somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গৃহকর্মে অনিপুন স্বামীই ভাল হওয়ার কথা।

২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গৃহকর্মে সুনিপুন স্বামী একজন নারীর জন্য ভাল নাকি খারাপ?
কার চোখ দিয়ে দেখা হচ্ছে সেইটা গুরত্বপূর্ণ। তবে গোশত আরেকটু কসানো লাগবে কিনা বা দেড় কেজি গোশতে তিন চামচ মরিচের গুড়া দেবে কি না তার এপ্রুভাল স্বামীর কাছ জানতে চাওয়া একটা ডিজাস্টার। ওই নারী ইতোমধ্যে অনেককিছুই হারিয়ে বসে আছে।
পুরুষ মানুষের হৃদপিন্ড থাকে তার পাকস্থলীতে। এই দূর্বলতাকে খুব শৈল্পিক অস্ত্র হিসেবে এবং বারগেনিং টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হতে আমি দেখেছি।



সাংসারিক মতপার্থক্যের কারনে(ঝগড়া) কখনো কখনো স্ত্রী লোক রান্নাঘর ধর্মঘট করে থাকেন। এইটা একটা খুবই কার্যকর বার্গেনিং টুলস। রান্না জানা স্বামী সমস্যা সমাধানে আলোচনায় না গিয়ে ওভার ট্রাম করবে, ডাইরেক্ট ভাত, গরু ভুনা আর ডাল রান্না করে খেতে ডাকবে।

আপাত এমন স্বামীকে নিরীহ এবং অনেক ভাল স্বামী বলে মনে হতে পারে কিন্তু এমন স্বামী জাউরার জাউরা। হয়ত শাড়ী চুড়ি অলংকার বা কোন বস্তুগত চাওয়া নিয়ে আলোচনার অচলাবস্থার সময় অস্ত্র হিসেবে রান্না ঘরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে স্ত্রীর রান্নাঘর ধর্মঘট যদি দ্বিতীয় প্রজন্মের মিসাইল হয় তবে সাংসারিক কর্মে সুনিপুন স্বামীর রান্না করে ফেলাটা এস-৪০০।
বুয়ার রান্না খেতে পারে না, মশারী টাঙ্গাতে পারে না, গ্লাসে পানিটাও ভরে খেতে পারে না বলে স্ত্রীলোকটি বাপের বাড়ি গিয়ে কয়টা দিন থাকতে পারে না। এ আক্ষেপ আমি কিছু নারীর কাছ থেকে জেনেছি।

আপত মনে হতে পারে যে এ না পারা গুলো খুব খারাপ। কিন্তু গভীর অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে দেখলে উপসংহার বদলে যাবে।
ধরি স্ত্রী লোকটি ১৫ দিন বাপের বাড়ি, গৃহকর্মে সুনিপুন স্বামী ঘর-দোর ধুয়ে মুছে গুছিয়ে রাখছে, ভালমন্দ রান্না করে খাচ্ছে, ফিল্টারে পানি দিচ্ছে, সেই পানি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা নরমাল পানির সাথে মিশিয়ে পান করছে। নিয়ম করে ওষুধগুলো সেবন করছে। টিফিন ক্যারিয়ারে দুপুরের খাবার নিয়ে অফিসে যাচ্ছে। রাতের খাবারে মিল্কভিটার টুনি প্যাক। কেনো, কাটো, গরম করো, ঢকঢক করে পান করে খালি প্যাকেটটা বিনে চালান করে দেয়;

তার মানে স্বামী লোকটি কোন লজিস্টিক সার্পোটের জন্যই স্ত্রীর মুখাপেক্ষী না। আল্লাহর কসম, এমন স্বামী জাওরার জাওয়ার। হুমকি, ধামকি, ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইল, নানা জাতের ধমঘট , কান্নাকাটি কোন কিছুইতেই আপনি আপনার ইচ্ছায় তাকে চালাতে পারবেন না। প্রমানিত সবগুলো মায়ার বাঁধন তার ক্ষেত্রে অকার্যকর। তাকে বাঁধতে বৃত্তের বাহির থেকে মায়ার দড়ি খুজে আনতে হবে যা সহজ নয়। আপনার প্রতিটি কাজের সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত হন। তিনি হয়ত আরো দ্রুত আরো নিখুঁত ভাবে গৃহকর্ম করে প্রমান করে দেবেন গৃহকর্মে আপনার কাজের মান মধ্যম মানের চেয়ে নিচে।

তাই যে মা গুলো গৃহকর্মে অজ্ঞ, অর্থব পুত্র সন্তান বড় করে তুলতেছে তারা আখেরে অনাগত পুত্রবধুর জন্য একটা অনুগত স্বামী তৈরী করছেন খুব যতনে। যে স্বামী সাংসারিক প্রতিটি চাহিদার জন্য স্ত্রীর কাছে নির্ভরশীল. অধিকাংশ সময় সে স্বামী স্ত্রীর জন্য আর্শিবাদ। মায়ার বাঁধনে বেঁধে নিজের প্রয়োজনে পরিচালনা করার জন্য সহজলোভ্য ও প্রমানিত প্রতিটা টুলস তার ক্ষেত্রে কার্যকর।
তাই আমার মনেহয় গৃহকর্মে অনিপুন স্বামীই স্ত্রী লোকের জন্য উপকারী। কেবল শৈল্পিকভাবে পলাশসাহা হওয়া ঠেকালেই হবে। অবশ্য পলাশ সাহা সবাই হতে পারে না, অধিকাংশ সময় পলাশ সাহারা মায়ের শাসন থেকে স্ত্রীর শাসন তলে শীতল আশ্রয় খুঁজে নেয়। তারা স্ত্রী লোকের শাসনে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে, সেটা মা হোক বা স্ত্রী।

তাই গৃহকর্মে অনিপুন এবং একান্ত ঠেকায় পড়লে গৃহকর্ম করে এমন স্বামীই স্ত্রীর জন্য আমার চোখ দিয়ে দেখে আমার মনে হয়েছে। কোন মহিলার চোখ দিয়ে দেখলে তিনি ভিন্ন দৃশ্যকল্প অবলোকন করবেন। সেটাই স্বাভাবিক।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×