(একটি বিষাদ-রম্য প্রযোজনা)
শুরুতেই ব্লগার চাঁদগাজী ভাই এর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম ব্যাবহারের জন্যে। এই ব্লগে তিনি হলেন শ্রদ্ধেয়, আলোচিত, সমালোচিত এবং সুপার হিট ব্লগার। সে কারণেই আমার মতো সুপার ফ্লপ ব্লগার তাঁর নাম কে বেছে নিয়েছি। আসলে মূল বিষয় বস্তু হলো সম্বোধন । সাথে চাঁদগাজী ভাইয়ের নাম জুড়ে দেয়া আর কি।
অন্য একটা ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ ব্লগে আসি। সে ব্লগের কিছু ব্লগার, সাথে এ ব্লগের নিয়মিত কিছু ব্লগারকে দেখে প্রতিদিন আহ্লাদিত হই। আরে ইনি দেখি অমুক ভাই , উনি তমুক ভাই , কি দারুণ লিখেন!!! প্রত্যেককে অনেক কাছের কুটুম্ব মনে হয়। ক’দিন পর তাদের পোস্টে কুটুম্বের মতো আন্তরিক মন্তব্য করা শুরু করি—অমুক ভাই, তমুক ভাই বলে। আমি যতই বলি ভাই ভাই, প্রত্যুত্তরে ততই দেখি কি যেন নাই নাই!! কী নাই, পরে বলবো আর কেন নাই, পরে বুঝলাম। যদি বা থাকে, আমি পাঠাই পরে কিন্তু ফিরে আসে আগে। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার মতো। আমি যতই ঘোড়ার পরে গাড়ি লাগাই। কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমার কাছে আসে গাড়ি ছাড়াই ঘোড়া। আর যদি বা কখনো গাড়ি সহ আসে তবে দেখি তা জুড়ে দেয়া থাকে ঘোড়ার আগে। অথচ এরাই আবার কোথাও কোথাও ঘোড়ার পরে গাড়ি এমনকি সাথে একটা আস্ত হাতিও জুড়ে দেন।এমন কেন হয় এ নিয়ে গবেষণা করে বুঝলাম, ঘোড়ার পরে গাড়ি জুড়তে হয় শুধু হেভি ওয়েট ব্লগারদের, আর ডিক-হ্যারি ব্লগারদের গাড়ি ছাড়াই ঘোড়া চড়তে হয় অথবা গাড়ির আগে ঘোড়া জুড়ে ক্লাউনের মতো বসে থাকতে হয়। ঘোড়ার পরে গাড়ি জোড়া হলো শ্রদ্ধা এবং আন্তরিকতার প্র্রকাশ আর গাড়ির পরে ঘোড়া লাগানোটা হলো শুধুই সৌজন্যতা। তখন হঠাৎ ছোট বেলায় অনেকবার ভাব সম্প্রসারণ করা রবীন্দ্রনাথের ”কুটুম্বিতা-বিচার” কবিতাটি মনে পড়ে গেল-
কেরোসিন-শিখা বলে মাটির প্রদীপে,
ভাই ব’লে ডাক যদি দেব গলা টিপে।
হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা–
কেরোসিন বলি উঠে, এসো মোর দাদা!
ছবি--গুগল ও ফটোশপ প্রযোজনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬