
২০০১ সনের পর থেকে পশ্চিমা খ্রিষ্টান পরাশক্তিগুলো একের পর এক মুসলিম-অধ্যুষিত দেশগুলোকে ভর্তা বানিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে আফগানিস্থান, পরে ইরাক, তারপর লিবিয়া তারপর সিরিয়া ধ্বংস করেছে এরা। একটি ‘সবল, সক্ষম ও ঐক্যবদ্ধ’ জাতি হিসেবে আমরা অর্থাৎ মুসলমানরা কী করেছি বা করছি তা খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে আজ।
’৮০ বা ’৯০-এর দশকে বাংলাদেশসহ দারিদ্রপীড়িত মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে মুতামার আলম আল-ইসলামী, রাবেতা আলম আল-ইসলামী আর ওআইসির যে তৎপরতা চোথে পড়ত তা যেন কোন অদৃশ্য কারণে উধাও হয়েগেছে। এদের দাবি ছিল, তারা মুসলমানদের ঐক্য ও উন্নয়নের জন্য নিবেদিত। এরা গায়ে জুব্বা ও মাথায় আরবীয় গামছা পড়ে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াত আর মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যাংক, হাসপাতাল আর ক্লিনিক বানানোর নামে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করত। এখন এরা কোথায়?
মুসলমানদের এ কঠিন মহাদুর্যোগের সময় এদের ভূমিকা কী? রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠানোর বিষয় এরা মুসলিম দেশগুলোকে কেন একত্র করতে পারছে না? সিরিয়াকে পশ্চিমাদের খপ্পর থেকে বাঁচানোর জন্য এরা কেন সচেষ্ট নয়? ইরানকে মার্কিনী ও ইসরাঈলী আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এরা আগাম ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করছে না? কাতারের বিরুদ্ধে মার্কিনী-সৌদি আগ্রাসনের সময় এরা কোথায় ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর একটাই। এ প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি তথা মার্কিনীদের আজ্ঞাবহ ভূত্য। খ্রিস্টান পরাশক্তিগুলো এদেরকে নানা নামে ও পরিচয়ে গড়ে তুলেছিল।
খ্রিস্টান-ইহুদি পরাশক্তিগুলোর ক্রীড়নক এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সখ্যতা ও হৃদ্যতা গড়ে তুলে আমাদের অঞ্চলে যেসব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দল প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে কি আমরা চিনি না? আজ নাটের গুরু সৌদিয়ার পরিচয় স্পষ্ট। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে এর পোষ্যেদের মূলোৎপাটন করা কি সময়ের দাবি নয়?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



