সাদা ভাত,
ভেবেছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো,
কিন্তু কথাগুলো ঠিক সাজিয়ে নিতে পারছিলাম না।
মন্দভাগ্য আমি, তোমার তেজ বুঝিনি,
তোমার ভেতরে আগুন যে আছে
তাকেও আমি খুঁজিনি।
কি-ই বা সামর্থ্য একতিল ঐ সাদা ভাতের?
অফুরান চাল যখন থাকে বস্তায় বস্তায় বন্দী,
তখন আর কি ভাবনা!!
আমি তো তোমার ঠিকানাই ভুলেছিলাম
তোমার স্বরূপ আমি জানি না সাদা-ভাত -
আমাকে ক্ষমা করো।
আমি তো সত্তরের সেই দিনগুলো দেখিনি,
আনন্দমঠে দেখেছি শুধু,
আমি তো তেতাল্লিশের সেই ‘ফ্যান দাও’ শুনিনি
নবান্নে পড়েছি কেবল।
তোমার স্বরূপ এতো ভয়ঙ্কর!!!
সাদা-ভাত, প্রিয় আমার,
যদি মানুষের ক্ষুধাই না নেভাবে,
যদি তাদের পুড়তে থাকা আত্মাকেই না বাঁচাবে,
তবে গুদামঘরে মজুত থাকার কেন এই আয়োজন?
মানুষ কি তবে কেড়ে নিতে ভুলে গেছে?
আর কি মনে পড়ে না তাদের তেতাল্লিশের ঐ দিন?
শাদা-ভাত, দিন আসছে,
তোর ঠিকানা খুঁজে নেবো ঠিক,
ভুখা পেটে সইবো না বেশিদিন
সবাই মিলে বের করে আনবো তোকে,
গায়ের জোরে টেনে হিঁচড়ে, রক্তপাত ঘটিয়ে
শ্রমব্যয় করে, বহু দিনের সাধনার পরে
ঠিকানা তোর পাবোই আমরা, পাবোই।
তুই প্রস্তুত থাকিস।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮