বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদের্শনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস থেকে বাাঁচার প্রথম দুটি কাজ হচ্ছে ১) একজন থেকে আরেক জনের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ২) বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। কিন্তু এ দুটো কাজ অপেক্ষাকৃত কঠিন বলে তার পরিবর্তে আমরা অনেকেই গ্লাভ্স এবং মাস্ক পরে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছি অথচ এগুলো ব্যবহারের ন্যুনতম জ্ঞান আমাদের নাই। এই না থাকার কারনে এ দুটি উপকরনের আমরা যথেচ্ছা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়েই চলেছি
গ্লাভস ব্যবহার করা দরকার তাদের যারা হাইলি ইনফেক্টেড এলাকায় নিয়মিত কাজ করেন এবং নিয়ম হল কাজ শেষে হলে গ্লাভ্সটি নির্দিষ্ট নিয়মে খুলে নির্দিষ্ট জায়গায় ডিসপোজ করা কিন্তু আমরা সাধারণ ব্যাক্তিরা গ্লাভ্স ব্যাবহার করলে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করি ফলে হাত কম ধুই, গ্লাভস দিয়ে মুখ সহ যত্র তত্র চুলকাই, ব্যবহার শেষে ফেলে দেই না এবং একই গ্লাভস বার বার ব্যাবহার করে নিজের এবং গ্লাভ্সবিহীন ব্যাক্তিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেই নিজে নিরাপদ আছি এই বোধ থেকে নিজের হাতের গ্লাভ্সটা পরিষ্কার রাখি না এর ফলেে এই গ্লাভস দিয়ে ধরে যে সমস্ত জিনিষ হ্যান্ডেল করি সেগুলো হাতে ধরা জিনিসের চেয়ে অধিক বিপদজনক হয়ে পড়ে এবং এ সমস্ত বস্তু থেকে অন্যে সংক্রামিত হ্ওয়ার সম্ভবনা আরো বেড়ে যায়।
একই ভাবে মাস্ক ব্যাবহার করে আমরা নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করি যে কারনে নিরাপদ দুরত্ব মেইটেইন করাটা জরুরি মনে করি না তাছাড়া একই মাস্ক না ধুয়ে বার বার ব্যবহার করি যা মাস্ক না পরার চেয়ে অনেক বেশি অনিরাপদ।
সবচেয়ে বিপদের দিক হলো কভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের বডি সারফেসের চেয়ে গ্লাভ্স বা মাস্কে অনেক বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে তাই নিয়ম না মেনে গ্লাভ্স এবং মাস্ক এর যথ্চ্ছো ব্যবহারের ফলে হয়ত আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি।
নিচে নির্দিষ্ট আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রায় বিভিন্ন সারফেসে কভিড-১৯ ভাইরাসের আয়ুষ্কালের একটি তালিকা দেয়া হল-