- আপনার নাম?
- আনন্দ চৌধুরী।
- আরে আপনার নাম জানতে চাচ্ছি? বাবারটা না।
- এটা আমারই নাম।
- ও। আপনি কোন ধর্মে বিশ্বাসী?মানে আপনার নাম থেকে কিছু বোঝা যাচ্ছেনা। তাই জিঞ্জেস করলাম।
- কোন ব্যাপার না। বছরে অন্তত ১২ বার আমার এই প্রশ্ন শুনতে হয়, তাই এখন আর কিছু মনে করিনা।
কথাগুলো কানে যেতেই মনে পরে গেল, বহুদিন আগের কোন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম খাটো মতো, এক ভদ্রমহিলা immigration অফিসারের সাথে কথা বলছেন। চেহারাটা দেখা যাচ্ছেনা, মাথায় ঘোমটা দেয়া।
হ্যা, ঠিক যেন এই প্রশ্নগুলোই করে ছিলাম আমি। আশ্চর্য? এতো বছর পরও এই সামান্য ঘটনাটা মনে আছে? তাও আবার একজন স্বল্প পরিচিতার সামান্য আলাপ-চারিতা? হায়রে মানুষের স্মৃতি? নিজের অজান্তেই হাসি পেল। খেয়াল করলাম ভদ্রমহিলার চলে যাওয়াটা। চেহারাটা দেখা গেলনা, তা নিয়ে অবশ্য আফসোসও হলো না।
- স্যার, আমি next flight টার দিকে নজর রাখছি।
- Ok.
"আমার এই চলে যাওয়াটা , কতটুকু মেনে নিতে পারবে আব্বু- আম্মু তা জানিনা। কেবল জানি, আমি তাদের খুব কষ্ট দিলাম। আমার কেন জানি আর থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না, পারছিও না। শ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসতে চাইছিল বেশ কদিন যাবত। আত্বহণনের চাইতে, পালিয়ে যাওয়া অনেক ভালো। তাই আবার চলেই যাচ্ছি। পারলো ক্ষমা করে দিও।"
Message টা লেখা শেষ করতেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো, অপরাধী মনে হলো নিজেকে। Send option টাতে টিপ দিতেও যেন অনেক শক্তি চাই। চোখ বন্ধ করে, মনে মনে আরো একবার বললাম কথাগুলো। যেন আব্বু-আম্মুর কানে ফিস্ফিসিয়ে বলারই বৃথা চেষ্টা করা। অবশেষে Send করে দিয়ে Cell phone টা Switch off করে দিলাম। জানি, এরপর কি হবে। বাসা ভর্তি আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু, পরিচিত , অপরিচিত অনেক মানুষের ভির। কেবল আমি নেই। যাকে এই মুহুর্তে প্রয়োজন। যার জন্য এই আয়োজন। সেই আমি এখন Airport launch এ বসে। কাজটা ঠিক করলাম, না ভুল করলাম - জানিনা। কেবল জানি, আমি বুঝিবা নিরুপায়। যুদ্ধ করবার সার্মথ্য আছে কিন্তু সাহস নেই, তাইতো পালিয়ে যাচ্ছি। চেয়েছিলাম যুদ্ধ না করে, শান্তি চুক্তি করতে। চেয়েছিলাম আমার মনের কথা সবাইকে বোঝাতে। মেনে নিতে না চাইলেও আমি কোন কষ্ট পেতাম না। কিন্তু অন্তত আমাকে আমার মতো বাচঁতে দেবার মতো ছাড়টুকুও কি দেয়া যেতনা?
কোথায় আছে, মেয়েটা?
এখন আর মেয়েটা নেই, নিশ্চয়ই রাসভারী ভদ্রমহিলা হয়ে গেছে। প্রথমবার যখন দেখা হয়েছিল, ওর চিৎকার চেচামেচিতে পাগল হবার যোগার হয়েছিল।
সুরমার ধারে কানাই ঘাটের এইদিকটায় বিকেলের দিকে অনেকেই এসে বসে, বিশেষ করে ছেলে ছোকড়া আর জুটিরা। তাই বেশ কোলাহল। সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছিল, একা একলা একটা মেয়ে একটু নির্জনে বসেছিল। আমিও বাসা থেকে বের হয়ে ছিলাম হাটতে, তাই Police এর Uniform পরা ছিলামনা, ID ও সাথে ছিলনা। তখনও আমার চাকরীর বেশি দিন হয়নি, তাই পুলিশসুলভ আচরন আত্নস্থ করা হয়ে ওঠেনি। কি যেন মনে হলো, মেয়েটাকে দেখলাম। Police.....Police ভাব নেবার চেষ্টায়, একটু জিজ্ঞাসা করতে যেতেই পরলাম উল্টো বিপদে।
কথাগুলো আজো মনে পরে,
আমি একা না দোকা তা দিয়ে আপনার কি? দুজন বসে প্রেম করলেও দোষ, একা ভদ্রভাবে বসে আছি তাতেও আপনার সমস্যা। কেন মেয়ে হয়েছি বলে কি আমার কোন ইচ্ছে থাকতে নেই .....আরো কতো কি? শেষে দেখা গেল , বেশ ভীর হয়ে গেল আর মেয়েটার বাকপটুতার কারনে সবাই মেয়েটার পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাকেই শাসাতে লাগলো। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল, তাই পরিচিত এক এক ভদ্রলোকের কারনে রক্ষা পেয়েছিলাম। নতুবা সেই মেয়ের কারনে সেদিন হয়তো গনধোলাই না হলেও কিল-ঘুষি দু-একটা খেতে হতো।
কি আশ্চর্য, আমি হঠাৎ সেই দশ-বার বছর আগের হালকা-পাতলা গড়নের নবীন Police Officer এর কথা ভাবছি। BCS দিয়ে ছিলাম হুযুগে, অনার্স শেষ হবার আগেই। তাই মাস্টার্স শেষ করতে করতেই হয়ে গেলাম Police Officer। সব কিছুই যেন স্বপ্ন আর বাস্তবের এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া। প্রথম পোষ্টিং সিলেট।
মাস খানেক পর এলাম বাড়িতে, ময়মনসিংহে। মা যেন আমার চেয়েও বেশি উত্তেজিত। কখোনবা আমার বিয়ে নিয়ে, কখোনো বা ছোট বোনের জন্য। এরই মাঝে, মায়ের আদেশ মেয়ে দেখতে যেতে হবে।
আমার বন্ধুরা তখনও মেসে থাকে, তাস পিটিয়ে রাত পার করে দেয়। যায় বেড়াতে গাঢ়ো পাহাড়ের কোলে সেই চোলাই মদের সন্ধানে । আর আমার মা কিনা আমার স্বাধীনতার পায়ে শেকল পরাবার পায়তারায় ব্যস্ত। যতই বোঝাবার চেষ্টা করি, কোন লাভ নেই। তার কেবল এক কথা, সব মায়েরা যেন বসেই আছে তার সোনার ছেলেটার গলায় মেয়ে ঝুলিয়ে দেবার চেষ্টায়। নতুবা সব মেয়েরাই যেন ডাইনী।
হায় কপাল! Biodata দেখবার প্রয়োজন বোধ করলাম না । কেননা শুনলাম, মেয়ে একজন নাবালিকা। মাত্র SSC দিয়েছে, এখানে নানার বাড়ি। খুব প্রভাব- প্রতিপত্তি ওয়ালা, বাবা সরকারী বিরাট Officer। আর এর সবকটি কারনই আমার মায়ের পচ্ছন্দের । মা নাকি মেয়ে দেখেছে, তার খুব পচ্ছন্দও হয়েছে। আমার মনে হচ্ছিল, আমি বুঝি নাক সমান পানিতে ডুবে আছি।
উপায়ান্ত না দেখে, রাজি হলাম। শর্ত একটাই , মেয়ে পচ্ছন্দ না হলে , সব এখানেই শেষ। গেলাম আমার এক আত্নীয়ের সাথে , আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। তাকে জানালাম, আমার ইচ্ছার কথা এবং আরো বুঝলাম - এই বিয়েতে না বলাটা বিরাট মুসকিল। ঠিক হলো, আমারটা কোন ভাবেই মেয়েটাকে না বলবোনা । তবে অপচ্ছন্দ হয় এমন কাজ করে আসবো, যেন মেয়ে নিজেই না বলে দেয়।
বেশি লম্বা না, তবে কেন জানি খারাপ লাগছিলনা দুর থেকে। কাছে আসতেই মনে হলো, কোথায় যেন দেখেছি?
মেয়েটা এসেছে ওর খালার সাথে। সেই খালা আর আমার এই আত্নীয় আবার একই কলেজে অধ্যাপনা করেন। কথাবার্তা হচ্ছিল খালার সাথে, ততক্ষনে বুঝে গেছি, মেয়ে আসলে পাত্রী দেখাদেখির কিছুই জানেনা। সে বেশ স্বাভাবিক আচরন করছে, যেন খালার colleague এর সাথে রাস্তায় হঠাৎ দেখা। তারা দুই colleague, তাই কলেজের প্রসংগে কথায় কথায় , হেটে হেটে এগোবার ভান করা হলো। চোখের ইসারায় বুঝলাম, আমাকে মেয়েটার সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। আর আমি রাজ্যের অস্বস্তি নিয়ে মেয়েটার পাশে হাটা শুরু করলাম । আর মেয়েটা দেখি - বেশ অনুগত ভাগ্নীর মতো তাদের কথা শুনছে আর আমার পাশে পাশে এগোচ্ছে।
ভদ্রতাবশত নাম জানতে চাইলাম। যদিও খালা প্রথমেই নামটা বলেছিল। এবার শুরু হলো, আশ্চর্য হবার পালা।
- আপনি অদ্ভুদ মানুষ তো, আপনি পাত্রী দেখতে এসেছেন আর পাত্রীর নামই জানেন না? আনন্দ চৌধুরী।
- আমি আপনার নাম জানতে চাচ্ছি?
- এটা আমারই নাম।
- না মানে কিছু মনে করবেন না । নামটা ছেলেদের নামের মতো তাই আর কি।
- আপনার মতো Police Officer আছে বলেই দেশটার এই অবস্থা। আপনি কি আমাকে সত্যিই চেনেননি? সেই যে সুরমার পাড়ে?
আরে , এ যে সেই মেয়ে!
- আপনি? আমি সত্যই চিনতে পারিনি। সেদিন আপনাকে অনেক Mature দেখাচ্ছিল।
- Its ok। আপনি কি সত্যই এতো বোকা?
- তার মানে?
- না মানে, আপনি কি জানেন এই Proposalটা কেন দেয়া হয়েছে? আমার খালার ধারনা আমি SSC পাশ করবোনা। আর বুঝতেই পারছেন SSC ফেল পাত্রীর চেয়ে, SSC Candidate আর High Official Government Officer এর মেয়ের প্রস্তাব ভালো। তাই এই ব্যবস্থা।
- আপনি কি আসলেই SSC পাশ করবেন না? যতদুর জানি আপনার পরিবারের সবাই তো অনেক পড়ালেখা করা।
- কি জানি। এর আগে তো আর SSC দেইনি। আমার পরিবারের সবাই দিয়েছে, তারা যদি মনে করে আমি পাশ করবো না তবে, সত্য হলেও হতে পারে। কথা আস্তে বলুন। আমার খালা শুনতে পারলে কষ্ট পাবেন।
ব্যাপারটা তখন মজাই লাগলো। বুঝলাম , মেয়েটা যত সহজ সরল ভাব দেখাচ্ছিল তা তার অভিনয়, সেও চাচ্ছে না বিয়েটা হোক। বুঝলাম , এই মেয়ে পাশও করবে, বিয়েও করবেনা। সুতরাং আমি বিপদ মুক্ত। তাই আমিও চালিয়ে গেলাম। খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে বললাম - তাহলে?
- না মানে, আমি পাশ করলে তো ভালো কথা, কিন্তু ফেল করলে? আর ভেবে দেখুন SSC ফেল মেয়ে বিয়ে করাটা কি রকম যেন শোনায়।
- তাহলে বলতে চাইছেন , SSC পাশ করলে আপনার বিয়েতে কোন সমস্যা নেই। তাই তো?
- না মানে , আমার কোনটাতেই সমস্যা নেই। বরং SSC তে যদি ফেল করেই ফেলি, তাহলে বিয়েটা করে ফেলেই ভালো। বাবা-মা আর তখন বেশি বকা দেবেনা।
- আর পাশ করলে?
- পাশ করলে তো করলামই।
- না, আপনি কোনটা চান? পাশ করতে না বিয়ে করতে?
- আসলে আমার ইচ্ছা বলে কিছু নাই, বোর্ড তো আর আমার ইচ্ছের উপর আমাকে পাশ করাবেনা, করাবে খাতায় লেখার উপর। আর আমি যা লিখেছি , তাতে মনে হয় পাশ করবো না। আর আপনি কেন একটা SSC ফেল মেয়েকে জেনে শুনে বিয়ে করবেন?
- না আপনি পাশ করলে তো আর বিয়েতে কোন সমস্যা নাই, তাই না?
- আচ্ছা, তাহলে আমার পাশ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়? কিন্তু যদি ফেল করি ? তাহলে?
- আর যদি ফেল করেই যান, তাহলে না হয় জেনে শুনেই বিয়েটা করলাম।
- আচ্ছা।
- তার মানে, আপনি পাশ-ফেল যাই করেন না কেন , বিয়ে তো করতেই হবে। তাইনা? তাহলে আপনি পাশ করবেনই।
- না মানে , না ও তো করতে পারি, তাইনা?
- আচ্ছা, তাহলে এবার বলুন আপনি কি চান? পাশ করতে না ফেল করতে?
এসময় মেয়েটার খালা বিদায় নেবার জন্য কথা তুললেন আর অনুরোধ করলেন উনাদের বাড়িতে বেড়াতে যাবার জন্য। ভদ্রতা বশত মাথা নাড়লাম। আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম মেয়েটা রিক্সায় উঠে চলে গেল। অদ্ভুত ভাবে খেয়াল করলাম, যে মেয়ের সাথে বিয়ে করবোনা বলে এতো তালবাহানা। আমার হঠাৎ তার সাথে রিক্সায় চড়ে বেড়াতে মন চাইলো। আমার অনুভূতির কথা জানাতেই আমাকে নিয়ে শুরু হলো খোচানো।
**************************************************
জানি না, কি আছে সামনে ? এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাম, এখন কেবল এই পাসপোর্ট আর ক্রেডিট কার্ডগুলো সাথী করে পাড়ি জমাচ্ছি সাতসমুদ্রের ওপাড়ে। জানিনা, কোথায় থাকবো ? কার কাছে যাবো ? কেবল জানি, নিরাপদের আশ্রয় বাবা-মায়ের কোল ছেড়ে, সব ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে, অনিশ্চিত পৃথিবীর দিকে পা বাড়ালাম সারা জীবনের জন্য।
- তাহলে আমি ঠিকই বুঝেছিলাম।
ভাবনায় ছেদ পরলো, হঠাৎ। সম্বিৎ ফিরে পেতেই দেখি , অপরিচিত এক ভদ্রলোক সামনে দাড়িয়ে। অপরিচিত কি? চেহারাটা কেন জানি চেনা-চেনা লাগছে।
- চিনতে পারলেন না তো? চিনবার কথাও না। আমিও মনে হয় চিনতে পারতাম না, যদিনা আপনার সেই নাম-পরিচয় বিভ্রান্তিটা না শুনতাম।
বসতে পারি?
- জ্বী। না মানে, আমার সাথে কি আপনার কোন কথা আছে? আপনার পরিচয় ? আমি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
- আমি তো আগেই বলেছি, চিনতে পারার কথা না। আপনার নানার বাড়ি ময়মনসিংহ, ঝালোকাঠি বেড়াতে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সাথে। এবার কি মনে পরে এই "ঠোলা" কে? আমি আহমেদ।
- ও হ্যা। আমি দুঃখিত। বহুদিন পর, তাই চিনতে পারিনি।
- আপনি প্রতিবারই চিনতে সময় নিয়েছেন কিন্তু। তাই দুঃখিত হবার কিছু নেই।
-এই নিয়ে কবার দেখা হলো আমাদের? চারবার, না? প্রথমবার সিলেটে, পরে ঢাকায়, ময়মনসিংহে , ঝালোকাঠি, আর এবার আবার এই দেশ-বিদেশের মাঝখানে।
- না, ঠিক "দেশ-বিদেশের মাঝখানে" না। আপনি এখনো দেশেই আছেন, তবে আর কতক্ষন আছেন তা অবশ্য আন্দাজ করা যাচ্ছে। তা, কোথায় যাচ্ছেন? ইউএসএ না ইউকে?
- এইতো, আপাদত ইউকে। আর আপনি?
- বেশ। আমি? আমি প্রতিদিনই এই দেশ-বিদেশের মাঝে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আপনাদের পাহারা দেই। যেন দেশে নিরাপদে ঢুকতে পারেন দুঃশ্চিন্তা নিয়ে- আর কোনো রকমে বের হয়ে যেতে পারেন নিঃশ্চিন্তে।
- আগের মতই আছেন।
- বদলে দেবার কোন কারন তো ঘটেনি।
- আপনি তবে অনেক সৌভাগ্যবান।
- হ্যা, তা বলতে পারেন। তবে বদলে যাবার কোন উপলক্ষ্য পেলে মন্দ হতো না। তবে আপনি কিন্তু অনেক অন্য রকম হয়ে গেছেন। অবশ্য মেয়েরা একটু সিনিয়র হয়ে গেলে, স্বল্পভাষী হলে ভালো মানায়। তবে আপনার মাঝে কেন জানি একটা অন্য রকম পাল্টে ....
- থাকনা। এসব কথা। তা আপনার বুঝি এখন Airport এ পোষ্টিং?
- এই তো? আপনার flight কখন?
- আর একঘন্টা।
- সাথে luggage নেই? মানে hand luggage ও দেখছিনা, আবার সাথেও কেও নাই? একা যাচ্ছেন? অবশ্য ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে ফেললাম।
- না, ঠিক আছে। একাই যাচ্ছি, আর যা কিছু নেবার তা পকেটে , তাই hand luggage নেবার প্রয়োজন হয়নি।
- আসলেই, সেবার আপনি এসএসসিটা পাশ করা নিয়ে টেনশনে না থাকলে, আমার কপালটা খুলে যেত। জানেন কি? প্রতিদিন এই মহিলাদের বিশাল আকৃতির Beauty Box দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেলাম।
-ভালোই মনে আছে তো আপনার।
আবার দেখা হবে। রেলষ্টেশনে.......২য়পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



