somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিভাবে বদলে গেলেন কবি আল মাহমুদ

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক সময় নাস্তিকতার আদর্শ লালনকারী কবি আল মাহমুদ হঠাৎ করে কিভাবে ইসলামপন্থী হয়ে গেলেন? বিস্ময় জাগানিয়া এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। কবির নিজের ভাষায়-
"আমি এক বছর কারাগারে আটক থাকার সময় আমার স্ত্রী জেলখানায় আমাকে একখানা কুরআন দিয়ে এলে আমি তা অর্থসহ আদ্যোপ্রান্ত পাঠ করা শুরু করি। আর প্রথম পাঠেই আমার শরীর কেঁপে ওঠে। এর আগে কোনো গ্রন্থ পাঠে আমার মধ্যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি। যেন এক অলৌকিক নির্দেশে আমার মস্তক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।'
মূলত এরপরই কবি মার্ক্সবাদী দর্শন ত্যাগ করে ইসলামী জীবনদর্শনে উদ্বুদ্ধ হন। দীর্ঘ কয়েক যুগ যে বামপন্থী চিন্তাচেতনা আকড়ে ধরে ছিলেন সেটা ত্যাগ করে হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর ডানপন্থী! অকল্পনীয় পরিবর্তনই বটে। তবে তার এই পরিবর্তন দেশের সেক্যুলার সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা আল মাহমুদকে বর্জন করতে লাগল। আর বামপন্থীদের বিরাদভাজন হয়ে কোন কবি-সাহিত্যিকই টিকে থাকতে পারেন না। অধিকাংশ সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল বামপন্থী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার কারনে মিডিয়াতে কবিকে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকলিস্টেড করে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে তার সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য পাঠ্যবই থেকেও তার কবিতা অপসারন করা হয়েছে।.
এক সময় সেক্যুলারপন্থী হওয়ার কারনেই সম্ভবত তার অধিকাংশ সাহিত্য অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট। আর এগুলো লিখেই এক সময় তিনি নাস্তিকদের কাছে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র বামপন্থা থেকে ডানপন্থায় কনভার্ট করার কারনে আজ তাকে বাতিলের খাতায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। আজ তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে, কিন্তু মিডিয়া দেখেও না দেখার ভান করছে। সচেতনভাবে তাকে বর্জন করা হচ্ছে, অযত্ন আর অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। হয়তো এটাই তার প্রথম জীবনের ভুলের শাস্তি। তবে এটাও সত্য, শেষ ভাল যার, সব ভাল তার! ইসলামও অনেকটা এই নীতিতেই বিশ্বাসী। আর তাই জীবনেও শেষ মুহুর্তেও যদি কেউ সত্য পথের অনুসারী হয়ে মারা যায় তবে তাকে সফল বলা যায়। ইসলামপন্থীরা পৃথিবীতে অবহেলিত হবে, লাঞ্ছনার শিকার হবে, কষ্ট ভোগ করবে- অন্যদিকে অবিশ্বারীরা অর্থ-বিত্ত-খ্যাতি নিয়ে সুখ ও সাচ্ছ্বন্দের জীবন অতিবাহিত করবে এটা খোদ কুরআনের ভবিষ্যদ্বানী- যা সত্যে পরিণত হতে বাধ্য। আর তাই আল মাহমুদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তিনি যদি প্রকৃত ঈমানদার হন, তবে তার ভাল কাজের প্রতিদান পরকালে অবশ্যই পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×