জীবনের অলিতে-গলিতে সোম অনেক ঘুরেছে, শুধু তাই নয় ফাঁদেও পড়েছে। সব থেকে জোরালো ফাঁদ - আসে নী-র-বে যায় স-র-বে। বলে না চুপকে সে ...।
শুধু যাবার সময় বুঝিয়ে দিয়ে যায় - আমার যাবার বেলায় পিছু ডাক..। কিন্তু কেন???
কিসের ডাক?? কেনই বা ডাক???
এই সময় কালে নিউজ পেপার, অন্লাইন সোশাল নেটওয়ার্কিং, অথবা অন্য কোনোও মাধ্যমে সকলেই বলে চলেছি নারী-পুরুষ ভেদ কিছুই নেই। সোমের খুব জানতে ইচ্ছে করে - সত্যিই কি কিছুই নেই!!! যদি নাই থাকল এত কথার দরকারটা কি???
বোঝে না, সত্যিই বোঝে না সোম। আমরা কি সকলেই যে যার দৃষ্টিভঙ্গি অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই?? সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। চিন্তায়-চেতনায় সোম মাঝে মাঝেই বোধ করে সে এগিয়ে, আবার সময়ে-সময়ে মোহিনী নারীর সৌন্দর্য্যের ফাঁদে পড়ে ভাবে চিন্তা-চেতনা সব নিমেষে ধুলিস্যাৎ। সত্যিই ভারী আজব এই মন। আমরা চাই-বা না-চাই মন আমাদের নানান প্রলোভনের মাঝে ফেলবেই। অনেকে বলবেন প্রলোভন, কেউ বা বলবেন প্রকৃতির নিয়ম এটা নিয়ে বেশি না ভাবা ভাল।
সোম নাম রেখেছে আলগা চটক, সামনে এলেই সারা শরীরের আগুন জ্বলে। মন বিদ্রোহ করে। অনেকবার বোঝার চেষ্টা করেছে সোম চেষ্টা করেছে মনকে বোঝাবার। ফল - নীরব প্রেম। ফলাফল - না জানাই ভাল।
সোমের স্বভাবটাই প্রেমে পড়ার। সেই কোন ছেলেবেলায় কো-এড অথচ নারী-পুরুষ তফাৎ কাটে নি। বড় হলে বোঝে শুধু মন নয় শরীরও জাগে। শরীর ডাকে শরীরি নিয়মে। তার ডাক এড়ানোর সাধ্যি সোমের কই!! সব পেরিয়ে স্পিরিচ্যুয়ালিটি এসেছে, কিন্তু মন কি তার বাঁধন মানে!! বাতাসের খবর বাতাসই রাখে - তার পরিবর্তন শুধু ঋতু পরিবর্তনই নয়, মনেরও সাধ বদলায়। সাধ্য কি আমাদের সাধ কে বাধ সাধে!!
শরীর জাগলে শরীরের নীরব দর্শক হওয়ায় বাঞ্ছনীয় মনে করে সোম। অনেক ভেবেছে, সহজ উপায় বের করার, কিন্তু কিভাবে ?? প্রতিনিয়ত বয়ে যাওয়া এই সীমাহীন চেতনার মাঝে কিকরে বন্ধ করা যায় ইনটেক-আউটটেক-এর খেলা??
সব তত্ত পেরিয়ে দেহতত্তে মজেছে এখন সোম। সেই কোথায় কবে বালতির ফুটো বন্ধের খেলা শিখতে গিয়ে বালতিটাই হারিয়ে ফেলেছে টের পায় নি। এখন বোঝে বালতিটার বোধ না থাকলেই সব সমস্যার শেষ - অর্থে বালতি থেকেও নেই!! ব্যাস আর কোনোওদিনও পা রাখে নি কোথাও।
সেই কোন ছোট্টবেলায় শোনা কথা - একা বোকা। পরে বড় হলে সোম শোনে-জানে-বোঝে - বোকারা সত্যিই একা!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২