আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতনের বিষয়টি ভেবে দেখার কাজ শুরু হয়।শুরু হয় সব রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকদের আন্দোলন ।দাবি ছিল এগুলোকে সরকারি করতে হবে।অবশেষে হলোও।তবে শিক্ষকদেরকে বেশ নাজেহালও হতে হয়েছিল।শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে অনেকে আবেগী কলামও লিখেছিলেন।এরকম একটি কলাম ছিল প্রথম আলোর সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ এর।কিন্তু এর যোক্তিকতা কতটুকু ছিল তা পরে বুঝা গেল। এরপর অমুক শ্রেণীর তমুক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন চলেই আসছিল।এগুলোর অনেক দাবি পূরণ করতে সরকার বাধ্যও হয়েছিল।অনেকগুলো স্বেচ্ছায় পূরণ করেছে সরকার।এর পর আসলো আরেক ঘোষণা।সকল সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুন করা হবে।দ্বিগুন করাও হয়েছে।অবশ্য টাকা এখনো কারো পকেটে যায়নি ।এরপর দেখা দিল আরেক সমস্যা ।অমুকের ভাগে কম পড়ছে, অমুকের ভাগে বেশি পড়ছে।অমুকের পদমর্যাদা কমে গেছে আবার অমুকের বেড়ে গেছে। শুরু হলো আন্দোলন।এখনো চলছে।অমুক শ্রেণীর জনগোষ্ঠির চাকরির বয়স বত্রিশ করতে হবে,তমুক শ্রেণীর চল্লিশ করতে হবে। এখনো চলছে বোধহয়।অনেক গৌষ্ঠী এখনো আন্দোলন করছে গ্রেড উন্নয়নের।
কিন্তু একটা শ্রেণীও এ পর্যন্ত সরকারি অফিস আদালত গুলোতে সেবার মান বাড়ানোর জন্য তেমন কোন আন্দোলন ই করেনি।কেউ বলেনি আমরা (জনগণ ) যাদের বেতন দ্বিগুন করেছি তারা কেন আমাদের কোন কাজ ঘুষ ছাড়া করেনা।কেন এ পর্যন্ত কোন কর্মচারির অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে শাস্তি পায় নি? কেন এক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা এক এক জন শোষক?
এ বিষয়ে কেউ আন্দোলন করেনি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সবাই দেশ দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।সবাই চোখকান খোলা রাখছে, কারো ভাগে যেন কম না পড়ে।
কৃষকরা আন্দোলন করেছে তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্যের। কোন ফল হয়নি।ব্যবসায়ী গন আন্দোলন করেছে।ফল হয়নি।মানে সহিংসতা বন্ধ হয় নি।পলিটিক্যাল গেম খেলেছে সবাই।
এদের উন্নয়ন ঘটেনি।ট্যাক্সের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে।আর ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা দ্বিগুন খারাপ হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬