somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নগ্নিকা এবং মনন ভূমে কাঠঠোকরার কেরামতি

২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাস্তাটা আলসে অজগরের মতো। খানিকটা এঁকে বেঁকে দুপাশের হেলে দাড়ানো বাড়ি ঘর গুলো শুঁকতে শুঁকতে রাবেয়া ভিলার সামনে এসে বুড়ো হয়ে ভেংগে চুরে থেমে যায়। নিলু রিকশার ভাড়া মিটিয়ে ভেজানো দরযা খুলতে যেয়ে থমকে যায় কিংবা থমকে যেতে বাধ্য হয়, রাবেয়া ভিলার সামনে বেকারি কারখানার দেয়ালটার ফোঁকরে যেখানে পাড়ার বাচ্চারা ঝোলানে ফার্ন আর বট কি পাকুড়ের অপরিনত শেকড় আর পাতার আড়ালে লুকোচুরি খেলত, বেমালুম নগ্ন একটা ভাস্কর্যের দখলে চলে গেছে। নিলু মরাটে ইট আর সবুজের ফাঁকে স্তনের চিত্রকল্প দেখে, বেয়াড়া শেকড়ে সাথে পাল্লা দেয়া জটা চুলের ছোপ, উরুসন্ধির ঢালে অতলান্তিক আঁধার জমাট বাঁধলে নিলু চোখ ফেরায়। লোম হারানো ঘেয়ো একটা কুকুর প্রবল বেগে লেজ নাড়িয়ে ভাস্কর্যটা শুঁকতে চাইলে, নিলুর ভ্রম কাটে; যখন ভাস্কর্য পরম বাৎসল্যে কুকুরটার লোমহীন চামড়া থেকে পরজীবি খুঁটতে থাকে।
নিলু প্যাঁচানো সিড়ি বেয়ে ওঠার ফাঁকে গলার ভেতর দলা পাকানো কিছু একটা টের পায়। ঘেন্না নাকি অন্য কিছু তা ঠাহর করতে না পেরে সিড়ির ধাপ বেড়ে যায়। নিলু ঘরে ফিরেও দলা পাকানো কিছু একটাকে গিলে ফেলত পারে না।
"আরি! এই আপদটা কইতথিকা আইলো?!" রাবেয়া ভিলার মালিক হাজি মালেকের যুগপৎ বিস্মিত এবং শংকিত চিৎকারে নিলু জানাল খোলার প্রয়াস পায়। হাজি মালেকের কারুকার্য করা টুপির আধখানা নিলুর চোখের সাথে লুকোচুরি খেলে, কিংবা আল্লা-খোদার নকশা খোদায় টুপিটা সানসেটের তলা থেকে বেরুতে পারেনা, পাছে নগ্ন ভাস্কর্যের আঁচে ঝলসে যায়।
'আবে ঐ জলিলল্যা! হারামজাদা দেখস না, বাড়ির সামনে কি সব আয়া পইড়া থাহে?"
জলিল চঞ্চল চোখে "কি সব আয়া পইড়া রইসে" খুঁজতে থাকে এবং খুঁজে পেলেও বেকারীর দেয়ালের ফোঁকরটা দেখে না অথবা মরাটে ইট আর অগোছালো সবুজের চিত্রকল্পে ভাস্কর্যটাকে আলাদা করতে পারেনা।
"কাহা, আগোল পাগোল...." জলিল গাঁইগুঁই করে কিছু একটা বলতে চাইলে "খ্যাদা হারামজাদা!" হাজি মালেকের চিৎকারে চাপা পড়ে যায়। জলিল থুহ করে থুতু ফেলতে যায় কিন্তু লক্ষ্যভ্রস্ট বেয়াড়া থুতু ওর স্যান্ডেলে আর বুড়ো আংগুল আক্রমন করলে খিস্তি কেটে ওঠে ও। কফ আর থুতুর ল্যাপ্টালেপ্টি জনিত কারনে হোক বা হাজি মালেকের ঝাড়িতেই হোক, জলিলের গলা চড়ে যায়,
"অই বেডি, গেলি!" এমনকি কুকুর তাড়ানো হুইস হাই জাতীয় শব্দও করে জলিল, কিন্তু ভাস্কর্য নড়ে না বরং তামাটে রংটা গাঢ় হয়ে বেকারীর দেয়ালের ফোঁকরটাতে শেকড় ছড়ানোর হুমকি দেয়।
এর ফাঁকে কিছু বাচ্চা কাচ্চা জুটে যায়, যারা জলিল এবং বেকারীর দেয়ালের মাঝে ছুটোছুটি করে, মুখে কাঠি লজেন্স পুরে জ্বল জ্বল চোখে ভাস্কর্য দেখে আর "এ মা ল্যাংটা..ল্যাংটা..ল্যাংটা" সুরে ঘুরপাক খেতে থাকে। ঘেয়ো কুকুরটা যেটা এতক্ষন ভাস্কর্যের বাৎসল্যে চোখ মুদে ছিল, বাচ্চাদের সাথে সেও যোগ দেয়। ভদ্র লোকগুলো চোখ বাঁচিয়ে পাশ কাটাতে চায়, কিন্তু রাবেয়া ভিলা আর বেকারীর দেয়ালের ফাঁদে পড়ে, মুখে কাঠি লজেন্স পোরা ছেলেপুলে আর ঘেয়ো কুকুরটার চ্যাঁচামেচিতে চোখ হারিয়ে বেদিশা হয়ে পড়ে।
নিলুর গলায় দলা পাকানো অস্বস্তিটা হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে ওকে কাশতে বাধ্য করে এমনকি বেসিনের দিকে ছুড়ে দেয় সজোরে।

"দেখসো?...." চিটচিটে গরমের চাদরে জড়ানো আসাদ এক লকমা ভাত মুখে তুলে নিলুর প্রশ্নের অসম্পুর্নতায় বিরক্ত হয়ে চাবাতে ভুলে যায়।
"কি?" দলছুট একটা ভাত আসাদের ঠোঁটের কোনে আটকে থাকে, ভেতরে যেতে চায়না, কিন্তু আসাদ নাছোড়বান্দা, জিভের কেরামতিতে ঠিকই পেড়ে ফেলা ভাতটাকে।
"অই যে মেয়েটা..আমাদের বাসার সামনে.." নিলু ভাস্কর্যের বিবরন অথবা নগ্নতার বয়ান ঠিকমতো দিতে না পেরে অসহায় বোধ করে।
"হুম, আরে পাগোল ছাগোল, বুঝলা ন। কোনখান থেকে এসে পড়লো এইখানে! তাছাড়া বয়সও কম।"
"এর মধ্যে বয়সও মেপে ফেলসো?"
আসাদ ভ্রুতে বিরক্তির গেরো বাঁধে কয়েকটা। "কি যে বলো না!"
নিলু আসাদের এঁটো হাতের দিকে চেয়ে থাকে।

চিটচিটে ঘাম, প্রত্যহিক বিনোদনের ক্লেদ আর গলায় জমে থাকা কিছু একটা নিয়ে মাঝরাতে ঘুম ভাংগে নিলুর। ঘুলঘুলি চোয়ানো জোছনার টুকরোটাকরা পড়ে আছে বিন্তির গালে, মুখে বুড়ো আংগুল পুরে ঘুমুচ্ছে মেয়েটা। নিলু গলায় জমে থাকা কিছু একটার তাড়ায়, হা করে ঘুমিয়ে থাকা আসাদ আর মেয়েকে টপকে হাতড়ে জানালার নাগাল পেতে চায়। বেকারীর দেয়ালটার ফোঁকরটায় চাঁদটা পৌছুঁতে না পেরে হ্যাংলার মতো ঝুলে থাকে, আর ঘেয়ো কুকুরটা দাঁত খিঁচিয়ে চাঁদ নাকি চাঁদের কংকালটাকে শাসাতে থাকে। মরাটে ইট আর ঝুলে থাকা সবুজের ফাঁক গলে কামুক চাঁদ ভাস্কর্যের স্তনে হানা দিতে চাইলে তা ঠিকরে নিলুর চোখ ঝলসে দেয়! দু'পা ভাঁজ করে অবনত মুখ হাঁটুতে রাখে ভাস্কর্য, ঠোঁটে মুড়ানো এমন তাচ্ছিল্য, নিলু এখান থেকে ঠাহর করতে পারে। সহসা নিলুর স্মৃতির সব গুলো গ্রীক দেবী ডানা ঝাপটে রাবেয়া ভিলা আর বেকারীর দেয়ালের মাঝে উড়তে থাকে। ভেনাস নাকি আফ্রদিতি নাকি অন্য কেউ তন্তুজ খোলস ফেলে মরাটে ইট আর ঝুলে থাকা সবুজের ফাঁকে নতজানু হয়, ভাস্কর্যের ঠোঁট আরও মুড়ে যায় তাচ্ছিল্যে। নিলু মরাটে ইট আর ঝুলে থাকা সবুজের চিত্রকল্পে একজোড়া সফেদ ডানার উদ্ভাস দেখে!



"বুয়া, এই শাড়ীটা ঐ পাগলিটাকে দিবা।" পুরনো শাড়ীটাতে বুনো ফুলের ঢল আর মায়াকাড়া প্রাচিন গন্ধ।
"কন কি আফা! এই শাড়ী দিবেন অই বেডিরে?!"
"মা, পাগলিটা নেংটু থাকে ক্যান?" বিন্তি পেন্সিল কামড়ে নিলুকে শুধায়, ওর ৪ বছরের মাথায় ভাস্কর্যের নগ্নতা আর চারপাশের মানুষ গুলোর সেই নগ্নতা বিষয়ক জটিলতা খেলতে পারে না, তাই মায়ের দিকে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়ে আবার পেন্সিল কামড়ানোয় মন দেয় বিন্তি।
"বিন্তি!" নিলু ধমকে উঠলেও ওর গলার ভেতর সেই একটা কিছুকে কিছুতেই তাড়াতে পারেনা, এমনকি গতো রাতের একজোড়া সফেদ ডানার ঝাপটানি এখন অব্দি ওকে সুস্থির হতে দেয় না।
আধখোলা জানালার শিকে গাল চেপে নিলু নিচে তাকিয়ে দেখল, বুয়া শাড়িটা দুর থেকে ছুঁড়ে দিচ্ছে বেকারীর দেয়ালে। বুনোফুল গুলো সুতার মর্ম বোঝেনা এমন একজনের গায়ে ঝরে পড়বে এই আক্ষেপে শাড়িটা আছড়ে পড়ে ভাস্কর্যের বেদিতে।
"মা, পাগলিটা কি শাড়ি পরসে?"
ভাস্কর্যের বুড়ো আংগুল ছুঁয়ে তিরতির করে শাড়িটা, ভাস্কর্য দেখে না। বুনো ফুল গুলো কুঁকড়ে যায়, হঠাৎ করে জন্মের ৩ বছর পরে ভাস্কর্যের পায়ের কাছে ওরা ঝরে যেতে চায়!
ও কি শাড়িটা পরবে? ও কি পরতে পারে? কখনো পরেছে? এই প্রশ্ন গুলো নিলুর মাথায় ঠোকাতে থাকে ক্রমাগতো। ও এখানে কেন? এভাবে নতুন নতুন প্রশ্ন যোগ হয়ে ঠুকরে ঠুকরে ক্লান্ত করে ফেলে ওকে।
"মা, পাগলিটা নেংটু থাকে ক্যান?"

ঘেয়ো কুকুরটা শাড়িটা শুঁকে দেখল খানিক, তারপর এক পাক ঘুরে লেজে নাক গুজে শুয়ে পড়লো।


নিচে হাজি মালেকের চিৎকারের অস্পস্টতা নিলুকে জানালার দিকে ঠেলে দেয় আরো।
তিন জন চোঁয়াড়ে লোক বেকারীর দেয়ালটার ফোঁকরটা ঘিরে ধরে।
"মুরুব্বী, চিন্তা নিয়েন না আফনে। শালির হোগার বান্ধন খুইলা দিমু। গোয়া পাতনের জায়গা পাস নাই শালী?" খিস্তির সাথে থুতু ছিটায় একজন, অন্য জন টেনে হিঁচড়ে ভাস্কর্যের শেকড় উপড়াতে চায়, কিন্তু মরাটে ইট আর অগোছালো সবুজের চিত্রকল্প থেকে আলাদা করতে পারে না সহজে।
নিলুর গলায় জমে থাকা কিছু একটা হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠ। জানালা থেকে, ওপড়ানো ভাস্কর্যের সামনে থেকে ওকে ছুঁড়ে দেয় বেসিনের সামনে।



শব্দ গুলো ইচ্ছেমতো ঘুরপাক খাচ্ছে মশারীর কোনায়, খানিক বাদে হা করে ঘুমিয়ে থাকা আসাদ আর বিন্তির মাঝ দিয়ে আবার কখনো ঘুলঘুলির কাছে চোঁয়ানো আলোর ফোঁটা বেয়ে ঝরে পড়ছে। কিন্ত নিলু শব্দহীনতায় মোচড় খায়, বেয়াড়া শব্দেরা ওর শুকনো জিভে নোংগর না ফেলে আবার মশারীর কোনে ভেসে যায়!

ভেনাস, আফ্রোদিতি নাকি অন্যকেউ রাবেয়া ভিলা এবং বেকারীর দেয়ালের মাঝে ওড়াউড়ি করে নতজানু হয় ভাস্কর্যের সামনে। নিলুর শব্দ হীনতার বালিয়াড়িতে ঢেউ হয়ে ভেংগে পড়ে সফেদ ডানার ঝাপটানি আর চাঁদের কংকাল তাড়ানো ঘেয়ো কুকুরটার হাঁকাহাঁকি।

হাজি মালেকের কারুকার্য করা টুপি, আর তিন জন চোঁয়াড়ে মানুষের ৬ টা ঘিনঘিনে হাত নিলুকে ঘর্মাক্ত করে। শাওয়ারের নিচে নগ্ন হয় নিলু। হারপিকের ঠোংগা, বিপন্ন ব্রাশ, জীবাশ্মের মতো অন্তর্বাস, এমন কি হা করে ঘুমিয়ে থাকা আসাদ আর মুখে আংগুল পোরা বিন্তি পর্যন্ত মিথ্যে হয়ে যায়। জল বিদ্ধ আয়নায় নিজেকে তামাটে হতে দেখে নিলু। দেখে মরাটে নাগরিক আলোর নিচে চিত্রকল্পের বুনন; গড়ানো পানির ভাটায় স্তনেরা কেমন ফিরে পাচ্ছে নিজেদের, প্রতিটি বাঁকের কাঠিন্যে ছিটকে যাচ্ছে প্রপাত! আর একজোড়া সফেদ ডানা কিসের অপেক্ষায় কাঁপতে থাকে তিরতির করে!








সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২০
৪৭টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×