প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের প্রায় সমস্ত বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান জামাতের। তারা এসকল প্রতিষ্ঠান নিজের পকেটের টাকায় করেনি, করেছে প্রবাসীদের টাকায় এবং একটা সময় পরে তারা নিজেরা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে গেছে। যেমন- একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর করতে মনে করো ১,০০,০০০ টাকা লাগে। তারা প্রথমে এই টাকার বিপরীতে কমপক্ষে ৫০ জন প্রবাসীর সাথে যোগাযোগ করবে ও তাদের বোঝাবে এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ২,০০,০০০ টাকা লাগবে। তাদের কাছে ওরা বিভিন্ন অংকের বিক্রি করে পুরো ২০লক্ষ টাকা আদায় করবে। ১০লক্ষ টাকা দিয়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চালু করে প্রবাসীদের পুরো ২০লক্ষ টাকার হিসাব দেখাবে। যেটা এদেশে কোন ব্যাপারই না।
এখন মনে করি একজন প্রবাসী ১লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বাস্তবে তার টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ৫০হাজার। যেকারণে উনার যে লাভ আসার কথা তা আসেনা। উনি তখন উনার বিনিয়োগকৃত ফেরত চান। উনার টাকা বিভিন্ন ভাবে (কখনো মাসিক কিস্তি, কখনোবা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে) ফেরত দেয়া হ্য়।
এভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি জামাতীদের হয়ে যায়। প্রবাসীরাও তাদের টাকা পেয়ে খূশী হয় এবং পরবর্তীতে অন্য ব্যাবসায় নতুন করে বিনিয়োগও করে।