
ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র আঙিনা। একই কারণে এরই মাঝে একে একে ঝরে গেছে চেনা-অচেনা এ মাটির আরও বহু সন্তানের তাজা প্রাণ। শুন্য হয়েছে বহু মায়ের কোল। সর্বশেষ, হেজেমনির শৃঙ্খল ভাঙার স্বপ্ন দেখেছিল বলে নৃশংস দানবের থাবায় ছিন্নভিন্ন হলো শহীদ ওসমান হাদির দেহ। চিরদিনের মতো নিভিয়ে দেওয়া হলো তার প্রাণের স্পন্দন। আজ উগ্রবাদী তকমা দেওয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিক ওসমান হাদিকে।
কিন্তু না! শহীদ আবরার আর হাদিদের রক্তধারা কখনো বৃথা যাবে না। এ রক্ত থেকেই বেরিয়ে আসবে আলোকিত বিজয়ের আশ্চর্য অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। সেই বীজ ফোটাবে অগ্নিকুসুম। জ্বালাবে বিপ্লবের অনন্ত বহ্ণিশিখা- যা পুড়িয়ে ছাই ভস্ম করে দেবে সকল আধিপত্যবাদ আর আগ্রাসনের তখত-তাউস। চুরমার করে দিবে লুণ্ঠনের কালো হাত। ষড়যন্ত্রের বিষাক্ত সর্পিল গলি-ঘুপচি মুছে দিবে ইতিহাসের পাঁজর ভেঙ্গে!
এ প্রজন্মের রক্তে টগবগ করে ফুটছে স্বাধীনতার উষ্ণ প্রস্রবণ। জীবন যাবে তবু এরা মাথা নোয়াবার নয়। কোনো অত্যাচারী অপশক্তির কাছে! প্রলোভনের চকচকে মোড়কে বিষাক্ত গোলামির যতই ফাঁদ পেতে দিক আধিপত্যের ধ্বজাধ্বারী তস্কররা, এদেশের আত্মত্যাগী নরশার্দুল যুবসমাজের হৃদয়ের বজ্রাগ্নি তা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিবে। তারা ছিন্নভিন্ন করবে ষড়যন্ত্রের সকল শৃঙ্খল, ভেঙে ফেলবে মিথ্যার প্রতিটি দুর্গ!
ঝড়ের চেয়ে ভয়ংকর, বজ্রের চেয়ে প্রচণ্ড, অগ্ন্যুৎপাতের চেয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সূর্যের মতো দীপ্তিমান, সিংহের মতো ভীতিহীন শক্তিমান এ প্রজন্মের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আধিপত্যবাদীদের ধারাবাহিক অনাচারের অবসান অবশ্যই ঘটাবে তারা। এদেরকে দমিয়ে রাখার সাধ্য আধিপত্যবাদীদের নেই। দীর্ঘ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে পাকি দুর্বৃত্ত হানাদারদের তাড়িয়ে যেভাবে একদিন কালিমা মুক্ত করা হয়েছিল প্রিয় স্বদেশ, ঠিক একইভাবে আগ্রাসন আর আধিপত্যবাদকেও রুখে দিবে এদেশের দামাল ছেলেরা। সকল ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



