পুরো বিশ্বজুড়ে যখন খাদ্য শষ্যের তীব্র সংকট শুরু হয়েছে, খাদ্যের দাম বাড়ছে পুরো বিশ্বে,তখন আমাদের সরকার সাধারন জনগনের হাতে খাদ্য শষ্য পৌঁছে দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন কর্মসূছী। সরকাররের এই মহতী উদ্যেগ প্রসংশনীয়।
দেশে খাদ্য শষ্যের উৎপাদন বৃদ্বি তথা কৃষিখাতকে উন্নতর করার জন্য আমাদের সরকারের রয়েছে কৃষি বিভাগ নামের একটি বিভাগ। আর এই কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার নামে রয়েছে এক বিশাল কর্মী বাহিনী যাদের মূল কাজ হচ্ছে তৃনমূল পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন এবং সহায়তা দেওয়া। এই সমস্ত ব্লক সুপারভাইজারদের কর্ম সময় অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের মতই এবং কর্মস্থান হচ্ছে মাঠে।ব্লক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ নিত্য নতুন উদ্বাবিত প্রযুক্তি কৃষকদেরকে জানিয়ে অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়তা করেন।
দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে আমাদের সরকারের অন্যান্য কর্মচারীদের মত কৃষি বিভাগের এই সব ব্লক সুপারভাইজাররাও পুরোপুরি দূর্নীতিতে লিপ্ত। আপনি যদি মফস্বলে বসবাস করে থাকেন তাহলে চোখবুলিয়ে দেখুন আপনার এলাকার ব্লকসুপারভাইজার কে আপনি বা আপনার এলাকার কৃষক চিনে কিনা? এরা পুরো দিনে কাজ করে ১ /২ ঘন্টা আবার কোন কোনদিন মোটেওনা,যা সম্পূর্ন নিজের ইচ্ছার উপর।সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এদেরকে অনেক কীটনাশক ঔষুধ দিয়ে থাকে কিন্ত এরা তা কৃষকদের মাঝে বিক্রিকরে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতিটি কৃষকের কাছে গিয়ে তাকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারের জন্য উৎসাহিত করা এদের কাজ হলে ও আমাদের অনেক কৃষক এদের কে চিনেন না, কারন এরা মাঠ পর্যায়ে তেমন ঘুরাঘুরি করেন না।
আমাদের সরকারের উচিত খাদ্য শস্যের এই সংকটময় সময়ে কৃষি উন্নয়নে নিয়োজিত কৃষি বিভাগের এই সকল কর্মচারীদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি সকল কৃষকের মাঝে পৌঁছে দেওয়া । যাতে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে কম খরছে বেশী ফসল ফলাতে পারেন, এতে করে দেশে খাদ্য শস্যের অভাব দুর হবে এবং দাম কমবে,যাতে করে উপকৃত হবে পুরো দেশ।