সন্ধ্যার পর স্ত্রী ও যুবতী শ্যালিকার মাঝখানে বসে জনৈক ভদ্রলোক চানাচুর মুড়ি চাবাইতে চাবাইতে টেলিভিশনে টম এন্ড জেরি দেখছিল। বলাবাহুল্য যে তার স্ত্রীর নাম হাঁসি আর শ্যালিকার নাম খুশি। দাঁতের নীচে কাঁচামরিচ পড়তে স্ত্রী পানি আনতে রান্নাঘরে যেতেই লোডশেডিং। ভদ্রলোক শ্যালিকার গালে একটি চুম্বনে এঁকে দিতে চেস্টা করতে শ্যালিকা বলে উঠল দুলাভাই আমি “খুশি”। দুলাভাই শ্যালিকার গালে চুম্বন এঁকে দিয়ে সন্তুষ্ট চিত্তে বলিল আমিও খুব “খুশি“। এ গল্পটা আপনারা অনেকেই জানেন। এইখানে শ্যালিকার উচ্চারিত আমি “খুশি” হইলো Noun আর দুলাভাইয়ের উচ্চারিত “খুশি” হইলো Adjective.
আফগানিস্থান থেকে আমেরিকার প্রস্থানে শতভাগ শিয়া ইরান, প্রবল প্রতিদ্বন্দি চীন আর চির শত্রু রাশিয়া খুশি, তবে আমি বুঝিতে পারিতেছি না তাদের এই খুশি Noun নাকি Adjective!
আমেরিকার প্রস্থানে খুশি হওয়া গেলেও বারোশত কিলোমিটারের সীমান্তের ওপারে নিজেদের কাফের মনে করা কট্টর সুন্নি তালে/বান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইরানের খুশিটা অবশ্যই Adjective না বরং Noun.
আফগানস্থানের সীমান্তে ওপারে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পূর্ণশিক্ষা প্রদান কালে রোজাদার সুন্নি উইঘুর মুসলমানদের জোর করে শুকুরের গোশত খাওয়ানো চীনের খুশিটা অবশ্যই Adjective না বরং Noun.
রাশিয়ার অবস্থাটা সাদা চামড়ার নিঃসন্তান দম্পতির কুড়ি বছর অপেক্ষার অবসান শেষে একটা নিগ্রো বাচ্চা হওয়ার মত, কোলে নেবে কি নেবে না ঠিক বুঝতে পারছে না কারন রপ্তানী পণ্য হিসাবে রাশিয়ার আছে এস-৪০০, তালে/বানদের আছে র্যাডিক্যাল ইসলাম। তাই আমেরিকার প্রস্থানে রাশিয়ার খুশিটা অবশ্যই Adjective না বরং Noun.
আমরা হয়ত ইতিহাসের এক অবিশ্বরনীয় মূর্হুত অতিক্রম করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৭