সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলাম
কিনতে চেয়েছিলাম দিবাকর এর নাম
বেচে খাওয়া ভীনদেশী জি এস এম সুবিধা।
হয়তোবা সেই বেনিয়ার ছোট্ট একটু প্লাস্টিক
দিয়ে লেখা যেত
কেন তোমাকে এখনও লেখার কথা ভাবি।
লেখা যেত
আমার বারান্দার পাশে দখিনা হাওয়ায়
বেড়ে ওঠা কচুড়িপানার আর ঝোপঝাড় এর গল্প
তুমি আরেকটু কাছে থাকলেই
বৃষ্টিভেজা বাতাসে সে সৌরভ তোমার
কাছে পৌঁছতো।
আর তোমার উপহার দেওয়া সেই স্বচ্ছন্দ
সময় নির্দেশকটা,
যা এখনো নীল ব্যাগে ইরেজার আর কাঠ পেন্সিলের
ভীড়ে আষ্ঠেপ্রিষ্টে থেকেও ঠিকঠাক সময় বলে দেয়।
তোমাকে জানানো যেত,
এবছর খুব গরম পড়েছিল
প্রচন্ড দাবদাহে প্রান ওষ্ঠাগত।
এখন পর্যন্ত বর্ষার হাবভাবও খুব সুবিধের নয়।
প্রতিদিন ই টুপটাপ বৃষ্টি।
আরো জানানো যেত
আমি আর আগের মত ভিজে ভিজে দুখজাগানিয়া গান
শুনি না।
জানানো যেত নতুনের আগমনে
এখন আর বিজয় কেতন ওড়ে না।
কিন্তু এসব তোমাকে কেন জানাবো?
এসব খবরে তোমার এখন কোনো প্রয়োজন নেই।
অথচ এর থেকেও কি যেন তোমাকে জানানোর ছিল,
কিছু একটা আছে, কিন্তু সেটা যে ঠিক কি
পরিষ্কার করে আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা।
টেবিলের একপাশে কাগজচাপার নীচে
ধুলোয়, বাতাসে বিবর্ণ হয়ে আসছে সেই খাতাটা।
তার গায়ে অসতর্ক চায়ের পেয়ালার গোল ছাপ।
জানানোর ছিল মধ্যরাতে পাওয়া সেই
বার্তার পর থেকে আজ মাত্র দুইটা।
আর সেই আনন্দের অতিশায্যে আজ উপোস.........