somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাকে বাচিয়ে তুলুন, আমরা হার মানবো না.............

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাফে সাদনান আদেল, আমাদের প্রিয় বন্ধু, সহকর্মী, ছোটভাই। নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, মায়ের জন্য। ঘাতক ক্যান্সারের সাথে লড়তে লড়তে প্রায় সব হারানো বন্ধুটির শেষ আশ্রয় হয়ে আছে মায়ের এখনো বেচে থাকা, নিশ্বাস নেয়া। কিন্তু সেটা্ও হারিয়ে যেতে বসেছে। মাকে বিদেশ নিতে হবে। দরকার ১৫লাখ টাকা। আদেল এমন একজন সংবাদকর্মী, যাকে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে দেখিনি। আজ ক্যান্সারের সাথেও সে আপোষ করতে রাজী নয়। আসুন তার পাশে দাড়াই। মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলি। মা, আপনি বেচে থাকবেন এই দেশের লাখো সন্তানের চেষ্টায়.............

সর্বশেষ ব্লগ লিখেছিলাম ১৯ জুন, ২০১২। তারপর আর লিখিনি। কোন কারণ নেই। কিন্তু, এতটা অসহায় যে আজ আবার বন্ধুদের দ্বারস্থ না হয়ে পারলাম না। বন্ধুরা, আপনারাই পারেন আমার, আমাদের এই অসহায়ত্ব দুর করতে। আসুন, সামহোয়্যারের উদ্দোগে আমরা এক মায়ের জীবন বাচিয়ে তুলি, একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলি।

পুরো বিষয়টা এখানে পাবেন...............

ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় এক সংবাদকর্মী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রায় দেড় বছর আগে মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত ৯টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে, প্রথম ৬টির দেওয়ার পর কিছুদিন ভালো ছিলেন। তারপর আবার তা ছড়ানো শুরু করে। এতো খরচ সামলাতে পারছি না, কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তাই...।

নিজ মুখে আর বেশি কিছু বলতে পারেন না আদেল। বলেন, সবার সহযোগিতায় দেখতে চাই মা আবার হাটছে, হাসছে, সবার সঙ্গে কথা বলছে. .। মাকে যে অনেক বেশি ভালবাসি।.

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের প্রথম দিকের কর্মী ও বর্তমানে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদকর্মী রাফে সাদনান আদেলের লজ্জিত কণ্ঠস্বর ফোনে, যেখানে মাকে বাঁচানোর আকুতি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মায়ের জন্য সন্তানের এ আকুতি চিরকালীন...

আদেলের মা মনোয়ারা বেগম। ৪৭ বছর বয়স। গড় আয়ু হিসেবেও পৃথিবী ছাড়ার সময় এখনো মায়ের হয়নি। জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ার পর মহাখালীর ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে ৬টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এতে ৫ মাস ভালোও থাকেন তিনি।

তারপর আবারো মা’র রক্ত কনিকায় ক্যান্সার ছড়াতে থাকে। এবার আগের চেয়েও ১০০ গুণ বেশি মাত্রায়। একটি বেসরকারি হাসাপাতালে আরো তিনটি কেমো দেওয়া হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

কেমো থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মায়ের লিভার বড় হয়ে যাচ্ছে, পেটে পানি এসে গেছে, ডায়বেটিসও দেখা দিয়েছে। এদিকে ক্যান্সার মার্কার এখন সাড়ে ৬ হাজারের ওপরে। এটুকু বলেই যেনো আবার ভারী হয়ে আসে প্রিয় সহকর্মী আদেলের কণ্ঠ। সে জানায়, ডাক্তার বলেছে মা’কে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।

পরীক্ষা, কোমোথেরাপি, ওষুধ, হাসপাতাল, আবার পরীক্ষা, আবার কোমোথেরাপি, ওষুধ এ চক্রেই চলে আদেলের পরিবারের খরচ। দেড় বছরের এ চক্র পরিবারটিকে এখন নিঃশ্বেস করে ফেলেছে। আর পারছেন না পরিবারের বড় ছেলে আদেল। তাই বলে মাকে কি যেতে দেয়া যায়?

আদেল তার বন্ধু, শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে বলেছেন, “মার ক্যান্সার থামছে না। উন্নত চিকিৎসায় যেতে হবে দেশের বাইরে, চাই অন্তত প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর আমি নিঃস্ব প্রায়। গত দেড় বছর ধরে অনেক চেষ্টাইতো করলাম.. .পারলাম না.. .হবে না এভাবে. .. তাই হাত পেতে দিলাম.. ..এই আমার শেষ চেষ্টা’

আদেলের চেষ্টায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করুন: রাফে আদনান আদেল, হিসাব নং: ১০৮১০১৩৯২৭১, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শান্তিনগর শাখা, ঢাকা। মোবাইল ফোন নং: ০১৭৫৩০৯১২৪৯।


Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×