বহু কেচ্ছা-কাহিনী ও ইন্সপাইরেশনের পরে অবশেষে একটা ল্যাপটপের সুযোগ্য মালিক হওয়া সম্ভবপর হলো।
উপরে যে দু'টো লিংক দেয়া আছে, দু'টোতেই ল্যাপটপ কেনা সম্পর্কিত যাবতীয় সব তথ্য আছে। পড়ে নিবেন। যারা আগের পোস্টে নানা রকম তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা।
৪২-৪৩ হাজার টাকা বাজেটে বর্তমান বাজারে ল্যাপটপ অহরহ হলেও আমি কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। নেটবুক কিনতে চাইনি কারণ নেটবুকে অপটিক্যাল ড্রাইভ নেই এবং নেটবুকে মাল্টিটাস্কিং করা একটু ধীরগতির। তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি হওয়ায় নেটবুকের প্রতি আকর্ষণ ছিল। আরেকটা কারণ ছিল নেটবুকগুলো বর্তমান বাজারে দেখতে অনেক সুন্দর। দেখলেই পছন্দ হয়।
গত ১০ই মার্চ এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চলে গেলাম ডিজিটাল এক্সপোতে। সমস্যায় পড়লাম, যেটাই পছন্দ হয়, সেটাই নেটবুক। আর আমার চাহিদা ছিল ১৩.৩" স্ক্রিন। কারণ, এতে ব্যাটারি কিছুটা কম টানে। কিন্তু মেলায় ১৩.৩" পেলাম না বললেই চলে। যেগুলো পাই একটাও পছন্দ হয় না। পরে তোশিবার একটা পেয়েছিলাম কিন্তু দাম কমায়ে সর্বনিম্ন আসলো ৫০ হাজার টাকা। কিনলাম না।
মেলায় ঢুকেই সনি ভায়ো পছন্দ হয়ে গেল। ৮৪ হাজার টাকার ল্যাপটপ বিক্রি করছে ৬৯ হাজার টাকায়। যারা ভায়ো কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ ছিল মেলায়। তবে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিল ম্যাকবুক প্রো ১৩.৩"। সেটা কেনার স্বপ্ন দেখার বেশি কিছু করার নেই তাই ওটার দিকে আর নজর দিলাম না।
আমার চাহিদা ছিল কোর আই থ্রি। কিন্তু আমার কোর আই থ্রি প্রয়োজন কি না ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কারণ আমি খুব হাই কাজ করি না সাধারণত। তবুও কোর আই ফাইভ, সেভেনের যুগে ন্যূনতম থ্রি নিতে না পারলে কেমন যেন লাগছিল। যাই হোক, অবশেষে পছন্দ হলো ডেল ইন্সপিরন ১৪আর।
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম দাম চাইলেও মোটামুটি ৪৫ হাজার টাকা ছিল এটার দাম। কোর আই থ্রি, ৩২০ গিগাবাইট, ২ গিগাবাইট, ডিভিডি রাইটার, ১৪" ডিসপ্লে। রায়ানসে এর দাম দেখলাম ৪৭ হাজার টাকা দেয়া। মেলা উপলক্ষ্যে ২ হাজার টাকা ছাড়। একেবারে খারাপ না। তবে সঙ্গে কিছু ফ্রি ছিল না।
সেটাই পছন্দ করে আসলাম।
পরদিন দুপুরের দিকে কিনতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম এটায় টাচপ্যাড মাল্টিটাচ সাপোর্ট করে না। ১৫আর-এ মাল্টিটাচ আছে কিন্তু এটায় নেই। মত ঘুরে গেল। আবার ঘুরে দেখলাম পুরো মেলা। অবশেষে পছন্দ হলো আসুস এ৪২এফ।
১৪" ডিসপ্লে, এইচডি গ্রাফিক্স, ২ জিবি (এক্সপেন্ডেবল), ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেম, ৫০০ জিবি হার্ড ড্রাইভ, ফেস রিকগনিশন লগইন ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে এতে। সঙ্গে রয়েছে মাল্টিটাচ জেসচার। এটাই পছন্দ করে নিয়ে আসলাম।
দাম নিল ৩৯, ৩০০ টাকা। সাথে টি শার্ট, ব্যাগ, কিউবি মডেম ফ্রি। ব্যাপক লাভ।
হয়ে গেল আমার একটা ল্যাপটপ।
দেখুন আমার নতুন ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি।
ম্যাকবুক প্রো পোজ (অ্যাপলের সাইটে ম্যাকবুকের ছবির পোজ দেখে আসুন, বুঝবেন। )
অবশ্য এখন ল্যাপটপের জন্য আলাদা ইউএসবি কিবোর্ড কিনবো কি না ভাবছি। টাইপ করতে হয় বেশ। ল্যাপটপের কি বোর্ডে বেশি টাইপ করা বোধহয় ঠিক না। সেক্ষেত্রে কিনতে হবে। আবার বাড়তি বহন করতে হবে সেটাও ঝামেলার মনে হয়।
যাই হোক, অন্তত লোডশেডিং-কে বুড়ো আঙুল দেখানোর একটা উপায় পাওয়া গেল।