অনেকেই মনে করেন যারা ধর্ষণ করেন তারা অমানুষ।কিন্তু মূলত এরাই মানুষ।যে ধরা খায় সে ই তো অমানুষের তকমাটা গলায় ঝুলায়।আর যে ধরা খায় না সে তো সাধু মহাপুরুষই থেকে যান।
#আইনে ধর্ষণ বলা হয়েছে ,যদি দুজনের অন্তত একজনের অমত থাকে অথবা দুজনেই রাজি ছিলো কিন্তু সেখানে লোভ বা প্রতারণা ছিলো।পরবর্তিতে তা অভিযোগ সাপেক্ষে ধর্ষণ বলে চিহ্নিত হবে।
#আমাদের দেশের ধর্ষিত নারীদের বেশির ভাগ অংশ হচ্ছেন ,দুজনই রাজি কিন্তু সেখানে লোভ বা প্রতারণা ছিলো।দুজনেই মনের সুখে অজানায় হারিয়ে ছিলেন কিন্তু যখন সেই অজানা সুখে কিছু দুঃখও এসে যোগ হল তখনই সেটা ধর্ষণে রূপ নিলো।
# সেদিন একটা ব্লগে দেখলাম-আমাদের দেশের ধর্ষনের 81% ঘটনা ঘটায় শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষ ।বাকিরা অশিক্ষিত ।
#শিক্ষিত পাড়াতে এলে বুঝবেন যৌনতা কি জিনিস।যে পাড়ায় শিক্ষার আলো যত বেশি সে পাড়ায় স্বীকৃত বা অস্বীকৃত যৌনতা বা ধর্ষণ তত বেশি।
# আরো একটা তথ্য,দেশের 42% ধর্ষণ শুধু মাস্টার শ্রেণীর লোকজন ঘটিয়েছেন ।এক্ষেত্রে 82% ঘটিয়েছেন সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার (স্কুল -কলেজ....) মাস্টাররা।বাকি 18% ঘটিয়েছেন ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত মাস্টাররা।
যদিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণার মোট 79% ছিলো ধর্মীয়দের বিরুদ্ধে।
#দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর এহেন কোন বিভাগ নেই যেখানে অন্তত পক্ষে একজন যৌন নিপীড়ন কারি শিক্ষক পাওয়া যাবে না।
#ছোট বেলায় চুরি করে সিনমা হলে যেতাম সিনেমা দেখতে।যেখানে অধিকাংশ সিনেমা ই ছিলো যৌনতায় পরিপূর্ণ।হলের দরজায় একটা স্টিকারে লেখা থাকতো "
নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়,অশ্লীলতার কোন সংজ্ঞা নাই।"
এখন উচু ক্লাসের বা উচ্চ শিক্ষিতদের অনেকেই অবাধ যৌনতায় লিপ্ত।কারণ তারা মনে করেন -"চুমাচুমি বা অবাধ যৌনতা ই ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের কোন সংজ্ঞা নাই।"
#দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রায় 80% ছেলে মেয়ে প্রি-ম্যারিটাল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সে জড়িত।অশিক্ষিতদের মাঝে এর পরিমাণ 10% এরও নিচে।সমস্যা হচ্চে প্রথম কাতারের লোকজন যৌন কর্মকান্ডের জন্য সমাজ থেকে এক ধরনের স্বীকৃতি পান যা দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকজন পায় না। ফলে শেষোক্তদের যৌন কর্ম কান্ড ধর্ষণ বলে বিবেচিত হয় কিন্ত প্রথমদের বেলায় নয়।
# যৌনতা কিভাবে চরিতার্থ করতে হয় এটা শিক্ষিত শ্রেণীর লোকজন কম বুঝেন, এইজন্য এরা যৌন বিষয়ক কোর্সে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। অপর পক্ষে অশিক্ষিত শ্রেণীর কোন কোর্স লাগে না।
# একটা জরিপ বলছে,যৌন রোগীদের প্রায় 90% শিক্ষিত শ্রেণী।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬