দেশে ২১-২২ লাখ লোক আয়কর দেয় কারন তারা অধিকাংশই চাকুরীজীবি এবং তাদের আয়ের পরিমানটা ডকুমেন্টেট। আয়ের তথ্য ডকুমেন্টেড না হলে আয়কর দেওয়ার জন্য লাখ খানিক লোক পাওয়া যেত কিনা আমার সন্দেহ আছে। বিস্ময়কর ঘটনা ১৬-১৭ কোটি মানুষের মধ্যম আয়ের একটা দেশে মাত্র ২১-২২ লাখ লোকের বাৎসরিক আয় আড়াই লাখ টাকার বেশী? অবিশ্বাস্য- মাননীয় স্পিকার আমি চুদনা হয়ে গেলাম।
আয়কর দেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়াতে মটিভেশনে কোন কাজ হবে না আমার দেশে। আয়কর প্রদান করে দেশপ্রেমের প্রমান দেওয়ার চেয়ে আমরা গলাবাজি করে দেশপ্রেমের প্রমান দিতে বেশী আগ্রহী।
তাই আয়কর পেতে হলে প্রতিটি নাগরিকের আয়কে ডকুমেন্টেড করতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের আয়কে ডকুমেন্টেট করতে হলে সর্বপ্রথম চোখ কান বন্ধ করে সকল কাগজের টাকা তুলে দিতে হবে। কেন্দ্রিয় ব্যাংককে টাকা ছাপানো বন্ধ করে ডিজিটাল কারেন্সিতে যেতে হবে।
কাজের পারিশ্রমিক বাবদ, পন্যে ও সেবার মুল্যবাবদ কাগজের টাকার পরিবর্তে সংখ্যা একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার হবে।
মাছের দামটা, রিকসার ভাড়াটা, মোবাইলের ব্যালেন্সটা, প্রস্টিটিউটের পেমেন্টটা, রাজউকের কর্মকর্তার ঘুষটা, ফকিরের ভিক্ষাটা সহ সব কিছুর মুল্য পরিশোধ হয়ে যাবে কোমল হাতের স্পর্শে একাউন্ট টু একাউন্ট।
চায়ের দোকানদার আজ কয় কাপ চা বিক্রি করে কয় টাকা আয় করেছে, একজন শিক্ষক কয়জন ছাত্রকে প্রাইভেট পড়িয়ে কয় টাকা আয় করেছে, একজন যৌনকর্মী কতজন খদ্দেরকে সন্তুষ্ট করে আজ কতটাকা আয় করেছে এমন সবকিছু ডকুমেন্টেট হবে স্বয়ক্রিয়ভাবে। সবার আয় ডকুমেন্টেট হবে। ইন্টিলিজেন্ট সফটওয়্যার ডাটা এ্যানালাইসিস করে আয় চিহিৃত করে উৎসেই আয়কর কর্তন করবে।
যে যবর যা, যে জাতের যা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১