দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে অর্থনীতির সনাতনী হিসাব নিকাশ। আলাদা পেস্কলে ঘোষিত হয়েছে যদিও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন শোনা যায় (যদিও শোনা কথায় বিশ্বাস করতে নেই) জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা হবে। পেস্কেল বাস্তবায়নের পর জীবন যাত্রার মান আরো খারাপ হবে। অবাক হচ্ছেন ? তাহলে হিসাব করা যাক। দরুণ কোন বাস্তবায়তি পে-স্কেল ঐ বছর আপনার প্রারম্ভিক বেতন ছিল =১০০/-টাকা (সহজ শতকরা হিসাবের জন্য) । সা¤প্রতিক বছরগুলোর গড় মুদ্রাস্ফিতির হার প্রায় ১০.৫%। র্অথাৎ ১০০/-টাকায় যে জীবনযাত্রা পরিচালিত হয়েছিল পরের বছর সেই মানের জীবনযাপনের জন্য আপনার লাগবে ১১০.৫/-টাকা। এভাবে ৫ বছরে তা দাঁড়ায় প্রায় ১৬৪.৭৫/-টাকায়। সেই হিসাবে আপনার বর্তমানের ১০০/-টাকা সমান হবে পে-স্কেল বাস্তবায়ন বছরের ৬০.৭০/-টাকার সমান । এভাবে একটি পেস্কেল হতে আরেক পেস্কেল বাস্তবায়নের সময় পর্যন্ত প্রতি বছর আপনার জীবনযাত্রার মান (আসলে বেতন) কমেছে এবং কমবে। এই সময়টা যদি ৭ বছর হয় (শোনা যায় জুলাই ২০১৫ তে ঘোষণা, ফিক্সেশন পেতে পেতে ২০১৬) এবং নতুন পেস্কেলে আপনার গ্রেডে বেতন বৃদ্ধির হার ৯৫% এর কম হয় তবে তো আরো দরিদ্রতর জীবনযাপন করতে হব।
আর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট(আমি বলি ডিসক্রিমেন্ট) এর ক্ষেত্রে দেশে বার্ষিক মূদ্রাস্ফিতির হার যেখানে ১০.৫% থেকেও বেশী সেখানে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার গ্রেডবেদে মূল বেতন এর ৩%-৪% এর মধ্যে। অর্থাৎ সফলভাবে চাকুরীর বছরর্পূতিতে বেতন ডিসক্রিমেন্ট ৭%। সত্যিই সেলুকাস !!
পদোন্নতিতে তো আরো ভয়াবহ অবস্থা। বেশ কিছু পদ জন্মান্ধ র্অথাৎ প্রমোশন নাই, আমরা সাধারণত সেগুলোকে ব্লকপোষ্ট বলি।আর যেসব পদে সরাসরি সর্ম্পূণ আনকোরা ফ্রেস শিক্ষানবীশ জনবল নিয়ােগের সুযোগ আছে কোন এক বিচিত্র কারণে একই শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতাসম্পন্ন অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ জনবলকে সেই সব পদে পদোন্নতি হতে বঞ্চিত করা হয়। র্দীঘসময় পরে যদিও পদোন্নতি হয় ততদিনে তাঁর নিন্মতর স্কেলের মূলবেতন পদোন্নতি প্রাপ্ত স্কেল অতিক্রম করেছে।তারমানে এই পদোন্নতিতে মান বাড়লেও খুব একটা র্আথিক সুবধিা অর্জিত হয় না। এইভাবে পেস্কেলের সামঞ্চস্যহীনতায়, যোগ্য হওয়ার পরও বছ ের পর বছর ঝুলে থাকা পদোন্নতির অপেক্ষায় গরীবের শরবতে শুরুতে চিনি থাকলেও একসময় চিনির বদলে নুন জায়গা করে নেয়।