ী পাওয়ার ষ্টেশন এর ইঞ্জিনিয়ার) এর ল্যাপটপ চুরি হয়। ঢাকা-পাবনা রুটে গাড়ী গুলো পথিমধ্যে এরিস্ট্রোক্রাট হোটেলে বিরতি নেয়, সেই সময় ঐ কলিগ গাড়ী থেকে নেমে একটা সীগারেট শেষ করে গাড়ীতে উঠে দেখে তার ব্যাগ খোলা ল্যাপটপ নাই। খোজাখুজি করে কোন লাভ হয়নি।
গত শুক্রবার রাজশাহী যাওয়ার পথে আবারও আজমপুর থেকে "হানিফ" এ চড়লাম। বাস ছাড়ার দু-মিনিট আগে পাশের সীটের ছেলেটি "আমার ব্যাগ কই" বলতে বলতে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। বাসের সব যাত্রি নামিয়ে খোজা হলো, কোথাও তার ব্যগটি পাওয়া গেল না। ব্যাগের ভিতর ছিল তার অফিসের ল্যাপটপ আর নিজের একটা "সনি" ক্যামেরা। ছেলেটি বাংলা লিঙ্কে চাকরী করে, বাড়ী রাজশাহীর উপশহর। সে নর্দা থেকে বাসে উঠেছিল আজমপুরে এসে গরমের ঠ্যালায় একটু পানি খেতে নেমেছিল। খুব বেশী ৫ মিনিট সময় নিয়েছে চোর।
আমার ল্যাপটপ নাই তবে যে ব্যাগ থেকে টাকা চুরি গেছে তা ল্যাপটপ বহনকারী ব্যাগ গুলোর মতো। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, চোরের টার্গেট ল্যাপটপ। সুতরাং ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা সাবধান, চোরও এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে, এক মুহুর্তও সময় দিবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬