৩০৩ নম্বর রুমের প্রথম সারির শেষের আসনে ঝিম মেরে কতক্ষণ বসে ছিলাম খেয়াল নেই। প্রশ্নগুলো পড়তে তো সোজাই লাগে! খাতা খুলে লেখা শুরু করি। সাথে কতো আবজাব ভাবনা! পরীক্ষার আগের দিনগুলো খারাপই যায় কেন জানি। দুটো লাইন লিখে কল্পনায় ডুবে যাই।
"বলি, ভিলা স্যাভয়টির শুভ্র সাদা মাড়িয়ে চলে যেতে দেখেছো কি কোনো কুমড়োপটাশকে?"
ওহো!!! কে কুমড়ো??? ঘুম কি হয়েছিলো রাতে? মনে আছে সারা বিছানায় কাগজে একাকার করে রেখে এসেছি। হয়তো এক কোণায় ঘাড় গুঁজে ঘুমিয়েও পড়েছিলাম। সব কেমন এলোমেলোই ছিল সারা রাত! পরীক্ষা কোন আক্কেলে দিতে এসেছি?
ঘন্টা পেরোয়...
বার্সেলোনা সুন্দরীর চৌকো দেহ আঁকতে গিয়ে দেখি...ভুলে গেছি!!! "ওয়ে, প্যায়সা নিকালো মেরে পেয়ারি লাল!" মনে পড়ে দিল্লীর ট্রেনে হিজড়াদের তালি। ১০ রুপি পেতেই খুশি! "কিসিকো নাজার না লাগে মেরে লালকো।" ...ভাবছি ওর মেকআপটা আরেকটু হলেই হয়তো মিলে যেতো!!!
ধ্যাত!!!
Usonian মনে আছে, কিন্তু Werkbund-এর কি হবে? আবারো মাধুরীকে নাচাই উত্তরের পাতায়! কী অশৈল্পিক!!!
"বেটি তুই শিল্পের কি বুঝিস রে???"
ওহ্। আসলেই তো বুঝি না। কিন্তু করতে তো হবে কিছু। ১টা বাজার অপেক্ষায়। আর লিখবো না। কুমড়োপটাশটা চলে গেছে মাথা থেকে। এখন শক্তি নেই...না মনের, না শরীরের।
জ্বর গায়ে পরীক্ষাটা না দিলেও হতো।
(মনে পড়লো... এক সেকশেনর খাতায় অন্য সেকশন লিখে দিয়ে আসিনি তো!!!)