রাফে সাদনান আদেল, আমাদের প্রিয় বন্ধু, সহকর্মী, ছোটভাই। নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, মায়ের জন্য। ঘাতক ক্যান্সারের সাথে লড়তে লড়তে প্রায় সব হারানো বন্ধুটির শেষ আশ্রয় হয়ে আছে মায়ের এখনো বেচে থাকা, নিশ্বাস নেয়া। কিন্তু সেটা্ও হারিয়ে যেতে বসেছে। মাকে বিদেশ নিতে হবে। দরকার ১৫লাখ টাকা। আদেল এমন একজন সংবাদকর্মী, যাকে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে দেখিনি। আজ ক্যান্সারের সাথেও সে আপোষ করতে রাজী নয়। আসুন তার পাশে দাড়াই। মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলি। মা, আপনি বেচে থাকবেন এই দেশের লাখো সন্তানের চেষ্টায়.............
সর্বশেষ ব্লগ লিখেছিলাম ১৯ জুন, ২০১২। তারপর আর লিখিনি। কোন কারণ নেই। কিন্তু, এতটা অসহায় যে আজ আবার বন্ধুদের দ্বারস্থ না হয়ে পারলাম না। বন্ধুরা, আপনারাই পারেন আমার, আমাদের এই অসহায়ত্ব দুর করতে। আসুন, সামহোয়্যারের উদ্দোগে আমরা এক মায়ের জীবন বাচিয়ে তুলি, একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলি।
পুরো বিষয়টা এখানে পাবেন...............
ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় এক সংবাদকর্মী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: প্রায় দেড় বছর আগে মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত ৯টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে, প্রথম ৬টির দেওয়ার পর কিছুদিন ভালো ছিলেন। তারপর আবার তা ছড়ানো শুরু করে। এতো খরচ সামলাতে পারছি না, কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তাই...।
নিজ মুখে আর বেশি কিছু বলতে পারেন না আদেল। বলেন, সবার সহযোগিতায় দেখতে চাই মা আবার হাটছে, হাসছে, সবার সঙ্গে কথা বলছে. .। মাকে যে অনেক বেশি ভালবাসি।.
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের প্রথম দিকের কর্মী ও বর্তমানে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদকর্মী রাফে সাদনান আদেলের লজ্জিত কণ্ঠস্বর ফোনে, যেখানে মাকে বাঁচানোর আকুতি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মায়ের জন্য সন্তানের এ আকুতি চিরকালীন...
আদেলের মা মনোয়ারা বেগম। ৪৭ বছর বয়স। গড় আয়ু হিসেবেও পৃথিবী ছাড়ার সময় এখনো মায়ের হয়নি। জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ার পর মহাখালীর ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে ৬টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এতে ৫ মাস ভালোও থাকেন তিনি।
তারপর আবারো মা’র রক্ত কনিকায় ক্যান্সার ছড়াতে থাকে। এবার আগের চেয়েও ১০০ গুণ বেশি মাত্রায়। একটি বেসরকারি হাসাপাতালে আরো তিনটি কেমো দেওয়া হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
কেমো থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মায়ের লিভার বড় হয়ে যাচ্ছে, পেটে পানি এসে গেছে, ডায়বেটিসও দেখা দিয়েছে। এদিকে ক্যান্সার মার্কার এখন সাড়ে ৬ হাজারের ওপরে। এটুকু বলেই যেনো আবার ভারী হয়ে আসে প্রিয় সহকর্মী আদেলের কণ্ঠ। সে জানায়, ডাক্তার বলেছে মা’কে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
পরীক্ষা, কোমোথেরাপি, ওষুধ, হাসপাতাল, আবার পরীক্ষা, আবার কোমোথেরাপি, ওষুধ এ চক্রেই চলে আদেলের পরিবারের খরচ। দেড় বছরের এ চক্র পরিবারটিকে এখন নিঃশ্বেস করে ফেলেছে। আর পারছেন না পরিবারের বড় ছেলে আদেল। তাই বলে মাকে কি যেতে দেয়া যায়?
আদেল তার বন্ধু, শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে বলেছেন, “মার ক্যান্সার থামছে না। উন্নত চিকিৎসায় যেতে হবে দেশের বাইরে, চাই অন্তত প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর আমি নিঃস্ব প্রায়। গত দেড় বছর ধরে অনেক চেষ্টাইতো করলাম.. .পারলাম না.. .হবে না এভাবে. .. তাই হাত পেতে দিলাম.. ..এই আমার শেষ চেষ্টা’
আদেলের চেষ্টায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করুন: রাফে আদনান আদেল, হিসাব নং: ১০৮১০১৩৯২৭১, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শান্তিনগর শাখা, ঢাকা। মোবাইল ফোন নং: ০১৭৫৩০৯১২৪৯।
Click This Link