ফ্রান্সের মত পরাশক্তি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বাংলাদেশ সফর (!)
দুই দিন আগে রাশিয়া’র মতো পরাশক্তি-এর পর-রাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফর করে গেলেন।
এই ৩ দিনে বাংলাদেশ অনেক অনেক উচ্চতর সম্মানে পৌঁছে গেছে।
আমরা বাংলাদেশী’রা সম্মানিত ও গৌরবান্বিত।
শেখ হাসিনার সূদক্ষ রাজনৈতিক ও কূটনীতির কারনে বাংলাদের আজ বিশ্বের কাছে পাশাপাশ,
ও বিশ্ব নেতা নেত্রীদের কাছে আজ আগ্রহ নজর কেড়েছে এবং সন্মানের পাত্র (বাংলাদেশ) হয়েছে।
বাংলাদেশ আজ অহংকারের নাম।
হৃদয়ে আমার জয় বাংলা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অহংকার,
বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক, এবং বাংলার আত্নমর্যাদার প্রতিক। শেখ হাসিনা তার সাহস এবং বিচক্ষণতা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার কাতারে তুলে এনেছেন।
ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ বাংলাদেশকে এই জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য এবং বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আমরা ভারতবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকুক।
আশা করি তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সহ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিবদমান সকল সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে অবিলম্বে সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কিছুতেই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিব না।
একই সাথে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই চীনের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক এবং সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দিব না।
তাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে যতই ভয় দেখাক বা লোভ দেখাক।
বা বিভিন্ন অযুহাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।
বাংলাদেশ চীনের সাথে তার বন্ধুত্বের মর্যাদা দেয়।
চীনও বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বের মর্যাদা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র নিযেধের স্বার্থে চীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারকে নানা চাপ দিয়ে টলাতে না পেরে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে সংগঠিত নানান ইসলামি উগ্রবাদী সংগঠনগুলকে (বিএনপি সহ এই দলগুলো প্রচন্ডভাবে সব সময় প্রকাশ্যে ভারতের ধ্বংস কামনা করে) উসকিয়ে দিচ্ছে।
আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি আর শান্তির জন্য ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাসী জংগীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনার লক্ষ্য বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে একটি ধর্মীয় উগ্রবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, শান্তিপূর্ণ, এবং সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।
যেখানে বাংলাদেশের সকল ধর্মের সকল নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম তাদের মত করে সুন্দরভাবে এবং নির্বিঘ্নে পালন করবে এবং সকলে সমান মর্যাদা এবং সমান নাগরিক সুবিধা ভোগ করে বসবাস করবে।
জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০১