somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশ দখলের মহোৎসব চলছে যেন....

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতনের বিষয়টি ভেবে দেখার কাজ শুরু হয়।শুরু হয় সব রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকদের আন্দোলন ।দাবি ছিল এগুলোকে সরকারি করতে হবে।অবশেষে হলোও।তবে শিক্ষকদেরকে বেশ নাজেহালও হতে হয়েছিল।শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে অনেকে আবেগী কলামও লিখেছিলেন।এরকম একটি কলাম ছিল প্রথম আলোর সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ এর।কিন্তু এর যোক্তিকতা কতটুকু ছিল তা পরে বুঝা গেল। এরপর অমুক শ্রেণীর তমুক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন চলেই আসছিল।এগুলোর অনেক দাবি পূরণ করতে সরকার বাধ্যও হয়েছিল।অনেকগুলো স্বেচ্ছায় পূরণ করেছে সরকার।এর পর আসলো আরেক ঘোষণা।সকল সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুন করা হবে।দ্বিগুন করাও হয়েছে।অবশ্য টাকা এখনো কারো পকেটে যায়নি ।এরপর দেখা দিল আরেক সমস্যা ।অমুকের ভাগে কম পড়ছে, অমুকের ভাগে বেশি পড়ছে।অমুকের পদমর্যাদা কমে গেছে আবার অমুকের বেড়ে গেছে। শুরু হলো আন্দোলন।এখনো চলছে।অমুক শ্রেণীর জনগোষ্ঠির চাকরির বয়স বত্রিশ করতে হবে,তমুক শ্রেণীর চল্লিশ করতে হবে। এখনো চলছে বোধহয়।অনেক গৌষ্ঠী এখনো আন্দোলন করছে গ্রেড উন্নয়নের।

কিন্তু একটা শ্রেণীও এ পর্যন্ত সরকারি অফিস আদালত গুলোতে সেবার মান বাড়ানোর জন্য তেমন কোন আন্দোলন ই করেনি।কেউ বলেনি আমরা (জনগণ ) যাদের বেতন দ্বিগুন করেছি তারা কেন আমাদের কোন কাজ ঘুষ ছাড়া করেনা।কেন এ পর্যন্ত কোন কর্মচারির অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে শাস্তি পায় নি? কেন এক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা এক এক জন শোষক?
এ বিষয়ে কেউ আন্দোলন করেনি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সবাই দেশ দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।সবাই চোখকান খোলা রাখছে, কারো ভাগে যেন কম না পড়ে।
কৃষকরা আন্দোলন করেছে তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্যের। কোন ফল হয়নি।ব্যবসায়ী গন আন্দোলন করেছে।ফল হয়নি।মানে সহিংসতা বন্ধ হয় নি।পলিটিক্যাল গেম খেলেছে সবাই।
এদের উন্নয়ন ঘটেনি।ট্যাক্সের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে।আর ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা দ্বিগুন খারাপ হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×