একসময় বাংলা রচনা লিখেছিলাম ‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম’। রচনা লিখতে গিয়ে ভাবতাম, আসলেই যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম।
কিন্তু আজ আমার মনে নিজে কিছু হওয়ার আকাঙ্খা জাগছে না। আজ আমার মনের একমাত্র আকাঙ্খা, আমার ভাই যদি বিজিবি প্রধান হতো।
কি কারনে সেটা পরে বলছি। আগে একটি নিউজ পড়ে নেই।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদের ছোট ভাই ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তোফায়েল আহমেদ যোসেফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রায় ২০ বছর ধরে বন্দী থাকায় এরই মধ্যে কারাদণ্ড ভোগও সম্পন্ন হওয়ায় যোসেফের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
কারাগারে পরিবর্তে যোসেফ দীর্ঘ দিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে আছেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এখান থেকেই তিনি মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।
১৯৯৬ সালের ৭ মে জোসেফ গুলি করে হত্যা করে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা নামে এক ব্যাক্তি। ওই ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন যোসেফ ও তার সহযোগী কাবিল সরকার। ২০০৪ সালের ২৫ মে নিম্ন আদালত এই মামলায় যোসেফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ভাই হারিস ও দুই সহযোগি কাবিল এবং আনিসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা আসামীরা জেল আপিল করে। ২০০৭ সালে ওই আপিল ও ডেথরেফারেন্সের শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
এরপর আপিল বিভাগে আসে মামলটি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার জোসেফের যাবজ্জীবন এবং অন্য আসামী কাবিল সরকারকে খালাস দেন।
যোসেফ ভাইদের মধ্যে সবার ছোট। তার আরেক ভাই হারিস আহমেদের নামও রয়েছে পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। হারিস বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন। তার আরেক ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
যোসেফ বড় ভাই মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক। জোসেফ এক সময় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে পুরো মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
বড় ভাই বিজিবি মহাপরিচালক, তাই দুর্ধর্ষ খুনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট ভাইয়ের সাজা মওকুপ!!!
এমন দৃষ্টান্ত সামনে থাকলে কে না চাইবে তার ভাই বিজিবি মহাপরিচালক হোক!! বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামীর পরিবারেরও এখন এই একটাই চাওয়া।
আমার ভাই যদি বিজিবি মহাপরিচালক হতেন, আমিও বেছে বেছে কিছু কুলাঙ্গারকে, কিছু দেশদ্রোহীকে খুন করতাম।
খুনের লিষ্টটা না হয় ৫৭ ধারার নিচেই চাপা থাকুক। আপাদত জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো......।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫