somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাদের কাছে অনুপ চেটিয়া এখনও বীর

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যাদের কাছে অনুপ চেটিয়া এখনও ‘বীর

ঢাকা, নয়া দিল্লির চোখে অনুপ চেটিয়া দুর্ধর্ষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী। আসামে তার বিরুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজির অজস্র মামলা রয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে আসামকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। ঢাকা-দিল্লির কাছে তিনি দুর্ধর্ষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী হলেও তার পরিবার, নিজ গ্রাম আসামের জেরাইগাঁওয়ে তিনি যেন বীর’। দিব্রুগড় থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। সেখানে এখন বসবাস তার ভাই ও পরিবারের অন্যদের। রয়েছেন স্ত্রী মনিকা বড়–য়া সহ সন্তানরা। উলফার এই দুর্ধর্ষ নেতার সঙ্গে তার স্ত্রী মনিকা, ছেলে বুমোনি (২২) ও মেয়ে বুলবুলি (১৭)র দেখা নেই ১৬ বছর ধরে। অনুপ চেটিয়ার ভাই সুরেন বড়–য়ার বয়স এখন ৮২ বছর। তিনিও পরপারের পথে। জীবনের এই শেষ প্রান্তে এসে তিনি ভাইয়ের দেখা পাবেন। এমন আশায় তাদের বুকের ছাতি অনেকটা উঁচু হয়ে উঠেছে। জেরাইগাঁও গ্রাম যেন অনুপ চেটিয়াকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছে। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনই লিখেছেন সাংবাদিক রাজিব দত্ত। এতে তিনি লিখেছেন, প্রায় দুই দশমের অপেক্ষার অবসান। উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়ার পরিবার স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। তাকে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে ভারতের কাছে তুলে দেয়ায় তার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আবেগঘন এক আশা জেগে উঠেছে। ২০০৯ সাল থেকে তারা তার মুক্তি আশায় প্রহর গুনেছেন। ওই সময় খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অনুপ চেটিয়াকে বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি দেয়া হবে। বুধবার যখন তার মুক্তির খবর পৌঁছল স্বজনদের কাছে, গ্রামে তখন যে আনন্দের এক আবহ বয়ে গেছে। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে জেরাইগাঁওয়ে। বুধবার সকাল থেকেই তার বাড়িতে ৮২ বছর বয়সী ভাই সুরেন বড়–য়া উল্লাসে ফেটে পড়ছেন। সুরেন বড়–য়ার স্ত্রী দিব্যলতা ও ছেলে অরুপও যেন সেই আনন্দে আত্মহারা। বাড়ির বারান্দায় বসে সুরেন বলেন, তার অকস্মাৎ মুক্তির খবরে আমাদের আনন্দ অপার, সীমাহীন। অনেক বছর আগে আমরা গোলাপ (অনুপ চেটিয়ার আরেক নাম) কে বাড়িতে স্বাগত জানানোর আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হয়েছি। এখন আমার বয়স হয়েছে। এখন গোলাপের উচিত বাড়ি ফিরে সব দায়দায়িত্ব নেয়া। উল্লেখ্য, উলফা (স্বতন্ত্র) কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়–য়া হলেন অনুপ চেটিয়ার নিকট-আত্মীয় (কাজিন)। দুজনের আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী। অনুপ চেটিয়া তার সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তারা মোট দুভাই ও পাঁচ বোন। তার পিতা সেবেন ও মাকোলি বড়–য়া মারা গেছেন অনেক বছর আগে। ১৭ই মে ঢাকা থেকে অনুপ চেটিয়ার স্ত্রী মনিকা বড়–য়া, ছেলে বুমোনি (২২) ও মেয়ে বুলবুলি (১৭) আসামে পৌঁছেন। তারপর থেকে তারা জেরাইগাঁও গ্রামে থাকেন কিছু দিন। ১৯৮৯ সালের ৩০শে জুন অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অনুপ চেটিয়ার বয়স এখন ৬৪ বছর। তিনি গোলাপ বড়–য়া নামেও পরিচিত। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বাংলাদেশী ভুয়া পাসপোর্ট, নিবন্ধনহীন স্যাটেলাইট ফোন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, স্পেন, বেলজিয়ামের মতো দেশের মুদ্রা রাখার অভিযোগে লক্ষী প্রসাদ গোস্বামী, বাবুল শর্মার সঙ্গে ১৯৯৭ সালের ২১শে ডিসেম্বর ঢাকায় তাকে আটক করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ই এপ্রিল তিনি ভীমাকান্ত বুরাগোহাইন, রাজিব রাজকোনওয়ার ওরফে অরবিন্দ রাজখোয়া, সমীরণ গগৈ ওরফে প্রদীপ গগৈ, ভাদরেশ্বর গোহাইন ও পরেশ বড়–য়াকে নিয়ে শিবসাগরের রাংগড়ে গঠন করেন উলফা। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনিই দলের সাধারণ সম্পাদক। অনুপ চেটিয়া খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একাডেমিক কর্মকা- ছিলেন বেশ দক্ষ। তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু প্রভাত গোহাইন বলেন, স্থানীয় জেরাই চোকোলি ভোরিয়াগাঁও এলপি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন। ছিলেন দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড়। গ্রামে যে জয় হিন্দ লাইব্রেরি রয়েছে তা স্থাপনে তার ছিল নেতৃস্থানীয় ভূমিকা। জেরাইগাঁও গ্রামের হেডম্যান ফটিক ফুকান বলেন, পুরো গ্রাম তাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষ করছে। আমাদের কাছে সে একজন বীর ছাড়া কিছু নয়। সে আসামের জনগণের জন্য দীর্ঘ সময় লড়াই করেছে।

১. পশ্ন হলো যদি অনুপ চটেয়িার উলফার আন্দোলনে আসাম স্বাধীন হত তাহলে অনুপ চটেয়িা হতেন আসামের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট আরও হতেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আসামের স্থপতি ইত্যাদি উত্যাদি। আসামের স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় এখন উলফা নেতারা হয়েছেন নয়া দল্লিরি চোখে অনুপ চটেয়িা র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী। আসামে তার বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা রয়ছে।

২.অনুরুপভাবে বলা যায় বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যদি ব্যর্থ হত তাহলে শেখ মজিবুর রহমানসহ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছিল তারা হত পাকিস্তানের চোখে র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধঅপরাধী। তাদের বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা।

৩. আজকে মিয়ানমারের দিকে তাকান কি দেখা যায় দির্ঘ ২৫ বছর অংসান সুচি ছিল মিয়ানমারের চোখে র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধঅপরাধী। তাদের বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা । এখন সে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

৪. মিশরের দিকে তাকান ইখওয়ান লরাই সংগ্রাম করে মিশরকে স্বাধীনতা করে ছিল। এরপর হোসনী মোবারকের দীর্ঘ ৩৭ বছর সরকারের পতন ঘটিয়ে মুসলিম বাদারহুড নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন । ১ বছরের ব্যবধানে সে দেশের সেনাবাহীনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। এখন মুসলিম বাদারহুড হল মিশরের চোখে র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধঅপরাধী। তাদের বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা এমনকি তাদের দুই নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে।

৫. এবার আসি সিরিয়ার দিকে আসাদ সরকারের ইতিহাস আমরা জানি যারা আসাদের পতন চাচ্ছেন তারা এখন সিরিয়ার চোকে র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধঅপরাধী। তাদের বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা , অভিবাসি ইত্যাদি।

৬. বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে র্ব্যথ হয়েছে তারা এখন আগুন নেত্রী, বোমাবাজ, জঙ্গি, র্দুর্ধষ অপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধঅপরাধী। তাদের বরিুদ্ধে খুন, গণহত্যা, চাঁদাবাজরি অজস্র মামলা , অভিবাসি ইত্যাদি।


এটা হলো পৃথিবীর ইতিহাস। তবে পৃথিবীর এই ইতিহাস দিয়ে বিশ্ব শান্তি আসেনি আসবেনা ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×