২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ না নিয়ে, চট্টগ্রামকে অরক্ষিত রেখে কক্সবাজারের দিকে পালিয়ে যান জিয়া...
“২৫ মার্চ যুদ্ধ শুরুর পর সঙ্গে থাকা সেনাদের নিয়েই চট্টগ্রাম শহর দখল করে ফেলেন ক্যাপ্টেন রফিক ও তার অধীনে থাকা বাঙালি যোদ্ধারা। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয় তাকে। মেজর (অবঃ) রফিক (বীর উত্তম) এর দাবি, কোন এক কারণে সেসময় আরেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়া সহযোগিতা করেন নি তাকে। তিনি বলেন, তাকে (মেজর জিয়া) যখন আমরা মেসেজ পাঠালাম যে আমরা যুদ্ধ শুরু করেছি, তখন এই মেসেজ পেয়ে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তিনি ফেরত আসেন। এসে শহরের যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ না করে, যেকোন কারণেই হোক, সেটা আমি জানি না, উনি তার এইট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য এবং অন্যদের নিয়ে শহর থেকে বেরিয়ে কর্ণফুলী নদী পেরিয়ে কক্সবাজারের দিকে চলে যান।
এই চলে যাওয়া খানিকটা অসহায় করে দেয় মেজর রফিককে। সেই ঘটনা এখনো পরিষ্কারই মনে করতে পারেন তিনি। মেজর (অবঃ) রফিক বলেন, উনি (মেজর জিয়া) চলে যাওয়ার ফলে আমার কাপ্তাই থেকে যে সৈন্যগুলো আসছিলো; ইপিআর এর, এই সৈন্যরা শহরের কাছাকাছি এসে দেখলো যে, বেশকিছু বাঙালি সৈন্য শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তখন তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলো। সেদলের ক্যাপ্টেন হারুন তখন শহর ছেড়ে যাওয়া অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। হারুন আমাকে পরে জানালেন যে, জিয়াউর রহমান সাহেব এবং অন্যরা তাকে বলেছে শহরে কেউ নেই। এজন্য তারা চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে নদীর অপর পাড়ে চলে যাচ্ছে। তখন হারুনও দলসহ তাদের সঙ্গে চলে যান। ফলে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত সৈন্যদের না পাওয়াতে শহর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।”
ছবি; ফেসবুক
[সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সম্পর্কে তথ্যে ভুল আছে:
মেজর রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তম (ডয়েচে ভেলে)]
[ বি. দ্র. লেখাটি মুক্তিযুদ্ধের এক মহান বীরের লেখা। কারও পছন্দ না-হলে আমাকে গালি দিবেন না। লেখাটি মনপুঃত না-হলে কোনো সম্মানিত ব্লগার অশোভন উক্তিও করবেন না। এব্যাপারে বিনীত অনুরোধ রইলো।]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯