
অতি উৎসাহি সুশীল নাগরিকদের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো দেখে অত্যন্ত আতঙ্কিত বোধ করছি! ...
যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, যে কোন সময় ঘরে কুরআন শরীফ থাকাটাকেও অবৈধ ঘোষণা করা হবে সরকার থেকে এবং যাদের ঘরে কুরআন বা হাদিসের বই রাখা আছে তাদের সবাইকেই জঙ্গি ঘোষণা করা হবে।
ঘরে রাখা কুরআন শরীফ আর হাদিসের বইগুলো বোধহয় এবার লুকিয়ে রাখার সময় হয়ে গেছে!!
... লজিক টা কিন্তু সিম্পল - স্বয়ং কুরআন শরীফেই তো জিহাদের কথা বলা হয়েছে, তাই না?!
...সুতরাং কুরআন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করো এবার!
সেদিন এমনই একজন সুশীল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে,
'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্কুলে কেন সেই ধর্ম শিক্ষা দেয়া হবে যেই ধর্ম বইতে জিহাদের গুণগান গাওয়া হয়, যেই ধর্ম গ্রন্থে মূর্তি পুজা কে হারাম করা বলা হয়... প্লিজ আপনি এই ধর্ম শিক্ষা কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন!'
ভাই, উনি যেই ধর্ম শিক্ষার কথা বলেছেন, সেই ধর্ম শিক্ষা আমি আপনিও পরেছি... সেটা পড়ে কি আপনার আমার মাথায় এমন খুন খারাবির চিন্তা এসেছে? আসে নাই। আপনার মাথাতেও আসে নাই, আমার মাথাতেও আসে নাই! কিন্তু উপরে যে সুশীলের উদাহরণ দিলাম, ওনার মত সুশীলদের মাথায় এসেছে। উনি এবং উনার মতো সুশীলেরা মনে করেন স্কুলের এই প্রাথমিক ধর্মশিক্ষা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে! এই রকম হাস্যকর চিন্তাভাবনার কারণটাও সিম্পল... কারণ এরা উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলিম! ধর্ম সম্পর্কে এদের জ্ঞান ঈদ ফ্যাশন, সেহরি চেক ইন, ইফতার পার্টি, জুম্মার নামাজ আর খুব বড়জোর মৃতদেহের জানাজা পর্যন্ত। এর বাইরে ইসলামের সাথে এদের আর কোন সম্পর্ক নেই। তাই জন্যেই এমন আজব উদ্ভট কথা বলে বেড়ানো এদের জন্য সহজ!
...কুরআন বা হাদিসে যেই জিহাদের কথা বলা হয়েছে, আইএস কথাকথিত জিহাদের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যে কোন ভাবেই কোন এঙ্গেলেই তার ভেতর পড়ে না, সেই সত্যি টা এই বোধগম্য হবে না কখনও, কারণ গলদটার শুরু এদের পূর্বপুরুষদের থেকেই! ধর্মের ব্যাপারে পূর্ব পুরুষরা এদের কিছুই শেখায় নি। ঠিক একই কারণে শিক্ষিত মেধাবী তরুণদের মাথা বিগড়ে দেয়াও জঙ্গিদের সংগঠনগুলোর জন্য সহজ হচ্ছে। এই হতভাগ্য তরুণেরা যদি ইসলামের প্রকৃত অর্থ আর আদর্শের ব্যাপারে পরিবার থেকে একটু হলেও আগে থেকে ধারণা পেত, তাহলে তাদেরকে জঙ্গিবাদের লাইনে আনাটা এত সহজ হত না!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


