somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেক্স স্লাভ যুগে যুগে :১

১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েক দিন ধরে নারীর প্রতি অনাচার নিয়ে বাংলার
সমাজতাত্ত্বিকেরা বেশ সরব।এই অনাচার কি এখনই প্রথম,
নাকি এটা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন সভ্যতায় বিরাজমান?চলুন
কিছু তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে জেনে নেই যুগে যুগে নারীর
প্রতি অনাচারের কিছু গল্প।
তত্ত্বকথার তোপ দেগে দিলেই হলো না।
শ্রোতার মনে ছড়িয়ে পড়তে হলে সত্যকে
প্রকাশ করতে হবে সহজ ‘কথা ও কাহিনী’ বা
আখ্যানের মাধ্যমে।চলুন আজ জেনে নেই আমার এই দেশ
তথা গঙ্গা অববাহিকার প্রারম্ভিক এক তেতো
উপয়াখ্যান।
স্থান : গাঙ্গেয় অববাহিকা | উত্তর ও পূর্ব অঞ্চল
সময় : ৩ য় থেকে ৫ম খৃষ্টাব্দ
পুরাকালে বৃহস্পতি নামে এক প্রবল তেজসম্পন্ন
ঋষি ছিলেন। বৃহস্পতির দাদা ছিলেন ঋষি
উতাথ্য ও উতাথ্যের প্রিয়তমা পত্নী মমতা।
একদিন উতাথ্যের অনুপস্থিতিতে মমতাকে
দেখে বৃহস্পতির মনে কামনার জন্ম হয়। মমতা
নিষেধ করলেও বৃহস্পতি নিজের কামনা সংবরণ
করতে ব্যর্থ হন ও মমতাকে ধর্ষণ করেন। কালে
কালে মমতার গর্ভে বৃহস্পতির ঔরসে এক জন্মান্ধ
শিশুপুত্রের জন্ম হয়। তাই তার নাম রাখা হয়
দীর্ঘতামস। দীর্ঘতামস তার পিতা বৃহস্পতির
মতই তেজোসম্পন্ন ও শ্রুতিধর ছিলেন। তিনি
অনেক জ্ঞান অর্জন করেন ও অনেকগুলি
ঋগ্বেদীয় সূত্রের প্রণয়ন করেন।
যুবক দীর্ঘতামসের সঙ্গে এক পরমাসুন্দরী ব্রাহ্মণ
কন্যা প্রদ্বেষীর বিয়ে হয় এবং তাদের অনেক
গুলি পুত্রসন্তান লাভ হয় ‚ তাদের মধ্যে সবচেয়ে
বড় পুত্রটির নাম গৌতম। জন্মান্ধ ঋষি দীর্ঘতামস
নিয়ম প্রণয়ন করেন যে একজন নারী কেবলমাত্র
একজন পুরুষের সঙ্গেই লিপ্ত হবেন। কিন্তু
প্রদ্বেষী এই নিয়ম মানতে রাজি ছিলেন না
‚ তিনি দীর্ঘতামসের ওপর প্রচণ্ড রেগে যান ও
পুত্র গৌতমকে বলেন স্বামীকে গঙ্গায়
ভাসিয়ে দিয়ে আসতে। একটা কাষ্ঠখণ্ডে
বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধ ঋষি নদীর স্রোতে ভেসে
চলেন।
ভাসতে ভাসতে কত না দেশ – গ্রাম শহর –
রাজত্ব পেরিয়ে শেষে বৃদ্ধ দীর্ঘতামসের
ভেলা গিয়ে থামে পূর্বদেশের প্রবল
পরাক্রান্ত রাজা অজেয় বলির রাজত্বের
সীমায়। বেদজ্ঞানী পুণ্যবংশজাত মহর্ষি
দীর্ঘতামসকে উদ্ধার করে সসম্মানে রাজগৃহে
নিয়ে যান মহারাজা বলি। এবং তারপর
নিজের বংশধারায় পূত ও উন্নত রক্তধারার
মিশ্রণ ঘটানোর জন্য বলি রাজা নিজের
রাণী সুদেষ্ণাকে ঋষি দীর্ঘতামসের
অঙ্কশায়িনী হতে আদেশ দেন। সুদেষ্ণার গর্ভে
ও দীর্ঘতামসের ঔরসে ৬ পুত্রের জন্ম হয় – অঙ্গ
‚ বঙ্গ ‚ কলিঙ্গ ‚ পুন্ড ‚সূক্ষ্ম ও ঔড্র ! এই ৬ পুত্র ও
তাহাদের বংশধরদের বাসস্থানগুলো
পরবর্তীকালে তাহাদেরই নামাঙ্কিত
হয়েছিল।
(সূত্র : মহাভারত | আদিপর্ব)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×