somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উত্তর-দক্ষিন-পূব-পশ্চিম

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নানান সময় নানান সাধুর সাথে যোগাযোগ হয়েছে, কেউ ভাল কেউ অতিভাল, কেউবা স্বঘোষিত যোগী আবার কেউভোগী।  সবাই ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার। প্রথমট অবতারটি কে কেউ জানেনা। সময়ের পথে পা বাড়িয়ে নানান সাধুনানান মত দিয়েছেন। তারই মধ্যে বিশেষ এক মানুষের সাথে আলাপ জীবন বদলে দেয় তা সে ভাল বা মন্দযাইহোক না কেন। সংসারে দুই প্রকারের মানুষ আছেন - কেউ সবকিছুই নিজে করছেন, অন্যদল আছেন যেখানেসব ঈশ্বর করছেন। কেউ বলেন রাম নামে ভগবৎ প্রাপ্তি কেউবা কৃষ্ণে। একটু পা বাড়ালে আবার আরেকদল,রামকৃষ্ণে।

 ভারতবর্ষের আকাশে-বাতাসে দীর্ঘদিন ভাসছে বহুবিধ শব্দমালা। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। যে সহে সেরহে। জীব দিয়েছেন যিনি খাদ্য যোগান তিনি। এইসব আরকি। এই শব্দমালার সত্যতা কিছুমাত্র না থাকলে এতদিনটিকত না। কাজেই ধরে নিতেই হয় এগুলির মধ্যে সত্যের পরশ আছেই আছে। কিছুদিন আগে এক প্রথিতযশালেখক, ফিলান্থ্রপিস্ট পা থেকে মাথা অবধি ভাল মানুষের স্পিচ শুনছিলাম। সহজ প্রাণজুড়নো বক্তব্য। ফাঁক নেই,ফাঁকিও নেই। উনি বলে উঠলেন গরীব মানুষের আত্মমর্যাদা অনেক বেশি, এবং উনার গতিবিধির সাতটি রাজ্যেরমধ্যে গুজরাটের অবস্থান সবচেয়ে ভাল। কারন জাতিটা নিজেদের উন্নতির সুযোগ খোঁজে। উড়িষ্যার অবস্থান নিয়েকিছু বলেননি অবশ্য। বঙ্গে উনি কাজ করেননা তাই মন্তব্য নেই। সে যাক গে। আমরা এগোয় আমাদের কথায়।

 প্রতিটি ভৌগলিক অবস্থানের কিছু গুন থাকে যাকে আমরা মাটির গুন বলি। সেই গুনেই পশ্চিমি মাটির লজিকউন্নত, পূর্বের মাটির বুদ্ধি উন্নত। সমস্যার শুরু সেখানেই শুধু লজিকে উন্নতি হবেনা, আবার শুধু বুদ্ধিতেও নয়।কর্মযুক্ত বুদ্ধি ও যুক্তি দ্বারা উন্নত মানুষ আধুনিক সভ্যতা গড়ে তুলেছে। বুদ্ধির ধর্মই কর্মকে ফাঁকি দেওয়া। তাইকখন সে নিজেই ফাঁকে পড়ে যায় জানতে পারেনা। নিজস্বতা বজায় রাখতে গিয়ে ছেঁদো যুক্তির দ্বারা চালিত হয়আর এগিয়ে পড়তে পড়তে পিছিয়ে যায়। কর্মনাশা বন্ধ সর্বনাশা বুদ্ধি এই দুই জুড়ি মিলে নরম মাটির দেশ।

অনেকেই বলবেন পশ্চিমের এই লজিকের ফাঁকে অসৎ ভাব যথেচ্ছ দেখা যায়। কিন্তু উদ্যম কম থাকে না এটাঅনস্বীকার্য।  সৎ - অসৎ বোধ না থাকাটা এই সময়ের দান। তাতে উদ্যম ও কর্মে বিরতি আসে না। বুদ্ধি যুক্ত অসৎভাব পূবকে আরোও বেশি সর্বনেশে করে তুলেছে কারণ সেখানে কর্ম উপস্থিত কম। যত বেশি কর্ম ততই বেশিপিঁয়াজের আঁশ ছাড়ানো মনের শরীর থেকে। শেষে পড়ে থাকে শ্বেতশুভ্র অংশ অর্থাৎ পিয়োর সত্ত্বা যেখানে ঝাঁঝকম স্বাদ বেশি। 

এই সমাজের দুটি নোবেল প্রফেশানে, ডাক্তারি ও উকিলি পেশায়, অসততা বহুলাংশে বিদ্যমান। এর মানে এই নয়সৎ মানুষ নেই এই দুই পেশায়, কিন্তু সামাজিক ডিগ্রেডেশানের ব্যপক প্রভাব এই দুই পেশায় বেশি দেখা যায়।সর্বস্তরে এই দুই পেশায় হিসাব বহির্ভূত টাকা তৈরির প্রবনতা বেড়েছে। ব্যবসায়ী দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে। কমেছেনোবেল সত্ত্বা। এতে সমাজের কতটা ক্ষতি হয়েছে জানা নেই কিন্তু পেঁয়াজের খোসার স্তর বেড়েছে, ঝাঁঝবেড়েছে, দুর্গন্ধী অজান্তেই ঘিরেছে পেশাদুটিকে পূব - পশ্চিম নির্বিশেষে। শুধু লজিক বেশি থাকায় অন্যান্য সেবাজুড়ে পশ্চিমে কিছুটা সতন্ত্রতা দেখা যায়, পূব বুদ্ধি কেন্দ্রিক হওয়ায় সেটুকুও কপালে জোটেনা। পশ্চিমি লজিকবাড়তে-বাড়তে ইনসিয়োরেন্সের শতকরাভাগ বাড়ছে, ডাক্তারি সেবার খরচের থেকে ত্রাণ পাবার একটি উপায়পেয়েছে সাধারণ মানুষ, কিন্তু উকিলি পেশার ফাঁস থেকে বেরোনোর লজিক এখনো পাওয়া যায়নি।

এইসব কথার ফাঁকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই দিকের একটি করে মাহাত্ম্য না দিলে এগোনো মুশকিল। উত্তরে ফড়েঅর্থাৎ মাঝের বাবুর বা এক কথায় দালাল আমদানি ঘটেছে শুধুই দুর্বুদ্ধিগ্রস্ত হওয়ায়। অকর্ম প্রধান মাটি।  দক্ষিণঅনেকটাই শারীরিক, কখনো ধীরেসুস্থে কখনোবা দ্রুত এগোয়, সময় নিয়ে এগোয়, স্থায়ীরূপে এগোয়ে কর্ম প্রধানভাবে। যদি ধরে নিই পূব থেকে শুরু হয়ে ফিরে আসে পূবে। তাহলে এই ঘড়ির কাঁটার দিক মেনে ভ্রমনে পাই -বুদ্ধি, কর্ম, লজিক, অকর্ম ছাড়িয়ে আবার বুদ্ধিতে। তাই দক্ষিনী মানুষের ফিজিক্যাল এপ্রোচ বেশি। বড় মন্দির। বেশিগয়না। শক্ত-পোক্ত। উত্তরের ভাব বড়ই অস্থায়ী। সাময়িক লাভালাভে মেতে থাকে ঐ মাটি। সেখানে ব্যতিক্রমিঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা দাঁড়িয়ে আছে অতি আবেগ নিয়ে।

শেষ করছি আপাতত এক ভন্ড যোগীর কথা বলে - লক্ষীর ঝাঁপির মতই ক্যাশ টাকা রাখা তার স্বভাব। হিসেব নাদিলে বেশি ভোগ করা যায়। তাই ডিমনিটাইজেশানের চাপে রাতভোর ছুটতে হয় ক্যাশবাক্সের হিসেব মেটাতে।কতশত ক্যাশবাক্সই না দেশে আছে হিসেবের বাইরে ইয়ত্তা নেই। কতশত ধর্মীয় স্থান ও যান আছে পূব - পশ্চিম- উত্তর - দক্ষিণ মিলন ঘটাতে।  ক্যাশবাক্সের মিলন। বুদ্ধি - কর্ম - যুক্তি - অকর্মের মিলন। বিবিধের মাঝে মহানমিলন।

অনেকেই ভাবছেন দক্ষিন কি তাহলে সৎ কর্মই শুধু করে। সেখানকার সবই কি ভাল। সেকথা বলার ধৃষ্টতা করতেপারিনা কারন সৎ কর্মের ফাঁক গলে দম্ভ কখন সুড়ুত করে ভেতরে প্রবেশ করে গোল পাকিয়ে কুকর্ম বানিয়ে দেয়সে নিজেই জানতে পারে না। অহংকার নামের রোগটি ক্যানসারের মতন ধীরেধীরে সংহারে নামে। সুস্থ হয় অসুস্থ।জীবিত হয় মৃত। ফলাফল শতকোটির জুতো শতকোটির বিয়ে শতকোটির গয়না। গিমিক সর্বস্ব। প্রাণের প্রকাশনীরবে, জীবের প্রকাশ সরবে। প্রাণের সংহার নেই, জীবের আছে।

এবার আসি উত্তরের মাটির ধর্মে।  অকর্ম সাধারণত বুদ্ধির সাহায্যে দম্ভকে লুকিয়ে রাখে ও দরকারে কুকর্ম করিয়ে নেয়।  নিজ স্বার্থে সে ঝুঁকতেও পারে সাময়িক। ঝোঁকাতেও পারে। সবই তার দ্রুত চাই। চাই চাই চাই এর উল্লাসেজীবনের রস থেকে নিজেকে বিরত রাখে সে। ছেলের সাথেও ম্যানিপুলেশান, মা'র সাথেও। পারলে নিজেকেওম্যানিপুলেট করে ফেলবে।  এই ম্যানিপুলেশানের চাপে কখন যেন নিজের কালার প্যালেট বদলে যায় ধরতে পারে না।

আমাদের সৌন্দর্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে সহজিয়া ভাবে।  সহজ সরল রূপ হারালে সৌন্দর্য হানি হয় একথা বলারঅপেক্ষা রাখে না।  সৌন্দর্য হারালে বিষয়ের দাপাদাপির ব্যাপ্তি ও দীপ্তি হারায়।  সৌন্দর্য আমাদের স্বর্গীয় আনন্দেরকাছে দাঁড় করিয়ে দেয়।  স্বর্গ শব্দটা কাল্পনিক মনে হলেও জীবনদেবতার আশীর্বাদে কেউকেউ উত্তর-দক্ষিণ-পূব-পশ্চিম নির্বিশেষে কর্ম-অকর্ম সৎ-অসৎ এর বাইরে বেরিয়ে মাটির টানে মানব কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করেছেনও ভূমিকেই ভূমা রূপে পূজো করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×