মানহীন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত যুবকের সামনে দুইটি সম্ভাবনা থাকে
হয় সে উত্তম বেকার হবে নয়তো সে উত্তম কেরানী হবে। জিডিপিতে তেমন কোন অবদান রাখতে পারবে না।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কিছু টেকনিক্যাল সাবজেক্ট ছাড়া তেলাপোকার মত অধিক পরিমান মানহীন উচ্চ শিক্ষিত বেকার প্রসব করে যাচ্ছে।নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে অবদান বড্ড কিঞ্চিত।
আমাদের স্কুলগুলোর শিক্ষাদান পদ্ধতির আশু সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো কখন যে জ্ঞানের আলো বিতরন কেন্দ্র থেকে মামুলী পরীক্ষা কেন্দ্রে রুপান্তরিত হয়েছে বুঝতেই পারিনি আমরা। স্কুলগুলো চৌর্যবৃত্তি গ্রহন করেছে। আমাদের সন্তানদের শিশুকাল, বাল্যকাল, কৈশোর, তারুন্যের আনন্দগুলো, পড়ন্ত বিকালগুলো, আগুনঝরা সন্ধ্যা গুলো, তারা ভরা রাত গুলো সব চুরি করছে পরিক্ষায় বেশী নম্বরের প্রলোভনের বিনিময়ে বেশী বেশী পড়া চাপিয়ে দিয়ে।
ক্লাসের পড়া বুঝতে কোচিং করতে হচ্ছে, কোচিংয়ের পড়া বুঝতে প্রাইভেট টিউটরের দ্বারস্ত হতে হচ্ছে। ফলাফল ঘুম ভাঙ্গা সকাল থেকে রাত্রি দ্বিপ্রহর শেষ।
বিকেল হারা, সন্ধ্যা হারা, তারা ভরা রাত্রি হারা এক একটা শিশু। তাতে জ্ঞানের চর্চার চেয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিই মুল উদ্দ্যেশ্য হিসাবে আবিভুত হচ্ছে। অধিকাংশ অভিভাবক তার সন্তানকে সর্বোচ্চ নম্বরধারী দেখতে চাচ্ছে নিজে পাইনি বলে। সর্বোচ্চ নম্বরের চাহিদা সর্বোচ্চ নম্বরের একটা বাজার তৈরী করছে। যোগান নিশ্চিত করতে বেশ কিছু শিক্ষক নীতি নৈতিকতার উদ্ধে উঠে গেছেন।
ভয়ের বিজ্ঞাপন(আপনার ছেলের ভবিষ্যৎ শেষ) চাহিদাকে কেবল উর্দ্ধমুখীই করছে সাথে সাথে মার্কেটটা সর্বগ্রাসী হয়ে উঠছে ।
সর্বোচ্চ নম্বরের আকাংখার চক্রটা ভাঙ্গা দরকার একটি ইনোভেটিভ প্রজম্মের জন্য। কারন এ চক্রটা ইনোভেটিভ প্রজম্মের অন্তরায়। কেননা এ চক্রটা ভাবতে শেখায় না, উপভোগ করতে শেখায় না শুধু অনুসরণ আর অনুকরণ করতে শেখায়, মুখস্ত করতে শেখায় বা বাধ্য করে।
এই ছেলে মেয়েগুলোই শিক্ষাজীবনের শেষ ধাপে মানহীন উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে বাধ্য হয়ে নিজে বেকার বা কেরানী হতে বাধ্য হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪