somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কষ্ট হলেও একবার পড়ুন প্লিজ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ল্যাব এইডের সামনে বাবার বয়সী এক ব্যাক্তিকে দেখা
গেলো করুণ আর্তনাদ করে কাঁদতে....
কেউই সেদিকে নজর দিলো না.......
ধানমন্ডি ৪ নাম্বার রোডের মাথায় পর পর দুইদিন ওই একই
ব্যাক্তিকে আবার দেখা গেলো।

অমায়িক চেহারা, খুবই ভদ্র স্টাইলের কথাবার্তা।.কখনো
নীরবে চোখের জল ফেলছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আবার
কখনো চিৎকার করেই কাঁদছে.....
তার চোখের জলের দিকে কেউই দৃষ্টিপাত করছে না......
উত্তরা এয়ারপোর্ট এলাকায়ও নাকি একই ব্যাক্তিকে
দেখা গেছে রাস্তায় ধুলাবালিতে গড়াগড়ি খেয়ে
হাহুতাশ করতে.....
সবাই নাকি তামাশাই দেখেছে......!.
সর্বশেষ, সোনারগাঁওয়ে ভদ্রলোককে বুকে ব্যাথা নিয়ে
প্রচন্ড ঠান্ডায় কোন এক রাস্তার পাশেই রাতে শুয়ে
থাকতে দেখা গেছে......

এইটুকু পড়ে মনে মনে অনেকেই যখন ওই লোকের ব্যাপারে
অনেক নেগেটিভ কিছু ভাবছেন, তখন আমার এক পরিচিত
ভাই বের করে এনেছে এক বিরাআআআআট লজ্জাজনক
পজেটিভ কাহিনী!

আসুন নিজ দায়িত্বে একটু ইজ্জতের সহিত লজ্জিত হই
-ভদ্রলোকের নাম- হারুন-অর-রশিদ
রাজশাহী জেলার, বোয়ালিয়া থানার, চন্দ্রপুর গ্রামের
বাসিন্দা তিনি।

লজ্জা - ১
তিনি তার কর্ম জীবনের সবটাই অন্যর সন্তানকে
শিক্ষাদানে ব্যায় করেছেন।
বগুড়া আজিজুল হক কলেজ,
রাজশাহী সিটি কলেজ এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহ
আনন্দমোহন কলেজে পদার্থবিদ্যা ডিপার্টমেন্ট এর
অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।.......
সোজা কথা- তিনি একজন অধ্যাপক/শিক্ষক।

লজ্জা- ২
রশিদ স্যারের থেকে জ্ঞানার্জন করে অনেক আলালের
ঘরের দুলাল-দুলালীরা আজ হাজার হাজার টাকা
বেতনের চাকুরী করছেন। কেউ কেউ এসি রুম ওয়ালা
অফিসের "স্যার"ও হয়ে গেছেন!

লজ্জা- ৩
কিন্তু তাদেরকে "স্যার" বানানোর কারিগর "রশিদ
স্যার" এখন ২/৪/৫/১০ টাকার জন্য রাস্তায় গড়াগড়ি
খাচ্ছে। শীতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে
মাটিতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন। প্ল্যাকার্ড বানিয়ে
তাগলায় ঝুলিয়ে সবার কাছে সাহায্যর হাত পাতছেন.....

কেন জানেন???????

রশিদ স্যারের ১২ বছর বয়সী একমাত্র আদরের ছেলে
'কৌশিক' ক্যান্সারে আক্রান্ত। ডাক্তারেরা বলেছে
কৌশিক কে সুস্থ করা সম্ভব।

প্রতি ২১ দিন পর ইঞ্জেকশন দিতে হয়। মূল্য ৪০ হাজার
টাকা। ইন্ডিয়ায় নিয়ে ট্রিটমেন্ট করাতে মোট খরছ হবে
৭ লক্ষ টাকা।

১০ দিন পরেই ইনজেকশন দেওয়ার তারিখ, এখনো টাকা
ম্যানেজ হয়নি। তাইতো সন্তানের জন্য পাগল বাবা ছুটে
বেড়াচ্ছেন সবার দুয়ারে।

880 1854 324302
অধ্যাপক রশিদ সাহেবের নাম্বার। বিকাশ করা আছে এই
নাম্বারে।

উঁহু! টাকা বিকাশ করতে বলবো না। এই পোস্ট শেয়ার
করতেও বলবো না কাউকে.........
শুধু ১ মিনিট কল দিন। সন্তানের জন্য বাবার আকুতি কতটা
নির্মম তার বাস্তবতা অনূভব করতে পারবেন।
.
কেউ আমার একটা উপকার করুন প্লিজ....
Md Rashid
A/C No- 135.101.98135
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
.
হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করা আর এসি রুমের স্যার
হওয়া অধ্যাপক রশিদ সাহেবের কোন ছাত্র/ছাত্রীকে
খুঁজে পেলে উপরের একাউন্ট নাম্বার আর বিকাশ নাম্বার
টা দিয়ে দিয়েন।
.
সাথে রশিদ "স্যার"- এর গলায় ঝুলানো প্ল্যাকার্ডের
লিখাটাও দিয়েন-"আপনার যাকাত, মানত কিংবা দান
পারে একজন অসহায় বাবার সন্তানকে সুস্থ করে বাবা-
মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিতে"...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×