ডিপ্রেশন, শব্দটা যে কত ভয়াবহ তা অনুভূত না হলে বোঝা সম্ভব নাহ। এই এক ডিপ্রেশনইই মানুষকে নিয়ে যায় আধারে। এই ডিপ্রেশন এ পরেই মানুষ করে সুইসাইড। এই ডিপ্রেশন এ পরেই মানুষ করে খুনের মত জঘন্য কাজ।
ধরুন, আপনি এক ছেলেকে একটি কাজ করতে দেখলেন এবং আপনি ভাল করেই জানেন সে কাজটি অত্যন্ত খারাপ। তখন আপনি কি তাকে ধরে মাইর ধোর শুরু করবেন? এতেই কি সমাধান হয়ে যাবে? নাহ, এতে আরো হিতে বিপরীত হবে। ঠাণ্ডা মাথায় বুঝালে ছেলেটি যা শুনতো এবং মানতো আপনার এই রুক্ষ ব্যবহারের ফলে কোনটিই হবেনা আর। বরং আপনাকে পরবর্তীতে দেখলে দুএকবার গালি দিতেও ভুল করবেনা।
আপনি একজনের বাবা মা। আপনার ছেলে অনেক চুপচাপ থাকে। তাই বলে ভেবে নিয়েন না যে সে অনেক শান্ত। না, সে হয়তো এমন কিছু চায় যা আপনি জানেননা। হয়তোবা আপনার কাছে বললে আপনি হয় হেসে খেলে উড়িয়ে দিবেন নয়তোবা প্রচণ্ড ধমকে ছেলেটির বুকের ঢিপঢিপানি বাড়িয়ে দিবেন। সে ভুগছে তাই ডিপ্রেশন এ।
আপনি অন্যের মানসিকতা ধরতে শিখুন, অন্যকে বুঝতে শিখুন, খুশির পরিবেশ তৈরী করা শিখুন দেখবেন ডিপ্রেশন নামক বিষটি দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারো ভিতরে ঢুকে তাকে চিনুন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। কেউ কেউ আছে সবসময় হাসি খুশি থাকে কিন্তু একটু পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেও হয়তোবা মারাত্মক কোন ডিপ্রেশন এ ভুগছে।
গুলশানে হামলাকারী নিবরাস ইসলাম কিন্তু স্বেচ্ছায় জঙ্গিবাদের পথটাকে বেছে নেয়নি। এ পথে আসার আগে সেও মারাত্মক ডিপ্রেশন এ ভুগছিল। যার ফলে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আনতে ব্ল্যাকমেইলারদের কোন সমস্যায় পরতে হয়নি।
এইযে দেখুন এভাবে দুএকটি ছেলে হয়তো সামান্য কিছুর অভাবে ধ্বংসাত্মক পথে পা বাড়াচ্ছে। হয়তো তাদের চাওয়াটা বেশী বড় কিছুকে নিয়ে নয়। খুব সামান্য জিনসই তারা চায়। কিন্তু বারংবার পূরণ না হওয়ায় তারা বেছে নেয় সর্বনাশা পথ।
তাকে বুঝার চেষ্টা করুন। তাকে পরিত্যক্তের ন্যায় ছুরে মেরেন না। আগলে রাখুন। দেখবেন শান্তি এমনিতেই চলে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২