somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুব প্রেম অথবা মৃত্যু

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবনের কোনো একটা পর্যায়ে এসে মানুষ তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুতুল হয়ে ওঠে। সেই পুতুল নিয়ে ইচ্ছামত খেলতে থাকেন নিয়ন্ত্রকরা- প্রত্যক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে।

শায়লার মত কিছু মেয়েরা মাংসাশী, মিথ্যাবাদী কিংবা লোভী অ-প্রেমিকদের প্রেমে পড়ে জীবনের সবটুকু নির্মম জায়গাকে চিনে ফেলে- নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে নেয়। এরপর মানুষকে ভয় পেতে শুরু করে, সমাজকে ভয় পেতে শুরু করে, নিজেকে ভয় পেতে শুরু করে। সবচে বেশি ভয় পেতে শুরু করে ; প্রেমিক হয়ে উঠতে পারে এরকম সম্ভাবনাময় মানুষগুলোকে। সময় হয় গতিপথ বদলে ফেলার। শায়লারা তাই করে- গতিপথ বদলে ফেলে। যে রাস্তায় প্রেম থাকে সে রাস্তা এড়িয়ে চলতে শুরু করে।

পুতুলের নিয়ন্ত্রক হাসেন- খেলাটা একটু অন্যভাবে নতুন করে শুরু করতে হবে ভাবেন।
শায়লারা আবার হাসতে শেখেন। মৃত্যুকে হাতে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন।
কিন্তু সেই স্বপ্নের বুননটা শক্ত হয়? কামনার মৃত্যু দূরে মিলিয়ে যায়? জীবনের শেষ অবধি প্রেমের কবিতা ভালো লাগে? কপালের টিপটা ঠিক করে পরার মত শক্তিটুকু থাকে? চিঠি লেখার সময় চোখ লাল হয়? বটগাছ ভালো লাগে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তিয়াশা সুরভীর লেখা 'খুব প্রেম অথবা মৃত্যু' বইয়ে।

আমার ধারণা, একজন লেখক কিংবা কবি তার প্রথম বইয়ে ঠিক একজন নতুন মায়ের মত- প্রথম সন্তানকে বড় করতে গিয়ে সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ছোটখাটো কিছু ভুল এড়াতে পারবে না। পারাটা সম্ভবও নয়।

লেখিকার প্রথম বই হিসেবে যেটুকু আশা করেছিলাম সেটুকু পেয়েছি। নিরাশ হইনি।
লেখিকার জন্য শুভকামনা। আগামী বইমেলা তার পাঠকদের জন্য আরো সুখকর হয়ে উঠুক।

বই : খুব প্রেম অথবা মৃত্যু
লেখক : তিয়াশা সুরভী
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×