তোমায় কখনো ভালোবাসি নি, ইচ্ছেও নেই
পূজো করে যাচ্ছি সেই শুরু থেকেই।
আমার কশেরুকা সাক্ষী,
রৌদ্রঝড়ে কতকাল ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছি
ভেতরটা দেখেছি,
ভেতরে একটা মন্দির সাজিয়েছি ।
পুরোহিতকে ছুটি দিয়েছি চিরতরে,
তোমার একলা পূজো করবো ভেবে ...
দেয়ালঘড়ির দুটো স্থির কাটাকে সাক্ষী রেখে বলছি-
তখন থেকে এখন অবধি,
আমি তোমারই পূজারী ।
নিরপরাধ অসহায় বাতাসের তোড়ে
যখন তোমার গায়ে লেগে থাকা ওড়না উড়তে থাকে,
আমি সেখানে স্বাধীন পতাকা খুঁজে পাই ।
আজন্ম পরাধীন আমি,
তবু স্বাধীনতা চাই না ।
শুধু চাই তোমার ওড়নার স্বাধীনতা
সেখানে কারো আঙ্গুলের শাসন চলবে না,
আমি মানবো না ।
ধানমন্ডি লেকের শত শত অভিজাত ঠোঁটের ভিড়ে
অথবা সংসদ ভবনের সামনে কড়া লিপস্টিকে,
আমি তোমায় আসন করে নিয়েছি ।
পথে কিংবা ফুটপাতে, দাঁড়িয়ে থাকা ট্র্যাফিক জ্যামে
চুপচাপ তোমার পূজো করে যাচ্ছি, প্রিয়তা ।
কোন নির্দিষ্ট রক্ত-মাংস তোমায় সীমিত করতে পারেনি,
তোমার সীমারেখা মাপতে গিয়ে ক্যালকুলাস বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে
তুমি "জিরো টু ইনফিনিটি"র ঊর্ধ্বে নির্বাক বিশালতা ।
যুগ থেকে যুগে কত সহস্র রমণীর মাঝে
তুমি আংশিকভাবে আসন করে নিয়েছ,
আর তোমার পূর্ণতা পায় কেবল মন্দিরে।
আমার ভেতরে যে মন্দির ঘুমিয়ে আছে, সেখানে
এই পুরোহিতবিহীন মন্দিরে ।
ব্লাড ক্যান্সারে রক্তের সাথে শ্বেত কণিকার যে বেঈমানি,
আমি তার চেয়েও বেশী বেঈমান হবো
বেঈমানি করবো সকল স্থায়ী-অস্থায়ী প্রেমিকের সাথে
আমার বেঈমানি হবে তথাকথিত ভালোবাসার সাথে
যেখানে একটা স্বার্থ হিসেবে প্রেমিকার অস্তিত্ব কামনার সঙ্গী হয়
আজ আমিই ভালোবাসার পার্থক্য সৃষ্টিকারী,
ভালোবাসাকে পূজোর আসনে নিয়ে গেছি ।
প্রিয়তা,
তোমাকে পেতে চাই না
শুধু পূজো করে যেতে চাই
দূর থেকে, চুপচাপ নীরবে
তুমি প্রেমের ঊর্ধ্বে
তুমি চুমুর ঊর্ধ্বে
তুমি স্বার্থের ঊর্ধ্বে !!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




