somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আড়াই টাকা সের পেঁয়াজের সলুক সন্ধান “সস্তার তিন অবস্থা”

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

”আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” এই কোরাসে আমার গা টা জ্বলে যায়। ১৯৬২ সালের একটা পত্রিকার কাটিং ভাইরাল হয়েছে যেখানে লেখা পেঁয়াজের সের আড়াই টাকা। তাতে অনেকেই বলেছে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!!!!

১৯৬২ সালের বেতন কাঠামো পাই নাই তবে দশ বছর পরের অর্থাৎ ১৯৭২ সালের সরকারী বেতন কাঠামো পেয়েছি তাতে গ্রেড ৯ তথা প্রথম শ্রেণী তথা এ আমলের বিসিএস ক্যাডারদের মুল বেতন শুরু হত ১৪৫ টাকায়। আর সোনার ভরি ১৫০ টাকা।

তর্কের খাতিরে ১৯৬২ সালে প্রথম শ্রেণীর বেতন ১৪৫ টাকা ধরলে এক মাসের বেতনে কেনা যেত ৫৮ সের পেঁয়াজ তথা ৫৪.১১৯৮ কেজি পেঁয়াজ!!!আর এক ভরি সোনা দিয়ে কেনা যেত ৫৫.৯৮৬ কেজি পেঁয়াজ!!! সারা মাসের বেতনে মাত্র ৫৪ কেজি পেঁয়াজ??????????

আগের আমলে পন্যের দামের পরিমানে আপ্লুত হওয়ার আগে অবশ্যই PVM(Present value of Money) বিবেচনায় আনতে হবে অন্যথায় শায়েস্তা খানের আমলকে সস্তার আমল বলে নিশ্চিত ভুল করবেন। সত্য হল শায়েস্তা খানের আমল কোন বিবেচনাতেই সস্তার আমল ছিল না।

গোল্ড কে বেজ ধরে ঐকিক নিয়মে দেখি এ আমলের টাকার দামে সে আমলে এক কেজি পেঁয়াজের দাম কত ছিল?
১ ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৫৬৮৬২ টাকা।
৫৫.৯৮৬ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যেত ৫৬,৮৬২ টাকায়
১ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যেত ৫৬,৮৬২/৫৫.৯৮৬ টাকা=১০১৫.৬৫ টাকা!!!!!!!
আপনার সস্তার আমলে এক কেজি পেঁয়াজের বর্তমান টাকার মূল্যে দাম ১০১৫.৬৫ টাকা???????? নবাবের বাড়িতেই শুধু পেঁয়াজ খাওয়া হত মনে হয়।

শায়েস্তা খানের আমলকে সস্তার আমল বলে সার্টিফেকেট দেওয়ার আগে অবশ্যই জানতে হবে যে শায়েস্তা খানের আমলে ২৬ বছর বয়স্ক একজন ব্যক্তি নিজেকে আড়াই টাকায় দাসের হাটে বিক্রি করার দলিল আছে। একজন ১৯ বছর বয়সী তম্বি তরুনী বিক্রি হত দুই টাকায়। তার মানে একটা যুবকের সারা জীবনের শ্রমের দাম মাত্র আড়াই টাকা!!! ১৯ বছর বয়স্ক তরুনীর সারা জীবনের কামের দাম দুই টাকা।
যেখানে একজন ব্যক্তির সারা জীবনের শ্রমের দাম আড়াই টাকা, এক জন তরুনীর সারা জীবনের কামের দাম ২ টাকা সেখানে ১ টাকায় ৮ মন চাল র্দূমূল্যই বটে।

সত্য হল আগে কখনই আমরা সুন্দর দিন কাটাইতাম না। ৭০-৯০ বছর বয়স্ক মুরুব্বিদের জিঙ্গেস করে দেখতে পারেন তারা যুবক বয়সে কয়দিন ভাত খেয়েছে।
গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছের গল্প যে লিখেছেন শুধু তার সম্প্রদায়েরই পুকুর ভরা মাছ আর গোলা ভরা ধান ছিল। আমাদের অধিকাংশের বাপ দাদারা ঐ গোলা ভর্তি করে বিনিময়ে পেট চুক্তিতে কয়টা কাওনের চালের ভাত বা ছাতু খেতে পাইত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×